সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করা চারটি নতুন দল -সংবাদ
বাংলাদেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল মোট ৪৯টি। এরই মধ্যে গত আট মাসে দেশে ২৬টি রাজনৈতিক দল ও প্ল্যাটফর্ম আত্মপ্রকাশ করেছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক দল ২২টি ও প্ল্যাটফর্ম ৪টি।
গণঅভ্যুত্থানের জেরে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে এসব রাজনৈতিক দল বা প্ল্যাটফর্ম আত্মপ্রকাশ করেছে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীদের দল এনসিপি ছাড়াও এই কয় মাসে গণমাধ্যমে আসা রাজনৈতিক দল ও প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা দুই ডজনেরও বেশি।
এরই ধারাবাহিকতায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যুক্ত হয়েছে জনতা পার্টি বাংলাদেশ নামে আরও একটি রাজনৈতিক দল।
শুক্রবার, (২৫ এপ্রিল) চিত্রনায়ক ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে নিয়ে কাজ করা ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করলো ‘জনতার পার্টি বাংলাদেশ’ দলটি। এই দলের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন এবং মহাসচিব হয়েছেন সাংবাদিক শওকত মাহমুদ।
২২ দলের আত্মপ্রকাশ
নিউক্লিয়াস পার্টি অব বাংলাদেশ (এনপিপি)- ২৩ আগস্ট ২০২৪
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টি- ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ওয়ার্ল্ড মুসলিম কমিউনিটি- ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সমতা পার্টি- ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ জনপ্রিয় পার্টি (বিপিপি)- ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সার্বভৌমত্ব আন্দোলন ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি)- ১৫ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ মুক্তির ডাক ৭১ ১৬ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি ২৮ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি) ৩০ নভেম্বর ২০২৪
জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশ জনতা পার্টি ৪ জানুয়ারি ২০২৫
আমজনতার দল ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক শক্তি ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
বিএসডিপি ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশ জন-অধিকার পার্টি ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
জনতার বাংলাদেশ পার্টি ১৩ মার্চ ২০২৫
জনতার দল ২০ মার্চ ২০২৫
গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি ১১ এপ্রিল
ভাসানী জনশক্তি পার্টি ১৩ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি (বিএজেপি) ১৭ এপ্রিল ২০২৫
তবে এত কম সময়ে এতগুলো দলের আত্মপ্রকাশ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। সাধারণ মহলেও যেমন চলছে নানা ধরনের গল্প, তেমনি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যেও চলছে দলগুলো নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ। বিশ্লেষকরা বলছেন, দল গঠনের এই প্রবণতা নতুন কিছু নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে এমন নতুন নতুন দল গঠন করতে দেখা গেছে।
আর নির্বাচনকেই এর প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন তারা। বলছেন, নির্বাচনের সময় এগুলো ‘ব্যাঙের ছাতার মতো এমন অনেক দল গজিয়ে ওঠে’। তবে নতুন নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশকে আপাতদৃষ্টিতে গণতান্ত্রিক চর্চার সঙ্গে যুক্ত করা হলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেকক্ষেত্রেই তা স্বার্থ ও ক্ষমতাচর্চার একটি রূপ বলেই মত
বিশ্লেষকদের। একইসঙ্গে ভোটের সময় জোট-রাজনীতিও এই প্রবণতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রভাব রাখে বলেও মনে করেন অনেকে।
গত ১৭ এপ্রিল আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি, যার প্রধান ডেসটিনির মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। অর্থ পাচার ও ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশনের মামলায় ১২ বছর কারাভোগের পর গত ১৫ জানুয়ারি জেল থেকে বের হওয়ার তিন মাসের মাথায় নতুন এই দল নিয়ে হাজির হন তিনি।
