alt

জাতীয়

অর্থনীতিতে গতি বেড়েছে, তবে মূল্যস্ফীতিতে খারাপ খবর

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫

দীর্ঘদিন স্থবিরতার পর অর্থনীতিতে কিছুটা গতি ফিরে এসেছে। এর ফলে অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকের তিন মাসে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। তবে মূল্যস্ফীতিতে রয়েছে খারাপ খবর। ফেব্রুয়ারিতে ২২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মূল্যস্ফীতি দেখার পর মার্চ মাসে তা সামান্য বেড়ে গেছে। এই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। পরিসংখ্যানে এসব তথ্য জানা গেছে।

অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ

মার্চে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশে

জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৮১ শতাংশে নেমেছিল

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এর আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও ব্যবসা-বাণিজ্যে শ্লথগতির কারণে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ব্যাপকভাবে টান পড়েছিল। গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৮১ শতাংশে নেমেছিল। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় টানা তিন প্রান্তিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার পর গত অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে তা আবার বাড়লো।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চলতি অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর এই তিন মাসের জিডিপির চিত্র প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, গত জানুয়ারি থেকে টানা তিন প্রান্তিক ধরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে কমেছে। কৃষি, শিল্প ও সেবা- এই তিন খাত দিয়ে জিডিপি প্রকাশ করা হয়। অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি হয়েছে কৃষি খাতে। এই খাতের প্রবৃদ্ধি মাত্র ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। এরপর সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং শিল্প খাতে ৭ দশমিক ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

বিবিএসের তথ্যানুসারে, অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ে দেশের ভেতরে স্থির মূল্যে ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকার মূল্য সংযোজন হয়। আগের প্রান্তিকে ৮ লাখ ৪ হাজার ৯৪২ কোটি টাকার মূল্য সংযোজন হয়। এর মানে, অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে আগের প্রান্তিকের চেয়ে ৮২ হাজার কোটি টাকার বেশি মূল্য সংযোজন হয়।

ফেব্রুয়ারিতে কমে মার্চে বেড়ে গেল মূল্যস্ফীতি

মঙ্গলবার প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মার্চ মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশে যা এক মাস আগে ফেব্রুয়ারিতে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ ছিল। আর গত বছর মার্চে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

অর্থাৎ ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতির মানে হলো, ২০২৪

সালের মার্চ মাসে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় মিলেছে, তা চলতি বছরের মার্চে কিনতে ব্যয় করতে হয়েছে ১০৯ টাকা ৩৫ পয়সা। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ ছিল। এরপর থেকেই চড়তে থাকে এই হার। ২০২৪ সালের আন্দোলনের মাস জুলাইয়ে তা ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে পৌঁছায়।

বছরের শুরুর মাস জানুয়ারিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার চার মাস পর এক অঙ্কের ঘরে নেমে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়। ফেব্রুয়ারিতে এসে তা আরও কমে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৩২ শতাংশে। মার্চে তা আবার সামান্য বাড়ল।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, সার্বিক মূল্যস্ফীতি মাসের ব্যবধানে সামান্য বেড়ে যাওয়ার কারণ খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি। শহর ও গ্রামে একই চিত্র মিলেছে।

মার্চে খাদ্য মূল্যস্ফীতি যেখানে ফেব্রুয়ারির ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ থেকে কমে ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, সেখানে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারির ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ হয়েছে। খাদ্যবহির্ভূত খাতে ফেব্রুয়ারিতেও মূল্যস্ফীতি বাড়ার তথ্য মিলেছিল। মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছিল ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ জানুয়ারিতে যা ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ ছিল।

শহর ও গ্রামের খাদ্য খাতের মূল্যস্ফীতিতে খাবারের দাম কমার তথ্য দিয়েছে পরিসংখ্যান ব্যুরো। এতে দেখা যায়, মার্চে শহরের খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ১৮ শতাংশ যা ফেব্রুয়ারিতে ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ ছিল। অন্যদিকে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি মার্চে ছিল ৮ দশমিক ৮১ শতাংশ যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর গ্রামে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারির ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ থেকে বেড়ে মার্চে ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ হয়েছে। শহরে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারির ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ থেকে বেড়ে মার্চে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করার পর দেশ হাল ধরে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেয়ার পরপরই মুহাম্মদ ইউনূস মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন। মুদ্রা সরবরাহে লাগাম দিতে বারবার সুদের হার বাড়ানো হয়। সরকার গত তিন মাস মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখিতার তথ্য দিলেও নিত্যপণ্যের বাজারে সে অর্থে সুফল মেলেনি।

