নোয়াখালীতে ২৪ ঘণ্টায় ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড
সারাদেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে তাপমাত্রাও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা রোববার (২০ এপ্রিল) জানিয়েছেন, সারাদেশে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে সিলেট এলাকায় বেশি হবে, ঢাকায় কম।
রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকাতে বা বৃষ্টি হতে পারে। অনেক স্থানে বৃষ্টি হতে পারে বজ্রসহ। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজশাহীর বাগমারায় ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শনিবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রোববার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এরপর বরিশাল ও খুলনায়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা বলেন, ‘বৃষ্টি সারাদেশে প্রতিদিনই কোথাও কম কোথাও বেশি হবে। তবে এর ভেতরে সিলেটে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, ঢাকাতে কম হবে।’
এ সময় তাপমাত্রার কী অবস্থা থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাপমাত্রা একটু রাইজ হবে।’ শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাতের সম্ভাবনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তবে বজ্রপাতের সম্ভাবনা অনেক বেশি।’
তাপমাত্রা কম হলে বজ্রপাত বেশি হয় বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ। আরেক আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন নেছা বলেন, ‘বৃষ্টিটা হবে এলাকাভেদে, সব জায়গায় একসঙ্গে না। আজ এমনই মেঘলা থাকবে। কোথাও কোথাও বৃষ্টি হবে। পরশু
থেকে কিছুটা কমে আসবে। মাসের শেষ সপ্তাহে আবার বৃষ্টি হবে।’
নোয়াখালীতে ২৪ ঘণ্টায় ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড :
নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে এই জেলায়। ভারী বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় ধানের জমিতে পানি জমেছে। এতে বোরো ধানের ফসলী জমিতে পানি জমে গেছে। যার কারণে পাকা ধান কাটা, মাড়াই দেয়া ও ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভারি বর্ষণে জেলা শহর মাইজদীতে বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতার সমস্যা। পৌরসভার ড্রেনগুলোর মুখ এবং খালের মুখে ময়লা আবর্জনা জমে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
জাহাঙ্গীর নামে একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘প্রতি বছরই বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বৃষ্টির মৌসুম শুরুর আগে কর্তৃপক্ষ যদি শহরের ড্রেন- নালা পরিষ্কার করে তাহলে জলাবদ্ধতা হয়না। কিন্তু আমরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষের নিরবতাই লক্ষ্য করছি।’
জিহাদ নামে আরেকজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘এখন থেকেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও দপ্তরগুলো যৌথ উদ্যোগ না নিলে গতবারের মতো বন্যার কবলে পড়বে নোয়াখালী জেলা শহর। আমরা ব্যবসায়ীরা আবারো সংকটে পড়ে যাব।’
সিরাজ মিয়া নামে একজন কৃষক বলেন, ‘ধান কাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। এমন সময় গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ধান তোলা নিয়ে সংশয়ে আছি। জমিতে পানি জমে গেছে। শ্রমিকও পাচ্ছিনা। ফলে লোকসানে পড়তে হবে।’
মনসুর নামে আরেকজন বলেন, ‘কাটা শেষে ধান স্তুপ করে রেখেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে সমস্যার মধ্যে পড়লাম। এখন কড়া রোদে শুকাতে হবে। যদি আবার বৃষ্টি হয় তাহলে ধান ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে।’
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
নোয়াখালীতে ২৪ ঘণ্টায় ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড
রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
সারাদেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে তাপমাত্রাও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা রোববার (২০ এপ্রিল) জানিয়েছেন, সারাদেশে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে সিলেট এলাকায় বেশি হবে, ঢাকায় কম।
রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকাতে বা বৃষ্টি হতে পারে। অনেক স্থানে বৃষ্টি হতে পারে বজ্রসহ। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজশাহীর বাগমারায় ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শনিবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রোববার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এরপর বরিশাল ও খুলনায়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা বলেন, ‘বৃষ্টি সারাদেশে প্রতিদিনই কোথাও কম কোথাও বেশি হবে। তবে এর ভেতরে সিলেটে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, ঢাকাতে কম হবে।’
এ সময় তাপমাত্রার কী অবস্থা থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাপমাত্রা একটু রাইজ হবে।’ শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাতের সম্ভাবনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তবে বজ্রপাতের সম্ভাবনা অনেক বেশি।’
তাপমাত্রা কম হলে বজ্রপাত বেশি হয় বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ। আরেক আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন নেছা বলেন, ‘বৃষ্টিটা হবে এলাকাভেদে, সব জায়গায় একসঙ্গে না। আজ এমনই মেঘলা থাকবে। কোথাও কোথাও বৃষ্টি হবে। পরশু
থেকে কিছুটা কমে আসবে। মাসের শেষ সপ্তাহে আবার বৃষ্টি হবে।’
নোয়াখালীতে ২৪ ঘণ্টায় ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড :
নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে এই জেলায়। ভারী বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় ধানের জমিতে পানি জমেছে। এতে বোরো ধানের ফসলী জমিতে পানি জমে গেছে। যার কারণে পাকা ধান কাটা, মাড়াই দেয়া ও ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভারি বর্ষণে জেলা শহর মাইজদীতে বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতার সমস্যা। পৌরসভার ড্রেনগুলোর মুখ এবং খালের মুখে ময়লা আবর্জনা জমে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
জাহাঙ্গীর নামে একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘প্রতি বছরই বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বৃষ্টির মৌসুম শুরুর আগে কর্তৃপক্ষ যদি শহরের ড্রেন- নালা পরিষ্কার করে তাহলে জলাবদ্ধতা হয়না। কিন্তু আমরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষের নিরবতাই লক্ষ্য করছি।’
জিহাদ নামে আরেকজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘এখন থেকেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও দপ্তরগুলো যৌথ উদ্যোগ না নিলে গতবারের মতো বন্যার কবলে পড়বে নোয়াখালী জেলা শহর। আমরা ব্যবসায়ীরা আবারো সংকটে পড়ে যাব।’
সিরাজ মিয়া নামে একজন কৃষক বলেন, ‘ধান কাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। এমন সময় গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ধান তোলা নিয়ে সংশয়ে আছি। জমিতে পানি জমে গেছে। শ্রমিকও পাচ্ছিনা। ফলে লোকসানে পড়তে হবে।’
মনসুর নামে আরেকজন বলেন, ‘কাটা শেষে ধান স্তুপ করে রেখেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে সমস্যার মধ্যে পড়লাম। এখন কড়া রোদে শুকাতে হবে। যদি আবার বৃষ্টি হয় তাহলে ধান ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে।’
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।