কিন্তু ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত আমীনের হঠাৎ রাজনীতিতে নাম লেখানোর কারণ কী? বিবিসির এক রিপোর্টে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, রাজনৈতিক পরিচয় না থাকার কারণে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর অন্য অনেকে জেল থেকে ছাড়া পেলেও তিনি তা পাননি।
আমীন জানান, এই রাজনৈতিক মঞ্চকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে তিনি তার ‘জুলুমের কথা তখন যে প্রশাসক থাকবে, যে রাষ্ট্রশাসন করবে তার কাছে’ পৌঁছাবেন।
মাসে গড়ে তিনটি করে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন
২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫-এর ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত অন্তত ২২টি রাজনৈতিক দল ও ও চারটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম আত্মপ্রকাশের খবর এসেছে গণমাধ্যমে।
যার মধ্যে গত বছর ১১টি আর চলতি বছরের প্রথম চার মাসে আরও ১১টি দল গঠিত হয়েছে। সেই হিসেবে প্রতি মাসে গড়ে তিনটি করে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হয়েছে।
আত্মপ্রকাশ করা দলগুলোর মধ্যে আছে, নিউক্লিয়াস পার্টি অব বাংলাদেশ (এনপিবি), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টি, ওয়ার্ল্ড মুসলিম কমিউনিটি, সমতা পার্টি, বাংলাদেশ জনপ্রিয় পার্টি (বিপিপি), সার্বভৌমত্ব আন্দোলন, বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ মুক্তির ডাক ৭১, বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ, দেশ জনতা পার্টি, আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক শক্তি, বাংলাদেশ সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (বিএসডিপি), বাংলাদেশ জন-অধিকার পার্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টি, জনতার বাংলাদেশ পার্টি, জনতার দল, গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও আ-আম জনতা পার্টি (বিএজেপি)।
রাজনীতিতে আসা নতুন দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব নিয়ে আলোচনায় রয়েছে এনসিপি। দলটি এখনও নিবন্ধন পায়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি নামক যে রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম থেকে দলটি তৈরি হয়েছে, সেগুলোও বর্তমানে সচল আছে।
রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে নতুন ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ তৈরি হয়েছে। এছাড়াও এনসিপি’র গঠন থেকে বেরিয়ে আসা শিবিরের সাবেক নেতাদের নতুন সংগঠন ‘ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ’ এরও এই মাসের মধ্যেই আত্মপ্রকাশের কথা রয়েছে।
নতুন নতুন এসব দল আর প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে সাধারণ মানুষ কতটা জানে? ঢাকার রাস্তায় চলাচলকারী ভ্যানচালক মো. হারুন বলেন, ‘বাংলাদেশে মনে করেন ১০ জনেও দল করা যায়। যার যার মতো খালি দল বানাইতাছে আর করতাছে। এগিলির কোনো ইস্টিমেট আছে? এগিলা দল আমরা ভ্যান গাড়িয়ালারাও বানাইতে পারি।’
নতুন দলগুলোর নাম শোনা হয়েছে কিনা প্রশ্নের জবাবে চাকরিজীবী সালমা আক্তার বলেন, ‘আমি আমজনতা বলে বাংলাদেশের সবাইকেই বুঝি। কিন্তু এটা আবার দল? জানি না।’
মূলত ভোটের সময় জোট-রাজনীতির সঙ্গে এই প্রবণতার সংযোগ রয়েছে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে নির্বাচন এগিয়ে এলে এই ধরনের দল গঠনের তোড়জোড় দেখা যায়।
এ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এর আগেও আমরা দেখেছি যখন নির্বাচনের গন্ধ এসে নাকে লাগে, তখন হঠাৎ করেই এমন অনেক দল গজিয়ে ওঠে ব্যাঙের ছাতার মতো।’ এ ধরনের দল তৈরির প্রবণতা দেখা গিয়েছিল এরশাদের আমলেও, যুক্ত করেন এই বিশ্লেষক। সেসময় ১২০টার বেশি দল গঠন হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ৯০টা দল নিয়ে জোট করার নজির আছে উল্লেখ করে ‘এরা জাস্ট সংখ্যা’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করা চারটি নতুন দল -সংবাদ
