জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) এক বিতর্কিত পরিবর্তনের প্রতিবাদে মতিঝিলের পাঠ্যপুস্তক ভবনের সামনে সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের সমাবেশে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দপ্তর জানায়, ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দোষীদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “বাংলাদেশে গণসহিংসতা, জাতিগত বিদ্বেষ ও গোঁড়ামির কোনো স্থান নেই। শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকার কঠোর অবস্থানে থাকবে।”
সম্প্রতি নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে একটি চিত্রকর্মে ‘আদিবাসী’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। সেখানে একটি গাছের পাঁচটি পাতায় লেখা ছিল মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও আদিবাসী, আর পাশে লেখা ছিল "পাতা ছেঁড়া নিষেধ"।
১২ জানুয়ারি ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’ নামে একটি সংগঠন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ঘেরাও করলে রাতেই ওই বইয়ের অনলাইন সংস্করণ থেকে চিত্রকর্মটি সরিয়ে ফেলা হয়।
এর প্রতিবাদে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’ নামে একটি সংগঠন পাঠ্যপুস্তক ভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেয়। একই সময়ে ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’-ও একই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
বুধবার সকালেই আদিবাসী শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তক ভবনের সামনে জড়ো হলে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’-র সদস্যরা তাদের ওপর চড়াও হয় এবং লাঠিপেটা করে। এ ঘটনায় নয়জন শিক্ষার্থী আহত হন, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়।
হামলার প্রতিবাদে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বুধবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল করে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দুই সংগঠনের নেতারা দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানান।
অন্যদিকে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা হামলার বিচার ও পাঠ্যপুস্তকের ‘আদিবাসী’ শব্দসংবলিত চিত্রকর্ম পুনর্বহালের দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সারাদেশে বিক্ষোভ এবং শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) এক বিতর্কিত পরিবর্তনের প্রতিবাদে মতিঝিলের পাঠ্যপুস্তক ভবনের সামনে সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের সমাবেশে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দপ্তর জানায়, ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দোষীদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “বাংলাদেশে গণসহিংসতা, জাতিগত বিদ্বেষ ও গোঁড়ামির কোনো স্থান নেই। শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকার কঠোর অবস্থানে থাকবে।”
সম্প্রতি নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে একটি চিত্রকর্মে ‘আদিবাসী’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। সেখানে একটি গাছের পাঁচটি পাতায় লেখা ছিল মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও আদিবাসী, আর পাশে লেখা ছিল "পাতা ছেঁড়া নিষেধ"।
১২ জানুয়ারি ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’ নামে একটি সংগঠন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ঘেরাও করলে রাতেই ওই বইয়ের অনলাইন সংস্করণ থেকে চিত্রকর্মটি সরিয়ে ফেলা হয়।
এর প্রতিবাদে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’ নামে একটি সংগঠন পাঠ্যপুস্তক ভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেয়। একই সময়ে ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’-ও একই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
বুধবার সকালেই আদিবাসী শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তক ভবনের সামনে জড়ো হলে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’-র সদস্যরা তাদের ওপর চড়াও হয় এবং লাঠিপেটা করে। এ ঘটনায় নয়জন শিক্ষার্থী আহত হন, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়।
হামলার প্রতিবাদে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বুধবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল করে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দুই সংগঠনের নেতারা দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানান।
অন্যদিকে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা হামলার বিচার ও পাঠ্যপুস্তকের ‘আদিবাসী’ শব্দসংবলিত চিত্রকর্ম পুনর্বহালের দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সারাদেশে বিক্ষোভ এবং শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।