alt

সম্পাদকীয়

আঠারোবাড়ী হাওরের সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

: বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার আঠারোবাড়ী হাওরের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে কৃষকদের মধ্যে চরম উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। হাওরের পানি রাজী নদীতে নিষ্কাশিত হওয়ার জন্য কেন্দুয়া-মদন সড়কের কালভার্ট ব্রিজের নিচ দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি খালের ওপর দেয়াল নির্মাণ করে সেই পথটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

এর ফলে বোরো মৌসুমে ধান কাটার সময় বৃষ্টি বা অতিরিক্ত পানি জমে গেলে হাওরের ধান জমিতে আটকে থাকবে, যা উত্তোলন করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে। উল্লেখযোগ্য যে, এই হাওরে প্রতি বছর প্রায় তিন থেকে চার হাজার টন ধান উৎপাদিত হয়। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

স্থানীয় জনগণ বিষয়টি সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। গত ৯ ডিসেম্বর আঠারোবাড়ীর বাসিন্দারা গণস্বাক্ষরসহ একটি লিখিত অভিযোগ কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে জমা দেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এই উদাসীনতা গ্রামবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে। আমরা মনে করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া অত্যন্ত জরুরি, যাতে হাওরের কৃষকদের কষ্ট লাঘব হয় এবং এ ধরনের সংকটময় পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হয়।

আমরা বলতে চাই, প্রশাসনকে অবিলম্বে হাওরের পানি নিষ্কাশন পথটি পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা করতে হবে। বিষয়টির দায়িত্বহীনতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। খালের ওপর নির্মিত দেয়াল দ্রুত অপসারণ করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা জরুরি। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে স্থানীয় কৃষি ও পরিবেশ বিবেচনায় উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

বোরো মৌসুমে কৃষকদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে বিকল্প ব্যবস্থা যেমন জলাবদ্ধতা নিরসনে পাম্প বা কৃত্রিম নিষ্কাশন পদ্ধতি নিশ্চিত করা যেতে পারে।

নদীভাঙনের শিকার শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে?

আবারও অপহরণের ঘটনা : সমাধান কী

সারের কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে

ভোটার তালিকা হালনাগাদ : কিছু প্রশ্ন

চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজাল ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

পাহাড়-টিলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ জরুরি

জলমহাল দখল : জেলেদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

সাংবাদিকদের ওপর হামলা : মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য হুমকি

শেরপুরের আলু চাষিদের সংকট

রেলের জমি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

চাঁদাবাজি থেকে বাজার ও সমাজের মুক্তি কোন পথে

বারোমাসি খালের দুর্দশা

এখনো কেন বিচারবহির্ভূত হত্যা

বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন

হরিপুর-চিলমারি তিস্তা সেতুর পাশে বালু তোলা বন্ধ করুন

ইটভাটা হোক পরিবেশবান্ধব

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার সংকট : দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

পানি সংকটে হাইমচরের কৃষকদের হতাশা

ঢাবিতে আবাসন সমস্যা, অধিক ভোগান্তিতে নারী শিক্ষার্থীরা

কুষ্ঠ রোগ : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

জনবল সংকটে অচল আইসিইউ: জনস্বাস্থ্যের করুণ চিত্র

ঢাবি ও অধিভুক্ত সাত কলেজ : সমঝোতার পথেই সমাধান

নওগাঁয় মেনিনজাইটিস টিকা সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দেরি কেন

জলবায়ু সংকট : শিশুদের শিক্ষা জীবনের জন্য বড় হুমকি

সয়াবিন তেলের সংকট : বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি

ভালুকার খীরু নদীর দূষণ বন্ধ করুন

নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ করা যাচ্ছে না কেন

লালপুরে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা

শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

আমতলীর ভ্যাকসিন সংকট দূর করুন

অতিরিক্ত সেচ খরচ: কৃষকের জীবনযাত্রায় বোঝা

আমতলী পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

অরক্ষিত রেলক্রসিং : সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি

সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন

পাহাড় রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে ‘টম অ্যান্ড জেরি খেলা’র অবসান ঘটুক

tab

সম্পাদকীয়

আঠারোবাড়ী হাওরের সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার আঠারোবাড়ী হাওরের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে কৃষকদের মধ্যে চরম উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। হাওরের পানি রাজী নদীতে নিষ্কাশিত হওয়ার জন্য কেন্দুয়া-মদন সড়কের কালভার্ট ব্রিজের নিচ দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি খালের ওপর দেয়াল নির্মাণ করে সেই পথটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

এর ফলে বোরো মৌসুমে ধান কাটার সময় বৃষ্টি বা অতিরিক্ত পানি জমে গেলে হাওরের ধান জমিতে আটকে থাকবে, যা উত্তোলন করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে। উল্লেখযোগ্য যে, এই হাওরে প্রতি বছর প্রায় তিন থেকে চার হাজার টন ধান উৎপাদিত হয়। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

স্থানীয় জনগণ বিষয়টি সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। গত ৯ ডিসেম্বর আঠারোবাড়ীর বাসিন্দারা গণস্বাক্ষরসহ একটি লিখিত অভিযোগ কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে জমা দেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এই উদাসীনতা গ্রামবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে। আমরা মনে করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া অত্যন্ত জরুরি, যাতে হাওরের কৃষকদের কষ্ট লাঘব হয় এবং এ ধরনের সংকটময় পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হয়।

আমরা বলতে চাই, প্রশাসনকে অবিলম্বে হাওরের পানি নিষ্কাশন পথটি পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা করতে হবে। বিষয়টির দায়িত্বহীনতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। খালের ওপর নির্মিত দেয়াল দ্রুত অপসারণ করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা জরুরি। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে স্থানীয় কৃষি ও পরিবেশ বিবেচনায় উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

বোরো মৌসুমে কৃষকদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে বিকল্প ব্যবস্থা যেমন জলাবদ্ধতা নিরসনে পাম্প বা কৃত্রিম নিষ্কাশন পদ্ধতি নিশ্চিত করা যেতে পারে।

back to top