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল মোট ৪৯টি। এরই মধ্যে গত আট মাসে দেশে ২৬টি রাজনৈতিক দল ও প্ল্যাটফর্ম আত্মপ্রকাশ করেছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক দল ২২টি ও প্ল্যাটফর্ম ৪টি।
গণঅভ্যুত্থানের জেরে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে এসব রাজনৈতিক দল বা প্ল্যাটফর্ম আত্মপ্রকাশ করেছে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীদের দল এনসিপি ছাড়াও এই কয় মাসে গণমাধ্যমে আসা রাজনৈতিক দল ও প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা দুই ডজনেরও বেশি।
এরই ধারাবাহিকতায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যুক্ত হয়েছে জনতা পার্টি বাংলাদেশ নামে আরও একটি রাজনৈতিক দল।
শুক্রবার, (২৫ এপ্রিল) চিত্রনায়ক ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে নিয়ে কাজ করা ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করলো ‘জনতার পার্টি বাংলাদেশ’ দলটি। এই দলের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন এবং মহাসচিব হয়েছেন সাংবাদিক শওকত মাহমুদ।
২২ দলের আত্মপ্রকাশ
নিউক্লিয়াস পার্টি অব বাংলাদেশ (এনপিপি)- ২৩ আগস্ট ২০২৪
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টি- ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ওয়ার্ল্ড মুসলিম কমিউনিটি- ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সমতা পার্টি- ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ জনপ্রিয় পার্টি (বিপিপি)- ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সার্বভৌমত্ব আন্দোলন ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি)- ১৫ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ মুক্তির ডাক ৭১ ১৬ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি ২৮ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি) ৩০ নভেম্বর ২০২৪
জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশ জনতা পার্টি ৪ জানুয়ারি ২০২৫
আমজনতার দল ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক শক্তি ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
বিএসডিপি ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশ জন-অধিকার পার্টি ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
জনতার বাংলাদেশ পার্টি ১৩ মার্চ ২০২৫
জনতার দল ২০ মার্চ ২০২৫
গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি ১১ এপ্রিল
ভাসানী জনশক্তি পার্টি ১৩ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি (বিএজেপি) ১৭ এপ্রিল ২০২৫
তবে এত কম সময়ে এতগুলো দলের আত্মপ্রকাশ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। সাধারণ মহলেও যেমন চলছে নানা ধরনের গল্প, তেমনি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যেও চলছে দলগুলো নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ। বিশ্লেষকরা বলছেন, দল গঠনের এই প্রবণতা নতুন কিছু নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে এমন নতুন নতুন দল গঠন করতে দেখা গেছে।
আর নির্বাচনকেই এর প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন তারা। বলছেন, নির্বাচনের সময় এগুলো ‘ব্যাঙের ছাতার মতো এমন অনেক দল গজিয়ে ওঠে’। তবে নতুন নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশকে আপাতদৃষ্টিতে গণতান্ত্রিক চর্চার সঙ্গে যুক্ত করা হলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেকক্ষেত্রেই তা স্বার্থ ও ক্ষমতাচর্চার একটি রূপ বলেই মত
বিশ্লেষকদের। একইসঙ্গে ভোটের সময় জোট-রাজনীতিও এই প্রবণতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রভাব রাখে বলেও মনে করেন অনেকে।
গত ১৭ এপ্রিল আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি, যার প্রধান ডেসটিনির মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। অর্থ পাচার ও ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশনের মামলায় ১২ বছর কারাভোগের পর গত ১৫ জানুয়ারি জেল থেকে বের হওয়ার তিন মাসের মাথায় নতুন এই দল নিয়ে হাজির হন তিনি।
