সরকার রাজস্ব আদায় বাড়াতে ও আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তবে এই মূল্যবৃদ্ধি সাময়িক বলে তিনি মন্তব্য করেন। তার মতে, বাজারে সরবরাহ ও প্রতিযোগিতা বাড়লে ভবিষ্যতে দাম কমে আসবে।
মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ভোজ্যতেলের আমদানি ও সরবরাহ–সংক্রান্ত এক বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। পরে সচিবালয়ে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পর সয়াবিন ও পাম তেলের নতুন দাম ঘোষণা করা হয়।
ঘোষণা অনুযায়ী, বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম যথাক্রমে ১২ টাকা বাড়িয়ে লিটারপ্রতি ১৬৯ টাকা করা হয়েছে। বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২২ টাকা, যা আগে ছিল ৮৫২ টাকা।
ভোজ্যতেল আমদানি, উৎপাদন ও বিপণন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ ছিল। গত ১৭ অক্টোবর সরকার ভ্যাট কমিয়ে ১০ শতাংশ করে এবং নভেম্বরে আরও ৫ শতাংশ ছাড় দেয়। এই ভ্যাট ছাড়ের মেয়াদ শেষ হয় ৩১ মার্চ। এরপর ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলো দাম বাড়ানোর আবেদন জানায়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, সরকার প্রতি মাসে প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা রাজস্ব ছাড় দিচ্ছিল, রমজান পর্যন্ত যা প্রায় ২ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়ায়। তবে সরকারি ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে এভাবে দীর্ঘমেয়াদি রাজস্ব ছাড় দেওয়া সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারদর, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের ফর্মুলা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ফর্মুলা অনুযায়ী, বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম হওয়ার কথা ছিল ১৯৭ টাকা। তবে আলোচনা অনুযায়ী তা ১৮৯ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশে বছরে প্রায় ৩০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে, যার মধ্যে ৭ লাখ টন স্থানীয় শর্ষে থেকে এবং নতুন করে ৬ লাখ টন রাইসব্র্যান তেল থেকে আসে। সেনাকল্যাণ সংস্থার তেল বাজারে আসার পাশাপাশি আরও দুটি নতুন কোম্পানি উৎপাদনে এসেছে, এবং আগামী কয়েক মাসে আরও কয়েকটি কোম্পানি উৎপাদনে আসবে বলেও জানান তিনি।
গরমকালে পাম তেলের চাহিদা বাড়ে, ফলে সয়াবিনের ওপর চাপ কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। ভ্যাট অব্যাহতি কিছুটা দীর্ঘায়িত করা সম্ভব কি না, তা নিয়েও সরকার চিন্তা করেছে বলে জানান তিনি। তবে বর্তমানে এটি একটি সংবেদনশীল বিষয়।
চালের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চিকন চালের দাম বাড়তির দিকে। তবে সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই নতুন বোরো ধান বাজারে আসবে, ফলে চালের দাম সহনীয় হয়ে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
সরকার রাজস্ব আদায় বাড়াতে ও আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তবে এই মূল্যবৃদ্ধি সাময়িক বলে তিনি মন্তব্য করেন। তার মতে, বাজারে সরবরাহ ও প্রতিযোগিতা বাড়লে ভবিষ্যতে দাম কমে আসবে।
মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ভোজ্যতেলের আমদানি ও সরবরাহ–সংক্রান্ত এক বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। পরে সচিবালয়ে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পর সয়াবিন ও পাম তেলের নতুন দাম ঘোষণা করা হয়।
ঘোষণা অনুযায়ী, বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম যথাক্রমে ১২ টাকা বাড়িয়ে লিটারপ্রতি ১৬৯ টাকা করা হয়েছে। বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২২ টাকা, যা আগে ছিল ৮৫২ টাকা।
ভোজ্যতেল আমদানি, উৎপাদন ও বিপণন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ ছিল। গত ১৭ অক্টোবর সরকার ভ্যাট কমিয়ে ১০ শতাংশ করে এবং নভেম্বরে আরও ৫ শতাংশ ছাড় দেয়। এই ভ্যাট ছাড়ের মেয়াদ শেষ হয় ৩১ মার্চ। এরপর ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলো দাম বাড়ানোর আবেদন জানায়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, সরকার প্রতি মাসে প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা রাজস্ব ছাড় দিচ্ছিল, রমজান পর্যন্ত যা প্রায় ২ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়ায়। তবে সরকারি ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে এভাবে দীর্ঘমেয়াদি রাজস্ব ছাড় দেওয়া সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারদর, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের ফর্মুলা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ফর্মুলা অনুযায়ী, বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম হওয়ার কথা ছিল ১৯৭ টাকা। তবে আলোচনা অনুযায়ী তা ১৮৯ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশে বছরে প্রায় ৩০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে, যার মধ্যে ৭ লাখ টন স্থানীয় শর্ষে থেকে এবং নতুন করে ৬ লাখ টন রাইসব্র্যান তেল থেকে আসে। সেনাকল্যাণ সংস্থার তেল বাজারে আসার পাশাপাশি আরও দুটি নতুন কোম্পানি উৎপাদনে এসেছে, এবং আগামী কয়েক মাসে আরও কয়েকটি কোম্পানি উৎপাদনে আসবে বলেও জানান তিনি।
গরমকালে পাম তেলের চাহিদা বাড়ে, ফলে সয়াবিনের ওপর চাপ কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। ভ্যাট অব্যাহতি কিছুটা দীর্ঘায়িত করা সম্ভব কি না, তা নিয়েও সরকার চিন্তা করেছে বলে জানান তিনি। তবে বর্তমানে এটি একটি সংবেদনশীল বিষয়।
চালের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চিকন চালের দাম বাড়তির দিকে। তবে সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই নতুন বোরো ধান বাজারে আসবে, ফলে চালের দাম সহনীয় হয়ে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।