ছবি

দীর্ঘ ১৫ বছর পর ঢাকায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক

ছবি

ভাস্কর মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন, অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা

তরুণীকে লাঠিপেটা: ‘আপন কফির’ কর্মীর স্বীকারোক্তি

ছবি

হঠাৎ বৃষ্টিতে ঢাকার জনজীবনে স্বস্তি

আরাকান আর্মি ফেরত দিলো ৫৫ জেলেকে, রেখে দিয়েছে কোটি টাকার ট্রলার ও জাল

টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ইউনূস

শিল্প খাতে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিডার উদ্বেগ

রায় শুনে ‘জ্ঞান হারালেন’ স্বাস্থ্যের মালেকের স্ত্রী

ছবি

যশোরে সাব-রেজিস্ট্রার এবং চট্টগ্রামে জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

ছবি

কুয়েটে উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা অনড়

ছবি

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে জনদুর্ভোগ

ছবি

আইএফআইসি আমার বন্ড ‘প্রতারণা’: আসামি হচ্ছেন সালমান, শায়ান ও শিবলী

উন্নয়ন ও সংস্কারের নামে গণতন্ত্রকে পিছিয়ে রাখার তত্ত্ব একটি ভ্রান্ত ধারণা

ঢাকায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব, বৃহস্পতিবার বৈঠক

এখন আগামী রোজার আগেই নির্বাচন চায় জামায়াত

ছবি

ডিসেম্বর লক্ষ্যে জুলাইয়ে ভোটের কর্মপরিকল্পনা

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক, ‘একেবারেই সন্তুষ্ট নয়’ বিএনপি

ছবি

টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

ইচ্ছাকৃত বিলম্ব নয়, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন: আসিফ নজরুল

ছবি

দীর্ঘ ১৫ বছর পর ঢাকা সফরে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব, বুধবার এফওসি বৈঠক

ঢাকায় এলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব

ছবি

চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন, ‘গুরুত্ব দিয়ে’ তদন্তে পুলিশ : প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর

ছবি

বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্নের জবাবে যা বলল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

ডাকসু নির্বাচনের ‘রোডম্যাপ’ ঘোষণা

তরুণীকে লাঠিপেটার ভিডিও ফেইসবুকে, ‘আপন কফির’ দুই কর্মী রিমান্ডে

ছবি

গান, নাচ আর মনোজ্ঞ শোভাযাত্রায় বর্ষবরণ

ছবি

ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ

১১৭ বারের মতো পেছালো প্রতিবেদন জমার তারিখ

‘প্লট দুর্নীতি’: এবার জয়ের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

আচরণবিধি মানতে দলের প্রত্যয়নসহ আরপিওতে পরিবর্তন আনছে ইসি

ছবি

কুয়েটে হলের তালা ভাঙলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা, এক দফা, ভিসির পদত্যাগ দাবি

ছবি

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য আবারও জেলেনিস্কিকে দায়ী করলেন ট্রাম্প

জুলাই আন্দোলন নির্মূলে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে চার মামলার তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে

মেঘনা আলমের গ্রেপ্তার: ‘প্রশ্ন শুনে মনে হয় সরকার বেআইনি কাজ করেছে,’: সাংবাদিকদের বিশেষ সহকারী

বাড়ানো হলো সয়াবিন তেলের দাম

১০৫টি সরকারি হাইস্কুল ও কলেজের জমি ‘বেদখল’

tab

জাতীয়

অর্থনীতিতে গতি বেড়েছে, তবে মূল্যস্ফীতিতে খারাপ খবর

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫

দীর্ঘদিন স্থবিরতার পর অর্থনীতিতে কিছুটা গতি ফিরে এসেছে। এর ফলে অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকের তিন মাসে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। তবে মূল্যস্ফীতিতে রয়েছে খারাপ খবর। ফেব্রুয়ারিতে ২২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মূল্যস্ফীতি দেখার পর মার্চ মাসে তা সামান্য বেড়ে গেছে। এই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। পরিসংখ্যানে এসব তথ্য জানা গেছে।

অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ

মার্চে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশে

জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৮১ শতাংশে নেমেছিল

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এর আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও ব্যবসা-বাণিজ্যে শ্লথগতির কারণে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ব্যাপকভাবে টান পড়েছিল। গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৮১ শতাংশে নেমেছিল। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় টানা তিন প্রান্তিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার পর গত অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে তা আবার বাড়লো।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চলতি অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর এই তিন মাসের জিডিপির চিত্র প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, গত জানুয়ারি থেকে টানা তিন প্রান্তিক ধরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে কমেছে। কৃষি, শিল্প ও সেবা- এই তিন খাত দিয়ে জিডিপি প্রকাশ করা হয়। অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি হয়েছে কৃষি খাতে। এই খাতের প্রবৃদ্ধি মাত্র ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। এরপর সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং শিল্প খাতে ৭ দশমিক ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

বিবিএসের তথ্যানুসারে, অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ে দেশের ভেতরে স্থির মূল্যে ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকার মূল্য সংযোজন হয়। আগের প্রান্তিকে ৮ লাখ ৪ হাজার ৯৪২ কোটি টাকার মূল্য সংযোজন হয়। এর মানে, অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে আগের প্রান্তিকের চেয়ে ৮২ হাজার কোটি টাকার বেশি মূল্য সংযোজন হয়।

ফেব্রুয়ারিতে কমে মার্চে বেড়ে গেল মূল্যস্ফীতি

মঙ্গলবার প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মার্চ মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশে যা এক মাস আগে ফেব্রুয়ারিতে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ ছিল। আর গত বছর মার্চে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

অর্থাৎ ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতির মানে হলো, ২০২৪

সালের মার্চ মাসে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় মিলেছে, তা চলতি বছরের মার্চে কিনতে ব্যয় করতে হয়েছে ১০৯ টাকা ৩৫ পয়সা। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ ছিল। এরপর থেকেই চড়তে থাকে এই হার। ২০২৪ সালের আন্দোলনের মাস জুলাইয়ে তা ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে পৌঁছায়।

বছরের শুরুর মাস জানুয়ারিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার চার মাস পর এক অঙ্কের ঘরে নেমে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়। ফেব্রুয়ারিতে এসে তা আরও কমে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৩২ শতাংশে। মার্চে তা আবার সামান্য বাড়ল।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, সার্বিক মূল্যস্ফীতি মাসের ব্যবধানে সামান্য বেড়ে যাওয়ার কারণ খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি। শহর ও গ্রামে একই চিত্র মিলেছে।

মার্চে খাদ্য মূল্যস্ফীতি যেখানে ফেব্রুয়ারির ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ থেকে কমে ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, সেখানে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারির ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ হয়েছে। খাদ্যবহির্ভূত খাতে ফেব্রুয়ারিতেও মূল্যস্ফীতি বাড়ার তথ্য মিলেছিল। মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছিল ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ জানুয়ারিতে যা ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ ছিল।

শহর ও গ্রামের খাদ্য খাতের মূল্যস্ফীতিতে খাবারের দাম কমার তথ্য দিয়েছে পরিসংখ্যান ব্যুরো। এতে দেখা যায়, মার্চে শহরের খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ১৮ শতাংশ যা ফেব্রুয়ারিতে ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ ছিল। অন্যদিকে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি মার্চে ছিল ৮ দশমিক ৮১ শতাংশ যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর গ্রামে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারির ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ থেকে বেড়ে মার্চে ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ হয়েছে। শহরে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারির ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ থেকে বেড়ে মার্চে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করার পর দেশ হাল ধরে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেয়ার পরপরই মুহাম্মদ ইউনূস মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন। মুদ্রা সরবরাহে লাগাম দিতে বারবার সুদের হার বাড়ানো হয়। সরকার গত তিন মাস মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখিতার তথ্য দিলেও নিত্যপণ্যের বাজারে সে অর্থে সুফল মেলেনি।

back to top