কিন্তু ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত আমীনের হঠাৎ রাজনীতিতে নাম লেখানোর কারণ কী? বিবিসির এক রিপোর্টে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, রাজনৈতিক পরিচয় না থাকার কারণে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর অন্য অনেকে জেল থেকে ছাড়া পেলেও তিনি তা পাননি।
আমীন জানান, এই রাজনৈতিক মঞ্চকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে তিনি তার ‘জুলুমের কথা তখন যে প্রশাসক থাকবে, যে রাষ্ট্রশাসন করবে তার কাছে’ পৌঁছাবেন।
মাসে গড়ে তিনটি করে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন
২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫-এর ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত অন্তত ২২টি রাজনৈতিক দল ও ও চারটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম আত্মপ্রকাশের খবর এসেছে গণমাধ্যমে।
যার মধ্যে গত বছর ১১টি আর চলতি বছরের প্রথম চার মাসে আরও ১১টি দল গঠিত হয়েছে। সেই হিসেবে প্রতি মাসে গড়ে তিনটি করে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হয়েছে।
আত্মপ্রকাশ করা দলগুলোর মধ্যে আছে, নিউক্লিয়াস পার্টি অব বাংলাদেশ (এনপিবি), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টি, ওয়ার্ল্ড মুসলিম কমিউনিটি, সমতা পার্টি, বাংলাদেশ জনপ্রিয় পার্টি (বিপিপি), সার্বভৌমত্ব আন্দোলন, বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ মুক্তির ডাক ৭১, বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ, দেশ জনতা পার্টি, আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক শক্তি, বাংলাদেশ সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (বিএসডিপি), বাংলাদেশ জন-অধিকার পার্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টি, জনতার বাংলাদেশ পার্টি, জনতার দল, গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও আ-আম জনতা পার্টি (বিএজেপি)।
রাজনীতিতে আসা নতুন দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব নিয়ে আলোচনায় রয়েছে এনসিপি। দলটি এখনও নিবন্ধন পায়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি নামক যে রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম থেকে দলটি তৈরি হয়েছে, সেগুলোও বর্তমানে সচল আছে।
রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে নতুন ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ তৈরি হয়েছে। এছাড়াও এনসিপি’র গঠন থেকে বেরিয়ে আসা শিবিরের সাবেক নেতাদের নতুন সংগঠন ‘ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ’ এরও এই মাসের মধ্যেই আত্মপ্রকাশের কথা রয়েছে।
নতুন নতুন এসব দল আর প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে সাধারণ মানুষ কতটা জানে? ঢাকার রাস্তায় চলাচলকারী ভ্যানচালক মো. হারুন বলেন, ‘বাংলাদেশে মনে করেন ১০ জনেও দল করা যায়। যার যার মতো খালি দল বানাইতাছে আর করতাছে। এগিলির কোনো ইস্টিমেট আছে? এগিলা দল আমরা ভ্যান গাড়িয়ালারাও বানাইতে পারি।’
নতুন দলগুলোর নাম শোনা হয়েছে কিনা প্রশ্নের জবাবে চাকরিজীবী সালমা আক্তার বলেন, ‘আমি আমজনতা বলে বাংলাদেশের সবাইকেই বুঝি। কিন্তু এটা আবার দল? জানি না।’
মূলত ভোটের সময় জোট-রাজনীতির সঙ্গে এই প্রবণতার সংযোগ রয়েছে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে নির্বাচন এগিয়ে এলে এই ধরনের দল গঠনের তোড়জোড় দেখা যায়।
এ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এর আগেও আমরা দেখেছি যখন নির্বাচনের গন্ধ এসে নাকে লাগে, তখন হঠাৎ করেই এমন অনেক দল গজিয়ে ওঠে ব্যাঙের ছাতার মতো।’ এ ধরনের দল তৈরির প্রবণতা দেখা গিয়েছিল এরশাদের আমলেও, যুক্ত করেন এই বিশ্লেষক। সেসময় ১২০টার বেশি দল গঠন হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ৯০টা দল নিয়ে জোট করার নজির আছে উল্লেখ করে ‘এরা জাস্ট সংখ্যা’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।