কয়েকটি ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংস্কার, নির্বাচন ও চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সংলাপ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। জাতীয় নির্বাচনে ৫টি ইসলামি দল একক প্রার্থী দেয়ার ব্যাপারে ‘ঐকমত্য হয়েছে’ বলে জানিয়েছে দলটি। তাদের সঙ্গে একমত হওয়া অন্য চারটি দলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, নেজামে ইসলাম পার্টি ও খেলাফত মজলিস। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে দলগুলো।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। দলটির আমীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের (চরমোনাই পীর) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক এই সংলাপে দলগুলোর নেতারা ৫টি বিষয়ে একমত হন বলে ইসলামী আন্দোলনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সভায় সমকালীন রাজনীতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে দলগুলো পাঁচটি বিষয়ে একমত হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানায়। সেগুলো হলো নির্বাচনে ইসলামপন্থিদের আসন ভিত্তিক একক প্রার্থী দেয়ার বিষয়ে কৌশলগত আলোচনা এগিয়ে নেয়া। ‘আধিপত্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদমুক্ত’ একটি ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্র তৈরির ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হওয়া, যাতে নতুন করে কোনো ফ্যাসিবাদ কোনোভাবেই প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে। ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করা। প্রয়োজনীয় ও মৌলিক সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল করা।
বৈঠক শেষ করে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং করেন ইসলামী আন্দোলনের আমির মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, ‘আমরা সমমনা পাঁচটি ইসলামী রাজনৈতিক দল একত্র হয়ে কতগুলো মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছি। সামনে জাতীয় নির্বাচন, আমরা যেন ইসলামি দলগুলো একটি বাক্সে ভোট পাঠাতে পারি, বিষয়টি নিয়ে কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। অনেকের আন্তরিকতা প্রকাশ পেয়েছে। আলোচনায় আমরা সন্তুষ্ট।’
মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘বিদেশিরা যাতে বাংলাদেশকে নিয়ে টালবাহানা না করতে পারে, এর প্রতিবাদ করার বিষয়ে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো একমত
হয়েছে। ইসলামি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায়ও আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি।’ নারী সংস্কারবিষয়ক কমিশন বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে। আমরা এ বিষয়ে একমত হয়েছি। তা না করলে প্রতিবাদে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল রব ইউসুফী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারি।
ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ চলবে বলে জানায় ইসলামী আন্দোলন। ইসলামপন্থি দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও সভা করে দলটি। এই সভায় জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় নির্বাচন করার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে জানা গেছে। গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর সভায় উপস্থিত ছিলেন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সভা চলছিল।
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
কয়েকটি ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংস্কার, নির্বাচন ও চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সংলাপ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। জাতীয় নির্বাচনে ৫টি ইসলামি দল একক প্রার্থী দেয়ার ব্যাপারে ‘ঐকমত্য হয়েছে’ বলে জানিয়েছে দলটি। তাদের সঙ্গে একমত হওয়া অন্য চারটি দলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, নেজামে ইসলাম পার্টি ও খেলাফত মজলিস। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে দলগুলো।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। দলটির আমীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের (চরমোনাই পীর) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক এই সংলাপে দলগুলোর নেতারা ৫টি বিষয়ে একমত হন বলে ইসলামী আন্দোলনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সভায় সমকালীন রাজনীতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে দলগুলো পাঁচটি বিষয়ে একমত হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানায়। সেগুলো হলো নির্বাচনে ইসলামপন্থিদের আসন ভিত্তিক একক প্রার্থী দেয়ার বিষয়ে কৌশলগত আলোচনা এগিয়ে নেয়া। ‘আধিপত্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদমুক্ত’ একটি ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্র তৈরির ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হওয়া, যাতে নতুন করে কোনো ফ্যাসিবাদ কোনোভাবেই প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে। ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করা। প্রয়োজনীয় ও মৌলিক সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল করা।
বৈঠক শেষ করে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং করেন ইসলামী আন্দোলনের আমির মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, ‘আমরা সমমনা পাঁচটি ইসলামী রাজনৈতিক দল একত্র হয়ে কতগুলো মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছি। সামনে জাতীয় নির্বাচন, আমরা যেন ইসলামি দলগুলো একটি বাক্সে ভোট পাঠাতে পারি, বিষয়টি নিয়ে কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। অনেকের আন্তরিকতা প্রকাশ পেয়েছে। আলোচনায় আমরা সন্তুষ্ট।’
মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘বিদেশিরা যাতে বাংলাদেশকে নিয়ে টালবাহানা না করতে পারে, এর প্রতিবাদ করার বিষয়ে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো একমত
হয়েছে। ইসলামি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায়ও আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি।’ নারী সংস্কারবিষয়ক কমিশন বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে। আমরা এ বিষয়ে একমত হয়েছি। তা না করলে প্রতিবাদে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল রব ইউসুফী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারি।
ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ চলবে বলে জানায় ইসলামী আন্দোলন। ইসলামপন্থি দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও সভা করে দলটি। এই সভায় জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় নির্বাচন করার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে জানা গেছে। গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর সভায় উপস্থিত ছিলেন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সভা চলছিল।