ইউক্রেনের সামিতে রাশিয়ার জোড়া মিসাইল হামলায় ৩৫ জন নিহত ও শতাধিক আহতের ঘটনার পরদিনই রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনিস্কিকে দায়ী করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেন, এই যুদ্ধে লাখো মানুষের মৃত্যুর জন্য পুতিনের মতো জেলেনিস্কিও দায়ী।
ট্রাম্প বলেন, তুমি তো তোমার চেয়ে ২০ গুণ শক্তিধর কারও সঙ্গে যুদ্ধে বাড়াতে পারো না। আশাও করতে পারো না তোমাকে অন্যরা মিসাইল দেবে। রাশিয়ার সর্বশেষ হামলায় বেসামরিক মানুষের নিহত হওয়ার খবরে তা নিয়ে ব্যাপক সরব ইউক্রেনের মিত্র দেশগুলোর সরকার প্রধানরা।
এই হামলা নিয়েই হোয়াইট হাউজে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তারই উত্তরে তিনি বলেন, ‘ভয়াবহ’।
তিনি বলেন, আমি জেনেছি রাশিয়া একটু ভুল করেছে।
যদিও রাশিয়া ঠিক কোথায় ভুল করেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
তিনি বলেন, তিন ব্যক্তির কারণে লাখো লাখো মানুষ নিহত হয়েছে। প্রথমে ধরুন, ট্রাম্প। এরপর বাইডেন। তিনি তো বুঝতেই পারতেন না তিনি কী করছেন। আর দায়ী জেলেনিস্কি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে এ পর্যন্ত কয়েক লাখ মানুষ মারা গেছে। তবে তা দশ লাখের বেশি হবে না।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, জেলেনিস্কি সবসময় মিসাইল কেনার তালে আছে।
তিনি বলেন, তুমি তখনই যুদ্ধে জড়াবে, যখন তুমি জানো সেই যুদ্ধে তুমি জিতবে। ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য জেলেনিস্কিকে দায়ী করে আসছেন ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর জেলেনিস্কির সঙ্গে বৈঠকে প্রকাশ্যই বচসা হয়েছে ট্রাম্পের। সেই উত্তেজনা এখনও আছে।
ওই বৈঠকে, ট্রাম্প বলেন, তৃতীয় বিশ^যুদ্ধ বাধানোর পাঁয়তারা করছেন জেলেনিস্কি। রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু না করায় তার ওপর ক্ষোভও প্রকাশ করতে দেখা যায় ট্রাম্পকে।
তবে পুতিনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে সচেষ্ট দেখা গেছে ট্রাম্পকে। গত মাসে টেলিফোনেও কথা হয়েছে তাদের। সেই ফোনালাপকে দারুণ বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। জানান, আলোচনার পর ট্রাম্পকে উপহার হিসেবে একটি পোর্ট্রেটেও পাঠিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়াকে আগ্রাসনকারী হিসেবে উল্লেখ করায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে একযোগে জাতিসংঘের রেজ্যুলেশনের বিরুদ্ধে ভোট দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
উভয় দেশের কর্মকর্তারা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করলেও তাতে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি এখনও হয়নি। মাঝে ট্রাম্প এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
গত শুক্রবার ট্রাম্পের দূত স্টিভ
উইটকফের সঙ্গে পুতিনের বৈঠক শেষ হয়।
তিনি বলেন, আমরা খুব ভালো কিছুর দ্বারপ্রান্তে। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নতুন রূপ পারছার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বাণিজ্যিক সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে এই অঞ্চলে আমরা শান্তি আনবো।
আর রাশিয়ার সর্বশেষ হামলার আগে জেলেনিস্কি ট্রাম্পকে একবার ইউক্রেন ঘুরে যেতে আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবারের হামলার পর ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার দাবি করলেও রাশিয়া বলেছে, তাদের হামলায় ৬০ জন ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে।
উভয় দেশের এই যুদ্ধ শুরু হয় ২০১৪ সালে।
মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
ইউক্রেনের সামিতে রাশিয়ার জোড়া মিসাইল হামলায় ৩৫ জন নিহত ও শতাধিক আহতের ঘটনার পরদিনই রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনিস্কিকে দায়ী করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেন, এই যুদ্ধে লাখো মানুষের মৃত্যুর জন্য পুতিনের মতো জেলেনিস্কিও দায়ী।
ট্রাম্প বলেন, তুমি তো তোমার চেয়ে ২০ গুণ শক্তিধর কারও সঙ্গে যুদ্ধে বাড়াতে পারো না। আশাও করতে পারো না তোমাকে অন্যরা মিসাইল দেবে। রাশিয়ার সর্বশেষ হামলায় বেসামরিক মানুষের নিহত হওয়ার খবরে তা নিয়ে ব্যাপক সরব ইউক্রেনের মিত্র দেশগুলোর সরকার প্রধানরা।
এই হামলা নিয়েই হোয়াইট হাউজে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তারই উত্তরে তিনি বলেন, ‘ভয়াবহ’।
তিনি বলেন, আমি জেনেছি রাশিয়া একটু ভুল করেছে।
যদিও রাশিয়া ঠিক কোথায় ভুল করেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
তিনি বলেন, তিন ব্যক্তির কারণে লাখো লাখো মানুষ নিহত হয়েছে। প্রথমে ধরুন, ট্রাম্প। এরপর বাইডেন। তিনি তো বুঝতেই পারতেন না তিনি কী করছেন। আর দায়ী জেলেনিস্কি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে এ পর্যন্ত কয়েক লাখ মানুষ মারা গেছে। তবে তা দশ লাখের বেশি হবে না।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, জেলেনিস্কি সবসময় মিসাইল কেনার তালে আছে।
তিনি বলেন, তুমি তখনই যুদ্ধে জড়াবে, যখন তুমি জানো সেই যুদ্ধে তুমি জিতবে। ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য জেলেনিস্কিকে দায়ী করে আসছেন ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর জেলেনিস্কির সঙ্গে বৈঠকে প্রকাশ্যই বচসা হয়েছে ট্রাম্পের। সেই উত্তেজনা এখনও আছে।
ওই বৈঠকে, ট্রাম্প বলেন, তৃতীয় বিশ^যুদ্ধ বাধানোর পাঁয়তারা করছেন জেলেনিস্কি। রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু না করায় তার ওপর ক্ষোভও প্রকাশ করতে দেখা যায় ট্রাম্পকে।
তবে পুতিনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে সচেষ্ট দেখা গেছে ট্রাম্পকে। গত মাসে টেলিফোনেও কথা হয়েছে তাদের। সেই ফোনালাপকে দারুণ বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। জানান, আলোচনার পর ট্রাম্পকে উপহার হিসেবে একটি পোর্ট্রেটেও পাঠিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়াকে আগ্রাসনকারী হিসেবে উল্লেখ করায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে একযোগে জাতিসংঘের রেজ্যুলেশনের বিরুদ্ধে ভোট দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
উভয় দেশের কর্মকর্তারা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করলেও তাতে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি এখনও হয়নি। মাঝে ট্রাম্প এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
গত শুক্রবার ট্রাম্পের দূত স্টিভ
উইটকফের সঙ্গে পুতিনের বৈঠক শেষ হয়।
তিনি বলেন, আমরা খুব ভালো কিছুর দ্বারপ্রান্তে। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নতুন রূপ পারছার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বাণিজ্যিক সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে এই অঞ্চলে আমরা শান্তি আনবো।
আর রাশিয়ার সর্বশেষ হামলার আগে জেলেনিস্কি ট্রাম্পকে একবার ইউক্রেন ঘুরে যেতে আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবারের হামলার পর ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার দাবি করলেও রাশিয়া বলেছে, তাদের হামলায় ৬০ জন ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে।
উভয় দেশের এই যুদ্ধ শুরু হয় ২০১৪ সালে।