ইরানের রাজধানী তেহরানে রাতের বেলার ছবি -সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সায় না থাকলেও ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সীমিত আকারে হামলা করার কথা ভাবছে। ইসরায়েলের দুই কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এ রকম খবরই দিচ্ছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইসরায়েলের নেতারা বলে যাচ্ছেন, ইরানের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র যেতে দেয়া হবে না এবং পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ বন্ধ করলেই কেবল তাদের সঙ্গে সমঝোতা হতে পারে।
এর মধ্যেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনি ইয়ামিন নেতানিয়াহু বেশ কয়েকবারই ইরানে আক্রমণের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে ট্রাম্প প্রশাসন তাতে রাজি হয়নি। এখন ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। দুইপক্ষই বৈঠককে গঠনমূলক মনে করছে এবং এ বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তারা একমত হয়েছে।
তবে নাম প্রকাশ না করে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের সামর্থ্য নস্যাৎ করতে আগামী কয়েক মাস বা বছর বা কয়েক বছরের মধ্যে বিমান ও কমান্ডো হামলার পরিকল্পনা করছে তারা।
তবে গত বুধবার নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি মাসের শুরুতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই মুহূর্তে ইরানের সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। স্বল্পমেয়াদি কোনো আক্রমণে সমর্থন দেয়ার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই।
তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, যে ছোট আকারের হামলা চালানোর কথা তারা ভাবছেন, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের দরকার পড়বে না।
প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রকে যে ধরনের হামলার প্রস্তাব ইসরায়েল দিয়েছিল, তার মাত্রা কমিয়ে আনা হয়েছে বলে ওই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছেন রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
তবে হামলার সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে ইসরায়েলি ওই কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কোনো ধারণা পায়নি রয়টার্স। তবে ইসরায়েল যদি সত্যি সত্যি এ ধরনের হামলা করেই বসে, তাহলে যে ট্রাম্প আরও একা হয়ে পড়বেন এবং তাকে যে ইসরায়েলের দিকে আরও ঝুঁঁকতে হবে সেই বিশ্লেষণও করেছে রয়টার্স।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানে হামলার এই পরিকল্পনা ইসরায়েল আংশিকভাবে উপস্থাপন করেছিল বাইডেন প্রশাসনের কাছে। যুক্তরাষ্ট্রের দুইজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, হামলা করার জন্য সামরিক ও গোয়েন্দা উভয়ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চায় ইসরায়েল। এছাড়া ইরানের পাল্টা আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা চাওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে।
এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় রয়টার্সের পক্ষ থেকে। তারা এ বিষয়ে ট্রাম্পের বক্তব্যেই উত্তর আছে বলে জানান। গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, হামলার চিন্তা একেবারে বাদ দিতে বলছি এমন নয়, কিন্তু ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের বিষয়ে আমার কোনো তাড়াহুড়াও নেই।
ইরানের রাজধানী তেহরানে রাতের বেলার ছবি -সংগৃহীত
রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের সায় না থাকলেও ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সীমিত আকারে হামলা করার কথা ভাবছে। ইসরায়েলের দুই কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এ রকম খবরই দিচ্ছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইসরায়েলের নেতারা বলে যাচ্ছেন, ইরানের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র যেতে দেয়া হবে না এবং পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ বন্ধ করলেই কেবল তাদের সঙ্গে সমঝোতা হতে পারে।
এর মধ্যেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনি ইয়ামিন নেতানিয়াহু বেশ কয়েকবারই ইরানে আক্রমণের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে ট্রাম্প প্রশাসন তাতে রাজি হয়নি। এখন ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। দুইপক্ষই বৈঠককে গঠনমূলক মনে করছে এবং এ বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তারা একমত হয়েছে।
তবে নাম প্রকাশ না করে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের সামর্থ্য নস্যাৎ করতে আগামী কয়েক মাস বা বছর বা কয়েক বছরের মধ্যে বিমান ও কমান্ডো হামলার পরিকল্পনা করছে তারা।
তবে গত বুধবার নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি মাসের শুরুতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই মুহূর্তে ইরানের সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। স্বল্পমেয়াদি কোনো আক্রমণে সমর্থন দেয়ার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই।
তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, যে ছোট আকারের হামলা চালানোর কথা তারা ভাবছেন, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের দরকার পড়বে না।
প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রকে যে ধরনের হামলার প্রস্তাব ইসরায়েল দিয়েছিল, তার মাত্রা কমিয়ে আনা হয়েছে বলে ওই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছেন রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
তবে হামলার সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে ইসরায়েলি ওই কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কোনো ধারণা পায়নি রয়টার্স। তবে ইসরায়েল যদি সত্যি সত্যি এ ধরনের হামলা করেই বসে, তাহলে যে ট্রাম্প আরও একা হয়ে পড়বেন এবং তাকে যে ইসরায়েলের দিকে আরও ঝুঁঁকতে হবে সেই বিশ্লেষণও করেছে রয়টার্স।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানে হামলার এই পরিকল্পনা ইসরায়েল আংশিকভাবে উপস্থাপন করেছিল বাইডেন প্রশাসনের কাছে। যুক্তরাষ্ট্রের দুইজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, হামলা করার জন্য সামরিক ও গোয়েন্দা উভয়ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চায় ইসরায়েল। এছাড়া ইরানের পাল্টা আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা চাওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে।
এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় রয়টার্সের পক্ষ থেকে। তারা এ বিষয়ে ট্রাম্পের বক্তব্যেই উত্তর আছে বলে জানান। গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, হামলার চিন্তা একেবারে বাদ দিতে বলছি এমন নয়, কিন্তু ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের বিষয়ে আমার কোনো তাড়াহুড়াও নেই।