বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় নিজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ বলে আখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেন, “এটা পুরোপুরি আমাকে হয়রানি করার একটি কৌশল।”
লন্ডনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তাঁর সঙ্গে কখনো যোগাযোগ করেনি। বরং মিডিয়ায় একতরফাভাবে তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “এমন কোনো প্রমাণ নেই যে আমি ভুল কিছু করেছি।”
দুদকের প্লট বরাদ্দ-সংক্রান্ত মামলায় শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, ভাগ্নে রাদওয়ান মুজিব ববি, ভাগ্নি রূপন্তীসহ মোট ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গত রোববার ঢাকার একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এদিকে, টিউলিপের আইনজীবীরা জানান, দুদক শুধুমাত্র গণমাধ্যমের মাধ্যমে অভিযোগ তুলে ধরেছে, অথচ তাদের কোনো আইনি নোটিস দেওয়া হয়নি। এক বিবৃতিতে তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়, “অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা লিখিতভাবে তা মোকাবিলা করছি।”
দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে তারা তদন্ত করছে, যেটির সূত্রপাত ববি হাজ্জাজ নামের একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির অভিযোগ থেকে। এসব অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ৩৯০ কোটি পাউন্ড আত্মসাতের প্রমাণ খুঁজে দেখার কথা জানানো হয়।
একটি মামলার নথিতে দাবি করা হয়, ২০১৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত চুক্তিতে টিউলিপ সিদ্দিক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখেন, যেখানে প্রকল্পের ব্যয় অতিরিক্ত দেখানো হয়েছিল।
তবে দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, “আমরা কাউকে নিশানা করছি না। অভিযোগগুলো দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “টিউলিপ সিদ্দিক যদি দেশে ফিরে আইনি প্রক্রিয়ায় অংশ নেন, তবে তাকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়া হবে।”
মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় নিজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ বলে আখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেন, “এটা পুরোপুরি আমাকে হয়রানি করার একটি কৌশল।”
লন্ডনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তাঁর সঙ্গে কখনো যোগাযোগ করেনি। বরং মিডিয়ায় একতরফাভাবে তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “এমন কোনো প্রমাণ নেই যে আমি ভুল কিছু করেছি।”
দুদকের প্লট বরাদ্দ-সংক্রান্ত মামলায় শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, ভাগ্নে রাদওয়ান মুজিব ববি, ভাগ্নি রূপন্তীসহ মোট ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গত রোববার ঢাকার একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এদিকে, টিউলিপের আইনজীবীরা জানান, দুদক শুধুমাত্র গণমাধ্যমের মাধ্যমে অভিযোগ তুলে ধরেছে, অথচ তাদের কোনো আইনি নোটিস দেওয়া হয়নি। এক বিবৃতিতে তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়, “অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা লিখিতভাবে তা মোকাবিলা করছি।”
দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে তারা তদন্ত করছে, যেটির সূত্রপাত ববি হাজ্জাজ নামের একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির অভিযোগ থেকে। এসব অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ৩৯০ কোটি পাউন্ড আত্মসাতের প্রমাণ খুঁজে দেখার কথা জানানো হয়।
একটি মামলার নথিতে দাবি করা হয়, ২০১৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত চুক্তিতে টিউলিপ সিদ্দিক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখেন, যেখানে প্রকল্পের ব্যয় অতিরিক্ত দেখানো হয়েছিল।
তবে দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, “আমরা কাউকে নিশানা করছি না। অভিযোগগুলো দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “টিউলিপ সিদ্দিক যদি দেশে ফিরে আইনি প্রক্রিয়ায় অংশ নেন, তবে তাকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়া হবে।”