কাঁকরোল কেজি কত? জানতে চাইলে বিক্রেতা সৈকত বললেন, ‘৩০ টাকা।’
শুধু ৩০ টাকা? ফের জানতে চাইলে এবার বিক্রেতা বললেন ‘পাগল হইছেননি? খালি ৩০ টাকা হয় নাকি? ১৩০ টাকা। ‘বুঝে নিতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
গেল শীতের শেষ সময়ে বেশকিছু সবজির দাম কমে এসেছিল। তাতে কিছুটা স্বস্তিতে ছিল কম আয়ের মানুষজন।
নিম্ন আয়ের মানুষেরা চাপে
গ্রীষ্মকালে সবজির দাম কমে না, বলছেন বিক্রেতারা
তবে ঈদের পর থেকে বাড়তে শুরু করে সবজির দাম। বর্তমানে রাজধানীর বাজারগুলোতে শীত ও গ্রীষ্মকালে উৎপাদিত প্রায় সব সবজির দাম ৭০ টাকার ওপর।
পাশাপাশি আমনের ভর মৌসুম থেকেই বাড়তে শুরু করে চালের দাম। ভালোমানের মোটা চালও খুচরায় বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬৫ টাকায়। আর সরু চাল শতটাকা ছুঁইছুঁই।
ফলে নিরামিষ খাবারের সংস্থান করতেই হিমশিম খাচ্ছেন অল্প আয়ের মানুষেরা।
শুক্রবার, (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর একাধিক বাজার ঘুরে এবং বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে এই পরিস্থিতির কথা জানা যায়।
কাঁচা পেঁপে-গোল বেগুনের দামের প্রশ্নে বিক্রেতা সৈকত বলেন, ‘কাঁচা পেঁপের গিয়ার বেশি, কেজি ৭০ টাকা। আর গোল বেগুনের মাথা গরম, কেজি ১০০ টাকা। ঝিঙ্গা-চিচিঙ্গা কেজি ১০০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, সাজনা ১৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, কাঁচামরিচ ৭০ টাকা , লাউ ও জালি কুমড়া (প্রতি পিস) ৬০ টাকা।’
ওই বিক্রেতা ব্যাখ্যা করেন, ‘সবজির দাম কমে শীতের সময়। গরমের সময় কি আর কমে?’
তবে আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে সবজির দাম বাড়েনি। তবে এখন সবজির দাম আরও বাড়বে, ধারণা ওই বিক্রেতার।
বাজারভেদে ও মানভদে ১ কেজি সাদা মুলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। এছাড়া দেশি পটোল কেজি ১২০ টাকা আর হাইব্রিড ৭০ থেকে ৮০ টাকা। লম্বা বেগুন ৮০ টাকা। কাঁচা পেঁপে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আলু ২০ থেকে ৩০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা আর টমেটো ৩০ টাকায়।
দেশি পেঁয়াজের দাম এ সপ্তাহে হালকা দাম বাড়ছে, জানান কাঁচাবাজারের খুচরা পেঁয়াজ-রসুন বিক্রেতা শাহাদাত হোসেন শুভ। তিনি সংবাদকে জানান, গত সপ্তাহে পাবনা জেলার পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন কেজি ৬৫ টাকায়। শুক্রবার তা বিক্রি করেছেন ৭০ টাকায়। আর ফরিদপুরের পেঁয়াজ কেজি ৬০ টাকা।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজার থেকে কাঁচাবাজার করে ফিরছিলেন অবসরপ্রাপ্ত অসিত। বাজারে সবজির দামের বিষয়ে তার সঙ্গে কথা হলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘সবজির দাম একটু বেশিই। আরেকটু কম হলে ভালো হতো। কাঁচা পেঁপে নিলো ৭০ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা।
তিনি আরও বলেন, ‘সবজির দাম কমই ছিল। তখন তো কৃষকের অবস্থা খুবই খারাপ। আবার বেড়ে গেল। বেড়ে গেলেও তো পয়সা পান না কৃষক। পাচ্ছে একটি সুবিধাভোগী, স্বার্থন্বেষী গোষ্ঠী।’
যোগ করেন, ‘সিন্ডিকেট কি খালি চোখে দেখা যায়?
