জুলাই আগস্ট মাসে ছাত্রজনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি, হামলাসহ তা-ব চালানোর ঘটনায় সাবেক আইজিপিসহ সাড়ে ৯শ’ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও সব মিলিয়ে মামলার সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৪শ’।
গত আগস্ট থেকে সোমবার (১৯ জানুয়ারি) পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন থানায় এসব মামলা দায়ের হয়েছে বলে পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে জানা গেছে।
পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে জানা গেছে, জুলাই-আগস্টের ঘটনায় সোমবার পর্যন্ত ৯৫২ জন পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতিদিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি থেকে শুরু করে ১৭১টি পর্যন্ত মামলা রয়েছে। মামলার সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। একজনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে ১৫৫টি মামলা, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকারের বিরুদ্ধে ৭টি মামলা, সাবেক আইজিপি একেএম শহিদুল হকের বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা, সাবেক আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারির বিরুদ্ধে ২টি মামলা, সাবেক আইজিপি বেনজিরের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে।
সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি আছাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ইকবাল বাহারের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৪৮টি মামলা, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা, সাবেক অতিরিক্ত আইজি খন্দকার লুৎফুল কবিরের বিরুদ্বে ৩টি মামলা, সাবেক অতিরিক্ত আইজি হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ১১৭টি মামলা। সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেসুর রহমানের বিরুদ্ধে ২টি মামলা, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি নব বিক্রম কিশোরের বিরুদ্ধে ১টি মামলা।
সাবেক আইজিপি ও অতিরিক্ত আইজিপিসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
ডিআইজি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে ১৭১টি মামলা, সাবেক ডিআইজি নূরে আলম মিনারের বিরুদ্ধে ১টি মামলা, সাবেক ডিআইজি রিপন সরকারের বিরুদ্বে ১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০ জনের বেশি ডিআইজির বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকারের বিরুদ্ধে ১২৫টি মামলা, অতিরিক্ত ডিআইজি এসএম মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ৩১টি মামলা রয়েছে।
পুলিশের আইজি, অতিরিক্ত আইজিপি, ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি, এসপি, এডিশনাল এসপি, এসসি, ইন্সপেক্টর (ওসি), এসআই ও এএসআইসহ ৯৫২ জন পুলিশ অফিসার থেকে সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রগুলো জানিয়েছে, মামলায় পুলিশ ছাড়াও সাবেক মন্ত্রী, এমপি, আওয়ামী লীগ নেতাসহ জড়িত প্রায় লক্ষাধিক। তার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার সন্দেহ ভাজন আসামি।
পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি, হামলার ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে অনেককে ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চাকরিচ্যুত করা হয়েছে অতিরিক্ত আইজিপি, ডিআইজি, এডিশনাল ডিআইজি, এসপি, এডিশনার এসপি, এসি, ইন্সপেক্টরসহ ৪০ জনের বেশি চাকরি থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। আর গ্রেপ্তারকৃত অনেককে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দফায় দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আবার অনেককে সংযুক্ত করে রাখা হয়েছে। তাদের স্থলে বঞ্চিতদের পদায়ন করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি মিডিয়া তালেবুর রহমান সংবাদকে জানান, প্রত্যেকটি মামলা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। আর তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনে আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ঢাকা জজ কোর্টের অপরাধ বিষয়ক আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ গাজী বলেন, মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতে নেয়ার পর বলা হয় জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে কি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে তা বলা হচ্ছে না। আবার অনেক আসামি মামলার বাদীরও অপরিচিত।
অনেক আসামিকে গ্রেপ্তার দেখালেও তারা ঘটনায় সম্পৃক্ত নয় বলে দাবি করছেন। প্রতিটি মামলা ও ঘটনা অনুসন্ধান তদন্ত করলে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
জুলাই আগস্ট মাসে ছাত্রজনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি, হামলাসহ তা-ব চালানোর ঘটনায় সাবেক আইজিপিসহ সাড়ে ৯শ’ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও সব মিলিয়ে মামলার সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৪শ’।
গত আগস্ট থেকে সোমবার (১৯ জানুয়ারি) পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন থানায় এসব মামলা দায়ের হয়েছে বলে পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে জানা গেছে।
পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে জানা গেছে, জুলাই-আগস্টের ঘটনায় সোমবার পর্যন্ত ৯৫২ জন পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতিদিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি থেকে শুরু করে ১৭১টি পর্যন্ত মামলা রয়েছে। মামলার সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। একজনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে ১৫৫টি মামলা, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকারের বিরুদ্ধে ৭টি মামলা, সাবেক আইজিপি একেএম শহিদুল হকের বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা, সাবেক আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারির বিরুদ্ধে ২টি মামলা, সাবেক আইজিপি বেনজিরের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে।
সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি আছাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ইকবাল বাহারের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৪৮টি মামলা, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা, সাবেক অতিরিক্ত আইজি খন্দকার লুৎফুল কবিরের বিরুদ্বে ৩টি মামলা, সাবেক অতিরিক্ত আইজি হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ১১৭টি মামলা। সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেসুর রহমানের বিরুদ্ধে ২টি মামলা, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি নব বিক্রম কিশোরের বিরুদ্ধে ১টি মামলা।
সাবেক আইজিপি ও অতিরিক্ত আইজিপিসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
ডিআইজি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে ১৭১টি মামলা, সাবেক ডিআইজি নূরে আলম মিনারের বিরুদ্ধে ১টি মামলা, সাবেক ডিআইজি রিপন সরকারের বিরুদ্বে ১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০ জনের বেশি ডিআইজির বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকারের বিরুদ্ধে ১২৫টি মামলা, অতিরিক্ত ডিআইজি এসএম মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ৩১টি মামলা রয়েছে।
পুলিশের আইজি, অতিরিক্ত আইজিপি, ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি, এসপি, এডিশনাল এসপি, এসসি, ইন্সপেক্টর (ওসি), এসআই ও এএসআইসহ ৯৫২ জন পুলিশ অফিসার থেকে সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রগুলো জানিয়েছে, মামলায় পুলিশ ছাড়াও সাবেক মন্ত্রী, এমপি, আওয়ামী লীগ নেতাসহ জড়িত প্রায় লক্ষাধিক। তার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার সন্দেহ ভাজন আসামি।
পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি, হামলার ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে অনেককে ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চাকরিচ্যুত করা হয়েছে অতিরিক্ত আইজিপি, ডিআইজি, এডিশনাল ডিআইজি, এসপি, এডিশনার এসপি, এসি, ইন্সপেক্টরসহ ৪০ জনের বেশি চাকরি থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। আর গ্রেপ্তারকৃত অনেককে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দফায় দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আবার অনেককে সংযুক্ত করে রাখা হয়েছে। তাদের স্থলে বঞ্চিতদের পদায়ন করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি মিডিয়া তালেবুর রহমান সংবাদকে জানান, প্রত্যেকটি মামলা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। আর তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনে আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ঢাকা জজ কোর্টের অপরাধ বিষয়ক আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ গাজী বলেন, মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতে নেয়ার পর বলা হয় জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে কি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে তা বলা হচ্ছে না। আবার অনেক আসামি মামলার বাদীরও অপরিচিত।
অনেক আসামিকে গ্রেপ্তার দেখালেও তারা ঘটনায় সম্পৃক্ত নয় বলে দাবি করছেন। প্রতিটি মামলা ও ঘটনা অনুসন্ধান তদন্ত করলে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।