দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন ও সহযোগিতার প্রসারে আলোচনা করবেন
ক্ষমতার পালাবদলে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরের জন্য চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। সোমবার বিকালে তার তিন দিনের সফর শুরু হয়, এবং আগামী ২৪ জানুয়ারি দেশে ফেরার কথা রয়েছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এর আমন্ত্রণে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এই সফরে যাচ্ছেন।
এ সফরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হবে, যার মধ্যে থাকবে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানো, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, কৃষি, শিক্ষা, অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, এবং রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান।
চীনের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভবিষ্যৎ রূপরেখা প্রণয়নকল্পে, দুই দেশের মধ্যে চলমান সহযোগিতার অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের জন্য চীন বেশ কিছু অর্থনৈতিক সহায়তা এবং উন্নয়ন প্রকল্পে আগ্রহী। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বাণিজ্যিক সুবিধা বৃদ্ধি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে থাকবে।
এর আগে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াংয়ের আমন্ত্রণে বেইজিং সফর করেছিলেন। সেই সফরে দুই দেশের মধ্যে ২১টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছিল এবং সাতটি প্রকল্পের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সফরটি কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির এই বছরে উভয় দেশ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যদিও এ বাণিজ্যের ভারসাম্য বাংলাদেশের অনুকূলে নয়। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য পুনর্গঠন এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা চীনের সাংহাইয়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং সেখানে বাংলাদেশের জন্য চীনা বিনিয়োগের সুযোগগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।
এ সফরের মাধ্যমে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার চেষ্টা করবেন এবং চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন এবং চীনা বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, "এ সফর বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্কের আরও গভীর এবং বহুমাত্রিক উন্নতির দিকে একধাপ এগিয়ে যাবে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন কমিয়ে আনার পাশাপাশি নতুন সুযোগ তৈরি করতে কাজ করবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।"
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় এবং গতিশীল করার লক্ষ্যেই এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে, এবং এর মাধ্যমে দুই দেশের মাঝে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা ও উন্নয়ন অর্জনের আশা করা হচ্ছে।
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন ও সহযোগিতার প্রসারে আলোচনা করবেন
সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
ক্ষমতার পালাবদলে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরের জন্য চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। সোমবার বিকালে তার তিন দিনের সফর শুরু হয়, এবং আগামী ২৪ জানুয়ারি দেশে ফেরার কথা রয়েছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এর আমন্ত্রণে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এই সফরে যাচ্ছেন।
এ সফরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হবে, যার মধ্যে থাকবে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানো, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, কৃষি, শিক্ষা, অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, এবং রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান।
চীনের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভবিষ্যৎ রূপরেখা প্রণয়নকল্পে, দুই দেশের মধ্যে চলমান সহযোগিতার অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের জন্য চীন বেশ কিছু অর্থনৈতিক সহায়তা এবং উন্নয়ন প্রকল্পে আগ্রহী। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বাণিজ্যিক সুবিধা বৃদ্ধি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে থাকবে।
এর আগে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াংয়ের আমন্ত্রণে বেইজিং সফর করেছিলেন। সেই সফরে দুই দেশের মধ্যে ২১টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছিল এবং সাতটি প্রকল্পের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সফরটি কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির এই বছরে উভয় দেশ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যদিও এ বাণিজ্যের ভারসাম্য বাংলাদেশের অনুকূলে নয়। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য পুনর্গঠন এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা চীনের সাংহাইয়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং সেখানে বাংলাদেশের জন্য চীনা বিনিয়োগের সুযোগগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।
এ সফরের মাধ্যমে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার চেষ্টা করবেন এবং চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন এবং চীনা বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, "এ সফর বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্কের আরও গভীর এবং বহুমাত্রিক উন্নতির দিকে একধাপ এগিয়ে যাবে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন কমিয়ে আনার পাশাপাশি নতুন সুযোগ তৈরি করতে কাজ করবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।"
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় এবং গতিশীল করার লক্ষ্যেই এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে, এবং এর মাধ্যমে দুই দেশের মাঝে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা ও উন্নয়ন অর্জনের আশা করা হচ্ছে।