ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনজন ভবঘুরে সাম্যকে হত্যা করেছে বলে বিশ্বাস করেন না তিনি। তিনি মনে করছেন, এটা একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, এর পেছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। সাম্য হত্যার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান রিজভী।
বৃহস্পতিবার(১৫-০৫-২০২৫)জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকার উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম আয়োজিত ঢাবি ‘স্যার এএফ রহমান হলের প্রকাশনা ও প্রচার সম্পাদক’ শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। রিজভী বলেন, ‘সাম্যকে হত্যার পেছনে কী কারণ ছিল, কী অন্যায় করেছিল সাম্য? পুলিশ গ্রেপ্তার করেছেন তিনজনকে, তারা ভবঘুরে। আমার তো মনে হয় এর মধ্যে রাজনৈতিক কারণ আছে। রাজনৈতিক কারণ না থাকলে সাম্যর মতো একজনকে কে হত্যা করবে? ভবঘুরেরা তাকে কেন হত্যা করবে?’
রিজভী বলেন, ‘জাতীয় সংগীতের বিরোধী যারা তাদের বিপক্ষে সাম্যের অবস্থান ছিল তাই কি তাকে হত্যা করা হলো? শিক্ষাঙ্গনে কেন রক্ত ঝরবে। ক্যাম্পাসে কেন রক্ত ঝরবে?’ এমন একাধিক প্রশ্ন রেখে পুলিশকে উদ্দেশ করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘আপনারা ভালো করে খোঁজ নিয়ে দেখুন। ভবঘুরেদেরকে গ্রেপ্তার করেছেন, মানুষ এসব বিষয় সহজভাবে নেয় না। মানুষ সহজভাবে নিত যদি সবসময় সত্য এবং ন্যায় অনুসন্ধান করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হতো।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়ে রিজভী বলেন, ‘ঢাবি ভিসির কাছে সাম্য হত্যার বিচার চাইতে গিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু তিনি তুইতোকারি করেছেন, বিরক্ত হয়েছেন তাদের কথা শুনে। জাতীয়তাবাদের দর্শনে যারা রাজনীতি করেন তাদের পছন্দ করেন না ভিসি। ঢাবি ভিসি ও প্রক্টর একটি রাজনৈতিক দলের আদর্শে বিশ্বাসী। আপনাদের মাথায় যে দর্শন তা প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করছেন।
রিজভী আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পর এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমরা সবাই একটু স্বস্তিতে থাকতে চেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শিক্ষক-ছাত্ররা নির্বিঘ্নে ক্লাসে যাবে, ক্লাস থেকে বের হবে। এখন কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অরাজক পরিস্থিতি, ক্যাম্পাসের মধ্যে তরুণ ছাত্রের লাশ পড়ছে, রক্ত ঝরছে। এখন তো আর আওয়ামী দোসররা নেই। এখন যারা ক্ষমতায় আছেন, সব বিরোধীদলীয় যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, তারা সমর্থন করেছেন। তাহলে এখন কেন লাশ পড়বে?’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব
বলেন, ‘আপনারা কাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন সেটা আমরা জানি না। আপনাদেরকে আমরা সমর্থন করেছি, এখনও করে যাচ্ছি। কিন্তু এনসিপি যখন যমুনার দিকে যায়, তখন তাদেরকে সাদরে বরণ করেন। তিন-চারদিন আগে দেখলাম আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে তারা গেলেন, তাদেরকে সাদরে বরণ করলেন। আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা তাদের আবাসনের জন্য গেল, তখন আপনারা তাদেরকে উপহার দিলেন লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড।’
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব মোকছেদুল মোমিন মিমুন, সাবেক ছাত্রনেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ওমর ফারুক কাওসার, ছাত্রদল নেতা তৌহিদ আওয়ালসহ উত্তরবঙ্গ ছাত্র ফোরামের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতা।
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনজন ভবঘুরে সাম্যকে হত্যা করেছে বলে বিশ্বাস করেন না তিনি। তিনি মনে করছেন, এটা একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, এর পেছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। সাম্য হত্যার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান রিজভী।
বৃহস্পতিবার(১৫-০৫-২০২৫)জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকার উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম আয়োজিত ঢাবি ‘স্যার এএফ রহমান হলের প্রকাশনা ও প্রচার সম্পাদক’ শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। রিজভী বলেন, ‘সাম্যকে হত্যার পেছনে কী কারণ ছিল, কী অন্যায় করেছিল সাম্য? পুলিশ গ্রেপ্তার করেছেন তিনজনকে, তারা ভবঘুরে। আমার তো মনে হয় এর মধ্যে রাজনৈতিক কারণ আছে। রাজনৈতিক কারণ না থাকলে সাম্যর মতো একজনকে কে হত্যা করবে? ভবঘুরেরা তাকে কেন হত্যা করবে?’
রিজভী বলেন, ‘জাতীয় সংগীতের বিরোধী যারা তাদের বিপক্ষে সাম্যের অবস্থান ছিল তাই কি তাকে হত্যা করা হলো? শিক্ষাঙ্গনে কেন রক্ত ঝরবে। ক্যাম্পাসে কেন রক্ত ঝরবে?’ এমন একাধিক প্রশ্ন রেখে পুলিশকে উদ্দেশ করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘আপনারা ভালো করে খোঁজ নিয়ে দেখুন। ভবঘুরেদেরকে গ্রেপ্তার করেছেন, মানুষ এসব বিষয় সহজভাবে নেয় না। মানুষ সহজভাবে নিত যদি সবসময় সত্য এবং ন্যায় অনুসন্ধান করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হতো।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়ে রিজভী বলেন, ‘ঢাবি ভিসির কাছে সাম্য হত্যার বিচার চাইতে গিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু তিনি তুইতোকারি করেছেন, বিরক্ত হয়েছেন তাদের কথা শুনে। জাতীয়তাবাদের দর্শনে যারা রাজনীতি করেন তাদের পছন্দ করেন না ভিসি। ঢাবি ভিসি ও প্রক্টর একটি রাজনৈতিক দলের আদর্শে বিশ্বাসী। আপনাদের মাথায় যে দর্শন তা প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করছেন।
রিজভী আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পর এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমরা সবাই একটু স্বস্তিতে থাকতে চেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শিক্ষক-ছাত্ররা নির্বিঘ্নে ক্লাসে যাবে, ক্লাস থেকে বের হবে। এখন কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অরাজক পরিস্থিতি, ক্যাম্পাসের মধ্যে তরুণ ছাত্রের লাশ পড়ছে, রক্ত ঝরছে। এখন তো আর আওয়ামী দোসররা নেই। এখন যারা ক্ষমতায় আছেন, সব বিরোধীদলীয় যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, তারা সমর্থন করেছেন। তাহলে এখন কেন লাশ পড়বে?’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব
বলেন, ‘আপনারা কাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন সেটা আমরা জানি না। আপনাদেরকে আমরা সমর্থন করেছি, এখনও করে যাচ্ছি। কিন্তু এনসিপি যখন যমুনার দিকে যায়, তখন তাদেরকে সাদরে বরণ করেন। তিন-চারদিন আগে দেখলাম আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে তারা গেলেন, তাদেরকে সাদরে বরণ করলেন। আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা তাদের আবাসনের জন্য গেল, তখন আপনারা তাদেরকে উপহার দিলেন লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড।’
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব মোকছেদুল মোমিন মিমুন, সাবেক ছাত্রনেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ওমর ফারুক কাওসার, ছাত্রদল নেতা তৌহিদ আওয়ালসহ উত্তরবঙ্গ ছাত্র ফোরামের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতা।