মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে বেআইনি কিছু করা হয়নি বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী। তিনি বলেছেন, তাকে (মেঘনা আলম) যে আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটির প্রয়োগও এই দেশে নতুন নয়।
মঙ্গলবার (১৫এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে খোদা বখস চৌধুরী এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান ‘সফলভাবে’ আয়োজন করায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। প্রথম পাঁচ মিনিট শুধু ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
উষ্মা প্রকাশ
প্রশ্নোত্তর পর্বের প্রথমে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘গত ৯ এপ্রিল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারের প্রয়োজন হলো কেন? পহেলা বৈশাখের পর এ রকম একটা আনন্দময় পরিবেশে কেন এই প্রশ্ন, তা নিয়ে প্রথমে উষ্মা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও পুলিশের সাবেক আইজি খোদা বখস চৌধুরী।
পরে প্রশ্নের জবাব দিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকের মিটিংয়ের বিষয়টি ছিল আপনাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন। এর মধ্যে আপনার প্রশ্ন শুনে মনে হচ্ছে সরকার একটা বেআইনি কাজ করে ফেলেছে। পহেলা বৈশাখের একটা ভালো অনুষ্ঠান হয়েছে, আমরা সবাই আনন্দিত, এখানে এটা না বললে হতো না?’
খোদা বখস চৌধুরী বলেন, ‘এই আইন তো ব্যবহার হচ্ছে। এই একটা ক্ষেত্রে যে এই আইন ব্যবহার হচ্ছে, তা তো নয়। এটা তো বেআইনি কাজ না। তার (মেঘনা আলম) বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ এসেছে। এটা নিয়ে কাজ হচ্ছে। বিষয়টি হাইকোর্টে গেছে।’
বিচারাধীন বিষয়
তিনি বলেন, ‘বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলা তো ঠিক হবে না। দেখি সেখান থেকে কী আসে। তবে একটা বিষয় নিশ্চিত প্রচলিত আইনেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, এখানে কারও বিরুদ্ধে কোনো বেআইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।’
৯ এপ্রিল রাতে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে ‘সাবেক মিস আর্থ বাংলাদেশ’ মেঘনা আলমকে আটক করা হয়।
আটকের আগে ফেইসবুক লাইভে এসে বাসার ‘দরজা ভেঙে পুলিশ পরিচয়ধারীরা’ ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তাকে আটক করার পরপরই লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়। ১২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা ওই লাইভ, এরপর তার আইডি থেকে ডিলিট হয়ে যায়। তবে এর আগেই ফেইসবুকে তা ছড়িয়ে পড়ে।
পরে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেঘনা আলমকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে উপস্থাপন করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ডিবির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর হাকিম মো. সেফাতুল্লাহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনাকে ৩০ দিন কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেন।
রুল জারি
গত রোববার মেঘনা আলমের আটকাদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন তার বাবা বদরুল আলম। পরে তা শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। সে দিনই বিশেষ ক্ষমতা আইনে তার আটকাদেশকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং তাকে মুক্তির কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। এ ছাড়া তাকে যে প্রক্রিয়ায় বাসা থেকে তুলে নেয়া হয়েছে তা অসাংবিধানিক ও মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী কেন নয় তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
খোদা বখস চৌধুরী বলেন, ‘একটা আদেশ আদালতের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে যখন কাজটা হয় তখন তো আপনাকে আদালতকে জিজ্ঞেস করতে হবে। আর এটা এখন হাইকোর্টে চলে গেছে এখানে আমাদের মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’
আমরা জানি না
মেঘনা আলমের গ্রেপ্তার প্রক্রিয়াটা সঠিক হয়নি বলে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল গত রোববার মন্তব্য
করেছেন। এ বিষয়ে খোদা বখস চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে জবাবে তিনি বলেন, ‘আইন উপদেষ্টা কোন পরিপ্রেক্ষিতে এই কথাটি বলেছেন, আমরা জানি না। তিনি আমাদের কাছে এ বিষয়ে কিছু জানতেও চাননি। কাজেই এখন উত্তরটা দিলে তো সঠিক প্রেক্ষাপট আসবে না। এখন বিষয়টি আদালতে চলে গেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী দুজনেই মেঘনা আলমের বিষয়ে প্রশ্ন নিতে অনাগ্রহী ছিলেন।
ডিবিপ্রধানকে সরানো
মডেল মেঘনা আলমের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধানের দায়িত্ব থেকে অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিককে সরিয়ে দেয়া হয়েছে এমন আলোচনার বিষয়ে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এগুলো তো রুটিন বিষয়। মেঘনা আলমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে সরানো হয়নি। উনি হয়তো অসুস্থ আছেন সেজন্য হতে পারে।’
মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে বেআইনি কিছু করা হয়নি বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী। তিনি বলেছেন, তাকে (মেঘনা আলম) যে আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটির প্রয়োগও এই দেশে নতুন নয়।
মঙ্গলবার (১৫এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে খোদা বখস চৌধুরী এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান ‘সফলভাবে’ আয়োজন করায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। প্রথম পাঁচ মিনিট শুধু ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
উষ্মা প্রকাশ
প্রশ্নোত্তর পর্বের প্রথমে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘গত ৯ এপ্রিল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারের প্রয়োজন হলো কেন? পহেলা বৈশাখের পর এ রকম একটা আনন্দময় পরিবেশে কেন এই প্রশ্ন, তা নিয়ে প্রথমে উষ্মা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও পুলিশের সাবেক আইজি খোদা বখস চৌধুরী।
পরে প্রশ্নের জবাব দিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকের মিটিংয়ের বিষয়টি ছিল আপনাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন। এর মধ্যে আপনার প্রশ্ন শুনে মনে হচ্ছে সরকার একটা বেআইনি কাজ করে ফেলেছে। পহেলা বৈশাখের একটা ভালো অনুষ্ঠান হয়েছে, আমরা সবাই আনন্দিত, এখানে এটা না বললে হতো না?’
