প্রবাসীদের দ্রুত ভোটিং পদ্ধতির জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া হচ্ছে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিতে ডিসেম্বরকে লক্ষ্য ধরে ‘কর্মপরিকল্পনা’ সাজাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটের অন্তত ছয় মাস আগে দুই ডজন বিষয়ভিত্তিক কাজের ফর্দ তৈরি করে রাখতে রোডম্যাপের আদলে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ খসড়া তৈরির কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। আর প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে দ্রুত ভোটিং পদ্ধতি হিসেবে ‘প্রক্সি ভোটিং’ কে গুরুত্ব দিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া শুরু করেছে ইসি। এজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, এমআইএসটি এবং সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগীদের মতামত নিতে কর্মশালার আয়োজন করে কমিশন।
নির্বাচন কমিশন প্রাক নির্বাচন ও তফসিল পূর্ববর্তী ‘প্রাথমিক কর্মপরিকল্পনা’ এবং তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন পরিচালনার জন্য ‘কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সূচি’ সংক্রান্ত চেক লিস্ট তৈরি করে কাজের সুবিধার জন্য। সে হিসেবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিতে ডিসেম্বরকে লক্ষ্য ধরেই ‘কর্মপরিকল্পনা’ এগিয়ে নিচ্ছে এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের ভাষ্য, ডিসেম্বরে নির্বাচন, এটা ‘আয়নার মতো পরিষ্কার’ হয়ে আছে। এখন বিভ্রান্তি দূর করতে ভোটের প্রাথমিক কাজ শেষ করে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ প্রকাশ করতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) দিনব্যাপী ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটদান পদ্ধতি নির্ধারণ’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে ইসি। এতে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ৮০ জন অংশ নেন। কারিগরি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রবাসীদের ভোটাধিকার
নিশ্চিত করতে দ্রুত ভোটিং পদ্ধতি চূড়ান্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসিরউদ্দিন।
কর্মশালায় সিইসি এএমএম নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। বিশেষজ্ঞদের আজকের কর্মশালা থেকে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি নির্ধারণ হবে আশা করি। যে পদ্ধতি আপনারা সাজেস্ট করবেন, সে অনুযায়ী আমরা উদ্যোগ নেব। এরপরই পদ্ধতি নিয়ে একটা আর্কিটেকচার দাঁড় করানো হবে।’ পাইলটিংয়ের মাধ্যমে কোনো কোনো দেশে ভোটিং পদ্ধতি চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।
সিইসি বলেন, ‘সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা, ভোটারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং প্রবাসীদের বাস্তবতা বিবেচনায় আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রবাসীদের ভোট দেয়ার বিষয়ে যে পদ্ধতিতেই আমরা আগাই না কেন, প্রথমে পাইলটিং, পরে স্বল্প পরিসরে করতে হবে, এরপর বড় পরিসরে যেতে হবে।’
তিনি জানান, ‘বর্তমানে দেশের মধ্যে পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থা চালু রয়েছে। নিবন্ধিত ভোটাররা, যারা কারাগারে বা আইনি হেফাজতে আছেন, বাংলাদেশি প্রবাসীরা এবং নির্বাচনি কর্মকর্তারা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার ব্যবহার করতে পারেন।’
ইসি কর্মকর্তারা জানান, পোস্টাল ও অনলাইন ভোটিংয়ের চেয়ে ‘প্রক্সি ভোটিং’ পদ্ধতিকে গুরুত্ব দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, এমআইএসটি এবং সরকারি-বেসরকারি-উন্নয়ন সহযোগীদের মতামত নেয়ার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এই কর্মশালা হচ্ছে।
গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতার পালাবদলের পর ২০২৪ সালের নভেম্বরে দায়িত্ব নেয় এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশন। আসছে মেতে তাদের ছয় মাস পূর্ণ হবে। এর মধ্যেই ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজও শেষ হবে। আর ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে নিজেদের মেয়াদের ১৩ মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের কাজ সারতে হবে এই কমিশনকে।
সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চলমান সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি সাপেক্ষে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। তবে নির্বাচন কমিশন বলছে, এ বছরের ডিসেম্বরেই টার্গেট; সেজন্য জুলাই-আগস্টের মধ্যে সব প্রস্তুতিমূলক কাজ গুছিয়ে রাখা হবে। মত বিনিময় করা হবে অংশীজনদের সঙ্গে। অক্টোবরের দিকে তফসিল ঘোষণারও পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।
