গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর এবং কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনার পর সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরুর কথা জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল হাসানের পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এই অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শুক্রবার রাতে গাজীপুরে ‘ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের’ ঘটনায় শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘সভায় সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে,’ বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
শনিবার থেকেই গাজীপুরসহ সারাদেশে এই অভিযান শুরুর কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এবং আজ এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। গাজীপুরে হামলার ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা হবে বলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আশ্বাসের কয়েক ঘণ্টা পরই অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত এলো।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে গিয়ে ওই আশ্বাস দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে গাজীপুর নগরের ধীরাশ্রম দক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ি ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঠেকাতে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন। পরে সেখানে বাগবিত-ার এক পর্যায়ে স্থানীয়রা তাদের ওপর হামলা চালায়।
ওই ঘটনায় ১৩ জন আহতের খবর দিয়েছিলেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের এডিসি (উত্তর) রবিউল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাজীপুরের নেতাকর্মীরা বলেছেন, হামলায় আহতদের সবাইকেই প্রথমে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাত ১টার দিকে গুরুতর আহত সাতজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই হামলার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে জাতীয় নাগরিক কমিটি গাজীপুর জেলা ও মহানগর শাখার আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে নগরের ভাওয়াল রাজবাড়ি সড়ক অবরোধ করেন নেতাকর্মীরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এরআগে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশজুড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী। অভিযানে সশস্ত্র বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনী সমন্বিতভাবে এ অভিযান চলে। এতে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থানা ও পুলিশ স্থাপনা থেকে লুট করা আগ্নেয়াস্ত্র, সন্ত্রাসী-দুর্বৃত্তদের কাছে থাকা অস্ত্র এবং ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লাইসেন্সধারীরা আগ্নেয়াস্ত্র জমা না দিলে সেগুলোও উদ্ধার করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানায়।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযানের জন্য এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকদের জেলা পুলিশ সুপার, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি এবং গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্য সদস্যদের সমন্বয়ে কোর কমিটির সভা করতে বলা হয়েছে। সভায় স্থগিত করা লাইসেন্সের তালিকা পর্যালোচনা করা হবে। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালাতে সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাব, আনসার সমন্বয়ে যৌথ অপারেশন টিম গঠন করে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, মেট্রোপলিটন এলাকায় পুলিশ কমিশনার সংশ্লিষ্ট সব বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ৪ সেপ্টেম্বর থেকে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য যৌথ অভিযান পরিচালনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানান, অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান আবারও শুরু করা হবে। তিনি বলেছেন, পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি এবং সেগুলো জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহারের চেষ্টা চলছে। নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। সে সময় ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘হামলা করার মতো ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের অ্যারেস্ট করার ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এই নিশ্চয়তা আমি আপনাদের দিতে চাই।’ এ সময় উপস্থিত জনতা অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানালে তিনি বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের সময় থানা থেকে অস্ত্র লুট হয়েছে। সেসময় পুলিশকে জনগণের বিরুদ্ধে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। সে কারণে ক্ষোভবশত পুলিশের সঙ্গে অনেক জায়গায় সংঘর্ষ হয়েছে। এই সুযোগে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী অস্ত্র লুট করেছে এবং আওয়ামী লীগের সময় ১৬ বছরে যাদের রাজনৈতিকভাবে অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল তাদের অনেকেই অস্ত্র জমা দেয়নি।’
অস্ত্র উদ্ধারে প্রথমদিকে টাস্কফোর্সের যে অভিযান হয়েছিল তা আবারও শুরুর কথা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘পুনরায় সম্মিলিত যৌথ বাহিনীর অভিযান আবার পরিচালনা এবং যে অস্ত্রগুলো বাইরে আছে সেগুলো দ্রুত উদ্ধার করার জন্য আমরা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা দেব। এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, কোনো পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি যদি এই দেশের জনগণের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না।’
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর এবং কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনার পর সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরুর কথা জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল হাসানের পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এই অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শুক্রবার রাতে গাজীপুরে ‘ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের’ ঘটনায় শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘সভায় সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে,’ বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
শনিবার থেকেই গাজীপুরসহ সারাদেশে এই অভিযান শুরুর কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এবং আজ এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। গাজীপুরে হামলার ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা হবে বলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আশ্বাসের কয়েক ঘণ্টা পরই অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত এলো।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে গিয়ে ওই আশ্বাস দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে গাজীপুর নগরের ধীরাশ্রম দক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ি ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঠেকাতে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন। পরে সেখানে বাগবিত-ার এক পর্যায়ে স্থানীয়রা তাদের ওপর হামলা চালায়।
ওই ঘটনায় ১৩ জন আহতের খবর দিয়েছিলেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের এডিসি (উত্তর) রবিউল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাজীপুরের নেতাকর্মীরা বলেছেন, হামলায় আহতদের সবাইকেই প্রথমে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাত ১টার দিকে গুরুতর আহত সাতজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই হামলার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে জাতীয় নাগরিক কমিটি গাজীপুর জেলা ও মহানগর শাখার আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে নগরের ভাওয়াল রাজবাড়ি সড়ক অবরোধ করেন নেতাকর্মীরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এরআগে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশজুড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী। অভিযানে সশস্ত্র বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনী সমন্বিতভাবে এ অভিযান চলে। এতে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থানা ও পুলিশ স্থাপনা থেকে লুট করা আগ্নেয়াস্ত্র, সন্ত্রাসী-দুর্বৃত্তদের কাছে থাকা অস্ত্র এবং ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লাইসেন্সধারীরা আগ্নেয়াস্ত্র জমা না দিলে সেগুলোও উদ্ধার করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানায়।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযানের জন্য এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকদের জেলা পুলিশ সুপার, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি এবং গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্য সদস্যদের সমন্বয়ে কোর কমিটির সভা করতে বলা হয়েছে। সভায় স্থগিত করা লাইসেন্সের তালিকা পর্যালোচনা করা হবে। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালাতে সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাব, আনসার সমন্বয়ে যৌথ অপারেশন টিম গঠন করে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, মেট্রোপলিটন এলাকায় পুলিশ কমিশনার সংশ্লিষ্ট সব বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ৪ সেপ্টেম্বর থেকে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য যৌথ অভিযান পরিচালনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানান, অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান আবারও শুরু করা হবে। তিনি বলেছেন, পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি এবং সেগুলো জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহারের চেষ্টা চলছে। নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। সে সময় ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘হামলা করার মতো ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের অ্যারেস্ট করার ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এই নিশ্চয়তা আমি আপনাদের দিতে চাই।’ এ সময় উপস্থিত জনতা অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানালে তিনি বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের সময় থানা থেকে অস্ত্র লুট হয়েছে। সেসময় পুলিশকে জনগণের বিরুদ্ধে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। সে কারণে ক্ষোভবশত পুলিশের সঙ্গে অনেক জায়গায় সংঘর্ষ হয়েছে। এই সুযোগে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী অস্ত্র লুট করেছে এবং আওয়ামী লীগের সময় ১৬ বছরে যাদের রাজনৈতিকভাবে অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল তাদের অনেকেই অস্ত্র জমা দেয়নি।’
অস্ত্র উদ্ধারে প্রথমদিকে টাস্কফোর্সের যে অভিযান হয়েছিল তা আবারও শুরুর কথা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘পুনরায় সম্মিলিত যৌথ বাহিনীর অভিযান আবার পরিচালনা এবং যে অস্ত্রগুলো বাইরে আছে সেগুলো দ্রুত উদ্ধার করার জন্য আমরা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা দেব। এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, কোনো পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি যদি এই দেশের জনগণের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না।’