খোদা বখস চৌধুরী বলেন, ‘এই আইন তো ব্যবহার হচ্ছে। এই একটা ক্ষেত্রে যে এই আইন ব্যবহার হচ্ছে, তা তো নয়। এটা তো বেআইনি কাজ না। তার (মেঘনা আলম) বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ এসেছে। এটা নিয়ে কাজ হচ্ছে। বিষয়টি হাইকোর্টে গেছে।’
বিচারাধীন বিষয়
তিনি বলেন, ‘বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলা তো ঠিক হবে না। দেখি সেখান থেকে কী আসে। তবে একটা বিষয় নিশ্চিত প্রচলিত আইনেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, এখানে কারও বিরুদ্ধে কোনো বেআইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।’
৯ এপ্রিল রাতে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে ‘সাবেক মিস আর্থ বাংলাদেশ’ মেঘনা আলমকে আটক করা হয়।
আটকের আগে ফেইসবুক লাইভে এসে বাসার ‘দরজা ভেঙে পুলিশ পরিচয়ধারীরা’ ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তাকে আটক করার পরপরই লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়। ১২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা ওই লাইভ, এরপর তার আইডি থেকে ডিলিট হয়ে যায়। তবে এর আগেই ফেইসবুকে তা ছড়িয়ে পড়ে।
পরে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেঘনা আলমকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে উপস্থাপন করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ডিবির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর হাকিম মো. সেফাতুল্লাহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনাকে ৩০ দিন কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেন।
রুল জারি
গত রোববার মেঘনা আলমের আটকাদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন তার বাবা বদরুল আলম। পরে তা শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। সে দিনই বিশেষ ক্ষমতা আইনে তার আটকাদেশকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং তাকে মুক্তির কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। এ ছাড়া তাকে যে প্রক্রিয়ায় বাসা থেকে তুলে নেয়া হয়েছে তা অসাংবিধানিক ও মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী কেন নয় তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
খোদা বখস চৌধুরী বলেন, ‘একটা আদেশ আদালতের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে যখন কাজটা হয় তখন তো আপনাকে আদালতকে জিজ্ঞেস করতে হবে। আর এটা এখন হাইকোর্টে চলে গেছে এখানে আমাদের মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’
আমরা জানি না
মেঘনা আলমের গ্রেপ্তার প্রক্রিয়াটা সঠিক হয়নি বলে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল গত রোববার মন্তব্য
করেছেন। এ বিষয়ে খোদা বখস চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে জবাবে তিনি বলেন, ‘আইন উপদেষ্টা কোন পরিপ্রেক্ষিতে এই কথাটি বলেছেন, আমরা জানি না। তিনি আমাদের কাছে এ বিষয়ে কিছু জানতেও চাননি। কাজেই এখন উত্তরটা দিলে তো সঠিক প্রেক্ষাপট আসবে না। এখন বিষয়টি আদালতে চলে গেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী দুজনেই মেঘনা আলমের বিষয়ে প্রশ্ন নিতে অনাগ্রহী ছিলেন।
ডিবিপ্রধানকে সরানো
মডেল মেঘনা আলমের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধানের দায়িত্ব থেকে অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিককে সরিয়ে দেয়া হয়েছে এমন আলোচনার বিষয়ে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এগুলো তো রুটিন বিষয়। মেঘনা আলমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে সরানো হয়নি। উনি হয়তো অসুস্থ আছেন সেজন্য হতে পারে।’