প্রবাসীদের দ্রুত ভোটিং পদ্ধতির জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া হচ্ছে
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিতে ডিসেম্বরকে লক্ষ্য ধরে ‘কর্মপরিকল্পনা’ সাজাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটের অন্তত ছয় মাস আগে দুই ডজন বিষয়ভিত্তিক কাজের ফর্দ তৈরি করে রাখতে রোডম্যাপের আদলে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ খসড়া তৈরির কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। আর প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে দ্রুত ভোটিং পদ্ধতি হিসেবে ‘প্রক্সি ভোটিং’ কে গুরুত্ব দিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া শুরু করেছে ইসি। এজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, এমআইএসটি এবং সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগীদের মতামত নিতে কর্মশালার আয়োজন করে কমিশন।
নির্বাচন কমিশন প্রাক নির্বাচন ও তফসিল পূর্ববর্তী ‘প্রাথমিক কর্মপরিকল্পনা’ এবং তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন পরিচালনার জন্য ‘কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সূচি’ সংক্রান্ত চেক লিস্ট তৈরি করে কাজের সুবিধার জন্য। সে হিসেবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিতে ডিসেম্বরকে লক্ষ্য ধরেই ‘কর্মপরিকল্পনা’ এগিয়ে নিচ্ছে এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের ভাষ্য, ডিসেম্বরে নির্বাচন, এটা ‘আয়নার মতো পরিষ্কার’ হয়ে আছে। এখন বিভ্রান্তি দূর করতে ভোটের প্রাথমিক কাজ শেষ করে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ প্রকাশ করতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) দিনব্যাপী ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটদান পদ্ধতি নির্ধারণ’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে ইসি। এতে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ৮০ জন অংশ নেন। কারিগরি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রবাসীদের ভোটাধিকার
নিশ্চিত করতে দ্রুত ভোটিং পদ্ধতি চূড়ান্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসিরউদ্দিন।
কর্মশালায় সিইসি এএমএম নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। বিশেষজ্ঞদের আজকের কর্মশালা থেকে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি নির্ধারণ হবে আশা করি। যে পদ্ধতি আপনারা সাজেস্ট করবেন, সে অনুযায়ী আমরা উদ্যোগ নেব। এরপরই পদ্ধতি নিয়ে একটা আর্কিটেকচার দাঁড় করানো হবে।’ পাইলটিংয়ের মাধ্যমে কোনো কোনো দেশে ভোটিং পদ্ধতি চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।
সিইসি বলেন, ‘সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা, ভোটারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং প্রবাসীদের বাস্তবতা বিবেচনায় আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রবাসীদের ভোট দেয়ার বিষয়ে যে পদ্ধতিতেই আমরা আগাই না কেন, প্রথমে পাইলটিং, পরে স্বল্প পরিসরে করতে হবে, এরপর বড় পরিসরে যেতে হবে।’
তিনি জানান, ‘বর্তমানে দেশের মধ্যে পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থা চালু রয়েছে। নিবন্ধিত ভোটাররা, যারা কারাগারে বা আইনি হেফাজতে আছেন, বাংলাদেশি প্রবাসীরা এবং নির্বাচনি কর্মকর্তারা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার ব্যবহার করতে পারেন।’
ইসি কর্মকর্তারা জানান, পোস্টাল ও অনলাইন ভোটিংয়ের চেয়ে ‘প্রক্সি ভোটিং’ পদ্ধতিকে গুরুত্ব দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, এমআইএসটি এবং সরকারি-বেসরকারি-উন্নয়ন সহযোগীদের মতামত নেয়ার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এই কর্মশালা হচ্ছে।
গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতার পালাবদলের পর ২০২৪ সালের নভেম্বরে দায়িত্ব নেয় এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশন। আসছে মেতে তাদের ছয় মাস পূর্ণ হবে। এর মধ্যেই ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজও শেষ হবে। আর ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে নিজেদের মেয়াদের ১৩ মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের কাজ সারতে হবে এই কমিশনকে।
সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চলমান সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি সাপেক্ষে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। তবে নির্বাচন কমিশন বলছে, এ বছরের ডিসেম্বরেই টার্গেট; সেজন্য জুলাই-আগস্টের মধ্যে সব প্রস্তুতিমূলক কাজ গুছিয়ে রাখা হবে। মত বিনিময় করা হবে অংশীজনদের সঙ্গে। অক্টোবরের দিকে তফসিল ঘোষণারও পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।