ভিসা ও প্রক্রিয়া চূড়ান্ত, নির্ভর করছে মালয়েশিয়ার সিদ্ধান্তের ওপর
ভিসাসহ সব প্রক্রিয়া চূড়ান্ত থাকা সত্ত্বেও মালয়েশিয়া যেতে না পারা প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশি কর্মীকে আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে পাঠানোর চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব রুহুল আমিন।
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, “এ বিষয়ে আমাদের মালয়েশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চলছে। প্রাথমিকভাবে তারা আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন যে শুধু ‘ফেইস বাই ফেইস’ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। আমরা আশাবাদী, কয়েক মাসের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হবে। মার্চ-এপ্রিলে তাদের পাঠানো সম্ভব হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সবকিছুই এখন নির্ভর করছে মালয়েশিয়ার সিদ্ধান্তের ওপর। তারা যদি বলে ১৫ দিনের মধ্যে লোক নেবে, তাহলে আমরাও ১৫ দিনের মধ্যেই লোক পাঠাতে প্রস্তুত।”
সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে না পারায় একদল ক্ষুব্ধ ব্যক্তি বুধবার সকালে ঢাকার কারওয়ান বাজারে সড়ক অবরোধ করেন। সকাল থেকে সার্ক ফোয়ারার কাছে সড়ক অবরোধের ফলে ওই এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হয়।
বেলা ১১টার দিকে পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের সরিয়ে সড়কের একপাশে নিয়ে যায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও অঞ্চলের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ইবনে মিজান বলেন, “সকাল ১১টা থেকে মালয়েশিয়াগামী কর্মীরা সড়কে অবস্থান নিয়েছিলেন। আমরা তাদের অনুরোধ করে সড়ক থেকে সরিয়ে নিয়েছি।”
নতুন এবং পুরনো বিদেশি কর্মীদের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য মালয়েশিয়ার সরকার গত বছরের ৩১ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়। তবে বিমানের টিকিট স্বল্পতাসহ নানা জটিলতার কারণে ওই সময়ের মধ্যে যেতে পারেননি প্রায় ১৮ হাজার কর্মী।
এরপর গত অক্টোবরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশ সফরে এসে এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি জানান, অপেক্ষমাণ কর্মীদের মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে।
রুহুল আমিন বলেন, “আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। মালয়েশিয়া থেকে যে নির্দেশনা আসবে, তার ভিত্তিতে আমরা প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করব।”
তিনি আরও বলেন, “যে প্রক্রিয়ায় তাদের পাঠানো হবে তা নির্ভর করছে আলোচনা চূড়ান্ত হওয়ার ওপর। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব তাদের কর্মস্থলে পাঠাতে।”
মালয়েশিয়ার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে কর্মীদের পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একবার সবকিছু চূড়ান্ত হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কর্মীদের পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার অংশ হিসেবে এ উদ্যোগকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, এই পদক্ষেপ শুধু দুই দেশের শ্রমবাজার সম্পর্ক উন্নয়ন নয়, কর্মীদের আস্থার জায়গা পুনর্স্থাপনের দিকেও সহায়তা করবে।
ভিসা ও প্রক্রিয়া চূড়ান্ত, নির্ভর করছে মালয়েশিয়ার সিদ্ধান্তের ওপর
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
ভিসাসহ সব প্রক্রিয়া চূড়ান্ত থাকা সত্ত্বেও মালয়েশিয়া যেতে না পারা প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশি কর্মীকে আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে পাঠানোর চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব রুহুল আমিন।
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, “এ বিষয়ে আমাদের মালয়েশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চলছে। প্রাথমিকভাবে তারা আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন যে শুধু ‘ফেইস বাই ফেইস’ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। আমরা আশাবাদী, কয়েক মাসের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হবে। মার্চ-এপ্রিলে তাদের পাঠানো সম্ভব হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সবকিছুই এখন নির্ভর করছে মালয়েশিয়ার সিদ্ধান্তের ওপর। তারা যদি বলে ১৫ দিনের মধ্যে লোক নেবে, তাহলে আমরাও ১৫ দিনের মধ্যেই লোক পাঠাতে প্রস্তুত।”
সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে না পারায় একদল ক্ষুব্ধ ব্যক্তি বুধবার সকালে ঢাকার কারওয়ান বাজারে সড়ক অবরোধ করেন। সকাল থেকে সার্ক ফোয়ারার কাছে সড়ক অবরোধের ফলে ওই এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হয়।
বেলা ১১টার দিকে পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের সরিয়ে সড়কের একপাশে নিয়ে যায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও অঞ্চলের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ইবনে মিজান বলেন, “সকাল ১১টা থেকে মালয়েশিয়াগামী কর্মীরা সড়কে অবস্থান নিয়েছিলেন। আমরা তাদের অনুরোধ করে সড়ক থেকে সরিয়ে নিয়েছি।”
নতুন এবং পুরনো বিদেশি কর্মীদের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য মালয়েশিয়ার সরকার গত বছরের ৩১ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়। তবে বিমানের টিকিট স্বল্পতাসহ নানা জটিলতার কারণে ওই সময়ের মধ্যে যেতে পারেননি প্রায় ১৮ হাজার কর্মী।
এরপর গত অক্টোবরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশ সফরে এসে এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি জানান, অপেক্ষমাণ কর্মীদের মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে।
রুহুল আমিন বলেন, “আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। মালয়েশিয়া থেকে যে নির্দেশনা আসবে, তার ভিত্তিতে আমরা প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করব।”
তিনি আরও বলেন, “যে প্রক্রিয়ায় তাদের পাঠানো হবে তা নির্ভর করছে আলোচনা চূড়ান্ত হওয়ার ওপর। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব তাদের কর্মস্থলে পাঠাতে।”
মালয়েশিয়ার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে কর্মীদের পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একবার সবকিছু চূড়ান্ত হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কর্মীদের পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার অংশ হিসেবে এ উদ্যোগকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, এই পদক্ষেপ শুধু দুই দেশের শ্রমবাজার সম্পর্ক উন্নয়ন নয়, কর্মীদের আস্থার জায়গা পুনর্স্থাপনের দিকেও সহায়তা করবে।