প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী বলেছেন, মেঘনা আলমের সঙ্গে প্রথমবারের মতো বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগ হচ্ছে—বিষয়টি এমন নয়। তিনি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ এসেছে, বিষয়টি আদালতে রয়েছে, তাই বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে এক সাংবাদিক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে জানতে চান, ৯ এপ্রিল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারের প্রয়োজন কেন হলো। জবাবে খোদা বখস চৌধুরী বলেন, ‘আপনার প্রশ্ন শুনে মনে হচ্ছে সরকার একটা বেআইনি কাজ করে ফেলেছে। এই আইন যে ব্যবহৃত হচ্ছে না, তা নয়। তাঁরা আদালতে গেছেন। আদালত আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। আমরা আদালতকে জবাব দেব।’
পরে আরেক সাংবাদিক খোদা বখস চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, মেঘনা আলমের গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া সঠিক হয়নি বলে আইন উপদেষ্টা মন্তব্য করেছেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘আইন উপদেষ্টা কোন প্রেক্ষাপটে এই কথা বলেছেন, তা আমরা জানি না। তিনি আমাদের কাছে এ বিষয়ে কিছু জানতেও চাননি। এখন বিষয়টি আদালতে চলে গেছে।’
অন্য এক সাংবাদিক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ১০ এপ্রিল সুনামগঞ্জে তিনি একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, জনগণ এই সরকারকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চায়—এই মন্তব্যের প্রেক্ষাপট কী। উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি তো বলিনি সরকার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে চায়। এটা জনগণ বলেছে। সরকার তো বলেই দিয়েছে, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। আমি রাজনীতিবিদ নই, আমার এই কথা বলার প্রশ্নই ওঠে না।’
ডিবির প্রধান রেজাউল করিম মল্লিককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশের পদগুলোতে যাবে, আসবে—এটাই নিয়ম। মেঘনা আলমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁকে সরানো হয়নি। তিনি হয়তো অসুস্থ, সে জন্য তাঁকে সরানো হয়েছে।’
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আট মাস পার হলেও পুলিশ এখনো দায়িত্ব পালন করছে না, জনগণের অভিযোগ নিচ্ছে না—এমন অভিযোগের বিষয়ে খোদা বখস চৌধুরী বলেন, পুলিশ অভিযোগ নেয় না—এটা আজকের অভিযোগ নয়, বহু পুরোনো। অন্তর্বর্তী সরকার দুটি বিষয় অনলাইনে করতে যাচ্ছে—এক: জেনারেল ডায়েরি (জিডি), দুই: এফআইআর বা অভিযোগপত্র। প্রথমে দুটি জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইনে জিডি নেওয়া শুরু হবে। পরে এফআইআর নেওয়া শুরু হবে। ধীরে ধীরে একটি স্থায়ী সমাধান হবে।
জুলাই আন্দোলনে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে চুনোপুঁটিদের ধরা হচ্ছে, রাঘববোয়ালদের ধরা হচ্ছে না—এমন মন্তব্যের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘রাঘববোয়ালদের কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের জালে আসতে হবে। রাঘববোয়ালরা জালে আসার পর যদি ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন আপনারা অভিযোগ করতে পারেন।’
মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী বলেছেন, মেঘনা আলমের সঙ্গে প্রথমবারের মতো বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগ হচ্ছে—বিষয়টি এমন নয়। তিনি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ এসেছে, বিষয়টি আদালতে রয়েছে, তাই বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে এক সাংবাদিক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে জানতে চান, ৯ এপ্রিল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারের প্রয়োজন কেন হলো। জবাবে খোদা বখস চৌধুরী বলেন, ‘আপনার প্রশ্ন শুনে মনে হচ্ছে সরকার একটা বেআইনি কাজ করে ফেলেছে। এই আইন যে ব্যবহৃত হচ্ছে না, তা নয়। তাঁরা আদালতে গেছেন। আদালত আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। আমরা আদালতকে জবাব দেব।’
পরে আরেক সাংবাদিক খোদা বখস চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, মেঘনা আলমের গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া সঠিক হয়নি বলে আইন উপদেষ্টা মন্তব্য করেছেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘আইন উপদেষ্টা কোন প্রেক্ষাপটে এই কথা বলেছেন, তা আমরা জানি না। তিনি আমাদের কাছে এ বিষয়ে কিছু জানতেও চাননি। এখন বিষয়টি আদালতে চলে গেছে।’
অন্য এক সাংবাদিক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ১০ এপ্রিল সুনামগঞ্জে তিনি একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, জনগণ এই সরকারকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চায়—এই মন্তব্যের প্রেক্ষাপট কী। উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি তো বলিনি সরকার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে চায়। এটা জনগণ বলেছে। সরকার তো বলেই দিয়েছে, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। আমি রাজনীতিবিদ নই, আমার এই কথা বলার প্রশ্নই ওঠে না।’
ডিবির প্রধান রেজাউল করিম মল্লিককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশের পদগুলোতে যাবে, আসবে—এটাই নিয়ম। মেঘনা আলমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁকে সরানো হয়নি। তিনি হয়তো অসুস্থ, সে জন্য তাঁকে সরানো হয়েছে।’
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আট মাস পার হলেও পুলিশ এখনো দায়িত্ব পালন করছে না, জনগণের অভিযোগ নিচ্ছে না—এমন অভিযোগের বিষয়ে খোদা বখস চৌধুরী বলেন, পুলিশ অভিযোগ নেয় না—এটা আজকের অভিযোগ নয়, বহু পুরোনো। অন্তর্বর্তী সরকার দুটি বিষয় অনলাইনে করতে যাচ্ছে—এক: জেনারেল ডায়েরি (জিডি), দুই: এফআইআর বা অভিযোগপত্র। প্রথমে দুটি জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইনে জিডি নেওয়া শুরু হবে। পরে এফআইআর নেওয়া শুরু হবে। ধীরে ধীরে একটি স্থায়ী সমাধান হবে।
জুলাই আন্দোলনে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে চুনোপুঁটিদের ধরা হচ্ছে, রাঘববোয়ালদের ধরা হচ্ছে না—এমন মন্তব্যের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘রাঘববোয়ালদের কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের জালে আসতে হবে। রাঘববোয়ালরা জালে আসার পর যদি ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন আপনারা অভিযোগ করতে পারেন।’