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারে পাইজাম জাতের মোটা চাল বিক্রি
করছেন খুচরা বিক্রেতা আলম ও রবিউল। উভয়ে বিক্রি করছেন একই দরে, কেজি ৬৫ টাকা। দুজনের দোকান পাশাপাশি হলেও রবিউল বিক্রি করছেন দেশি পাইজাম জাতের মোটা চাল, আর আলম বিক্রি করছেন ভারত থেকে আমদানি করা পাইজাম জাতের মোটা চাল।
চাল বিক্রেতা আলম সংবাদকে বলেন, ‘আমদানি না হলে চালের দাম আরও বাইরা যাইতো। এই মোটা পাইজাম চালই সত্তর টাকা পার হইতো।’ ‘দাম বাড়লেও মানুষ যে চাল কিনে খাইতে পারছে, এটাই বড় কথা,’ বলেন আলম।
টিসিবির ঢাকা মহানগরীর শুক্রবার বাজারদর বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এক বছরের ব্যবধানে সরু চালের দাম বেড়েছে ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ, মাঝারি মানের চালের দাম ৮ দশমিক ৯০ শতাংশ আর মোটা চালের দাম ৪ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়েছে।
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
কাঁকরোল কেজি কত? জানতে চাইলে বিক্রেতা সৈকত বললেন, ‘৩০ টাকা।’
শুধু ৩০ টাকা? ফের জানতে চাইলে এবার বিক্রেতা বললেন ‘পাগল হইছেননি? খালি ৩০ টাকা হয় নাকি? ১৩০ টাকা। ‘বুঝে নিতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
গেল শীতের শেষ সময়ে বেশকিছু সবজির দাম কমে এসেছিল। তাতে কিছুটা স্বস্তিতে ছিল কম আয়ের মানুষজন।
নিম্ন আয়ের মানুষেরা চাপে
গ্রীষ্মকালে সবজির দাম কমে না, বলছেন বিক্রেতারা
তবে ঈদের পর থেকে বাড়তে শুরু করে সবজির দাম। বর্তমানে রাজধানীর বাজারগুলোতে শীত ও গ্রীষ্মকালে উৎপাদিত প্রায় সব সবজির দাম ৭০ টাকার ওপর।
পাশাপাশি আমনের ভর মৌসুম থেকেই বাড়তে শুরু করে চালের দাম। ভালোমানের মোটা চালও খুচরায় বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬৫ টাকায়। আর সরু চাল শতটাকা ছুঁইছুঁই।
ফলে নিরামিষ খাবারের সংস্থান করতেই হিমশিম খাচ্ছেন অল্প আয়ের মানুষেরা।
শুক্রবার, (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর একাধিক বাজার ঘুরে এবং বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে এই পরিস্থিতির কথা জানা যায়।
কাঁচা পেঁপে-গোল বেগুনের দামের প্রশ্নে বিক্রেতা সৈকত বলেন, ‘কাঁচা পেঁপের গিয়ার বেশি, কেজি ৭০ টাকা। আর গোল বেগুনের মাথা গরম, কেজি ১০০ টাকা। ঝিঙ্গা-চিচিঙ্গা কেজি ১০০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, সাজনা ১৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, কাঁচামরিচ ৭০ টাকা , লাউ ও জালি কুমড়া (প্রতি পিস) ৬০ টাকা।’
ওই বিক্রেতা ব্যাখ্যা করেন, ‘সবজির দাম কমে শীতের সময়। গরমের সময় কি আর কমে?’
তবে আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে সবজির দাম বাড়েনি। তবে এখন সবজির দাম আরও বাড়বে, ধারণা ওই বিক্রেতার।
বাজারভেদে ও মানভদে ১ কেজি সাদা মুলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। এছাড়া দেশি পটোল কেজি ১২০ টাকা আর হাইব্রিড ৭০ থেকে ৮০ টাকা। লম্বা বেগুন ৮০ টাকা। কাঁচা পেঁপে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আলু ২০ থেকে ৩০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা আর টমেটো ৩০ টাকায়।
দেশি পেঁয়াজের দাম এ সপ্তাহে হালকা দাম বাড়ছে, জানান কাঁচাবাজারের খুচরা পেঁয়াজ-রসুন বিক্রেতা শাহাদাত হোসেন শুভ। তিনি সংবাদকে জানান, গত সপ্তাহে পাবনা জেলার পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন কেজি ৬৫ টাকায়। শুক্রবার তা বিক্রি করেছেন ৭০ টাকায়। আর ফরিদপুরের পেঁয়াজ কেজি ৬০ টাকা।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজার থেকে কাঁচাবাজার করে ফিরছিলেন অবসরপ্রাপ্ত অসিত। বাজারে সবজির দামের বিষয়ে তার সঙ্গে কথা হলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘সবজির দাম একটু বেশিই। আরেকটু কম হলে ভালো হতো। কাঁচা পেঁপে নিলো ৭০ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা।
তিনি আরও বলেন, ‘সবজির দাম কমই ছিল। তখন তো কৃষকের অবস্থা খুবই খারাপ। আবার বেড়ে গেল। বেড়ে গেলেও তো পয়সা পান না কৃষক। পাচ্ছে একটি সুবিধাভোগী, স্বার্থন্বেষী গোষ্ঠী।’
যোগ করেন, ‘সিন্ডিকেট কি খালি চোখে দেখা যায়?
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারে পাইজাম জাতের মোটা চাল বিক্রি
করছেন খুচরা বিক্রেতা আলম ও রবিউল। উভয়ে বিক্রি করছেন একই দরে, কেজি ৬৫ টাকা। দুজনের দোকান পাশাপাশি হলেও রবিউল বিক্রি করছেন দেশি পাইজাম জাতের মোটা চাল, আর আলম বিক্রি করছেন ভারত থেকে আমদানি করা পাইজাম জাতের মোটা চাল।
চাল বিক্রেতা আলম সংবাদকে বলেন, ‘আমদানি না হলে চালের দাম আরও বাইরা যাইতো। এই মোটা পাইজাম চালই সত্তর টাকা পার হইতো।’ ‘দাম বাড়লেও মানুষ যে চাল কিনে খাইতে পারছে, এটাই বড় কথা,’ বলেন আলম।
টিসিবির ঢাকা মহানগরীর শুক্রবার বাজারদর বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এক বছরের ব্যবধানে সরু চালের দাম বেড়েছে ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ, মাঝারি মানের চালের দাম ৮ দশমিক ৯০ শতাংশ আর মোটা চালের দাম ৪ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়েছে।