বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি গ্রেপ্তারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়ার যে নির্দেশনা ঢাকা মহানগর পুলিশ দিয়েছিল, তার কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের ওই নির্দেশনা কেন ‘বেআইনি’ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে আদালত রুল জারি করেছে।
জনস্বার্থে একটি রিট মামলার প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়। রিটকারীর পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জসিমউদ্দিন গত রোববার এ রিট আবেদন করেন। পুলিশ সদর দপ্তরের জারি করা ওই অফিস আদেশের কার্যকারিতা স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে সেখানে। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, ডিএমপি কমিশনার, ডিবিপ্রধান, সিআইডি প্রধান, এসবি প্রধানকে বিবাদী করা হয়েছে এ রিট মামলায়।
গত ১০ এপ্রিল ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত ওই অফিস আদেশে বলা হয়, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসংক্রান্তে রুজু করা মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারনামীয় আসামির সংখ্যা অধিক। এসব মামলার এজাহারনামীয় কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারের জন্য উপযুক্ত প্রমাণকসহ (ভিকটিমবাদী প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, ঘটনাসংশ্লিষ্ট ভিডিও-অডিও-স্থিরচিত্র ও মোবাইলের কল লিস্ট বা সিডিআর ইত্যাদি) অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গ্রেপ্তার করতে হবে।’
রিটকারী আইনজীবী জসিমউদ্দিন সেদিন বলেন, ‘এই আদেশ সুপ্রিম কোর্টের রায় ও ফৌজদারি কার্যবিধির লংঘন। সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতি লাগবে এমন বিধানকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায় থাকা অবস্থায় পুলিশ সদর দপ্তর কর্তৃক জারি করা এমন আদেশ অবৈধ।’
তিনি বলেন, ‘কোনো ফৌজদারি মামলা হওয়ার পর যদি কোনো ব্যক্তি নির্দোষ হন, তাহলে তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়ার বিধান সিআরপিসিতে রয়েছে। কিন্তু এ ধরনের আদেশ বিদ্যমান আইনকে পাশ কাটিয়ে করা হয়েছে। যা করার কোনো সুযোগ নাই।’
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি গ্রেপ্তারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়ার যে নির্দেশনা ঢাকা মহানগর পুলিশ দিয়েছিল, তার কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের ওই নির্দেশনা কেন ‘বেআইনি’ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে আদালত রুল জারি করেছে।
জনস্বার্থে একটি রিট মামলার প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়। রিটকারীর পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জসিমউদ্দিন গত রোববার এ রিট আবেদন করেন। পুলিশ সদর দপ্তরের জারি করা ওই অফিস আদেশের কার্যকারিতা স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে সেখানে। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, ডিএমপি কমিশনার, ডিবিপ্রধান, সিআইডি প্রধান, এসবি প্রধানকে বিবাদী করা হয়েছে এ রিট মামলায়।
গত ১০ এপ্রিল ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত ওই অফিস আদেশে বলা হয়, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসংক্রান্তে রুজু করা মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারনামীয় আসামির সংখ্যা অধিক। এসব মামলার এজাহারনামীয় কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারের জন্য উপযুক্ত প্রমাণকসহ (ভিকটিমবাদী প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, ঘটনাসংশ্লিষ্ট ভিডিও-অডিও-স্থিরচিত্র ও মোবাইলের কল লিস্ট বা সিডিআর ইত্যাদি) অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গ্রেপ্তার করতে হবে।’
রিটকারী আইনজীবী জসিমউদ্দিন সেদিন বলেন, ‘এই আদেশ সুপ্রিম কোর্টের রায় ও ফৌজদারি কার্যবিধির লংঘন। সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতি লাগবে এমন বিধানকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায় থাকা অবস্থায় পুলিশ সদর দপ্তর কর্তৃক জারি করা এমন আদেশ অবৈধ।’
তিনি বলেন, ‘কোনো ফৌজদারি মামলা হওয়ার পর যদি কোনো ব্যক্তি নির্দোষ হন, তাহলে তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়ার বিধান সিআরপিসিতে রয়েছে। কিন্তু এ ধরনের আদেশ বিদ্যমান আইনকে পাশ কাটিয়ে করা হয়েছে। যা করার কোনো সুযোগ নাই।’