ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এর অন্যথা হলে ‘শাহবাগ থানা ঘেরাও করা হবে’ বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার,(১৬ মে ২০২৫) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নেন। শুরুতে বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে এসে রাজু ভাস্কর্যে এসে জড়ো হতে শুরু করেন। পরে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাম্য হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হলে শাহবাগ থানা ঘেরাও কর্মসূচি দেয়া হবে বলে সতর্ক করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা সাম্য হত্যার অগ্রগতি জানতে শাহবাগ থানায় যান। এ সময় কয়েকজন শিক্ষকও তাদের সঙ্গে ছিলেন। রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নেয়া শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিউটের ২৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম মুন্সী বলেন, ‘এটি একটি নির্দলীয় ব্যানার। সাম্য ভাইয়ের লাশ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল টালবাহানা শুরু করেছে। তাদের মুখ্য দাবি বিভিন্নজনের পদত্যাগ। কিন্তু আমাদের প্রধান দাবি সাম্য হত্যার বিচার। সাম্য হত্যার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তাকে যে ছুরিকাঘাত করেছিল তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
‘আমরা এখানে কাউকে হামলা করতে আসিনি, কাউকে পদত্যাগের দাবি জানাতে আসিনি। আমরা প্রধান আসামি গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি নিয়ে এসেছি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাকি দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার না করতে পারলে আমরা শাহবাগ থানা ঘেরাও কর্মসূচি দিব।’
সাম্যের সহপাঠী তৌফিক-উল ইসলাম বলেন, ‘সাম্য হত্যার প্রধান আসামিকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। সেই প্রচেষ্টাও দেখছি না। পুলিশ যাদের গ্রেপ্তার করেছে তারা জড়িত থাকলেও তারা প্রধান আসামি না। বাকি আসামিদের কেন ধরা হচ্ছে না আমাদের কাছে তার জবাবদিহি করতে হবে।’ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার না করলে ‘এই অহিংস আন্দোলন অন্য রূপ নেবে’ বলে হুঁশিয়ারি করেন তৌফিক।
গত মঙ্গলবার রাতে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে খুন হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাম্য। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। গত বুধবার সাম্য হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে তাদের ‘বহিরাগত’ বলছে পুলিশ।
যারা কিছুদিন আগে মাদারীপুর থেকে ঢাকায় এসে ফার্মগেইট এলাকায় ফুটপাতে গেঞ্জির ব্যবসা শুরু করে বলে পুলিশের ভাষ্য। শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মনসুর জানিয়েছেন, নিহত সাম্যর মেজ ভাই শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ওই মামলায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন মাদারীপুর সদরের এরশাদ হাওলাদারের ছেলে মো. তামিম হাওলাদার (৩০), কালাম সরদারের ছেলে পলাশ সরদার (৩০) ও ডাসার থানার যতীন্দ্রনাথ মল্লিকের ছেলে সম্রাট মল্লিক (২৮)। ওসি মনসুর বলেন, ‘এদের মধ্যে দুইজন ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে এমন তথ্য দিয়েছে সাম্যর বন্ধু। ওই বন্ধুই তাদের শনাক্ত করেছেন।’
এরপর গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই তৌফিক হাসান বলেছিলেন, এই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়ার কথা থাকলেও সেটি করা হয়নি। পরে ওই আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন এসআই হাসান।
ওইদিনই সাম্য হত্যার ঘটনার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান ও প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদের পদত্যাগের দাবি তোলেন ছাত্রদলের নেতারা। এছাড়া এই হত্যাকা-ের নেপথ্যে ‘রাজনৈতিক কারণ’ আছে বলে মনে করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এর অন্যথা হলে ‘শাহবাগ থানা ঘেরাও করা হবে’ বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার,(১৬ মে ২০২৫) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নেন। শুরুতে বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে এসে রাজু ভাস্কর্যে এসে জড়ো হতে শুরু করেন। পরে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাম্য হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হলে শাহবাগ থানা ঘেরাও কর্মসূচি দেয়া হবে বলে সতর্ক করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা সাম্য হত্যার অগ্রগতি জানতে শাহবাগ থানায় যান। এ সময় কয়েকজন শিক্ষকও তাদের সঙ্গে ছিলেন। রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নেয়া শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিউটের ২৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম মুন্সী বলেন, ‘এটি একটি নির্দলীয় ব্যানার। সাম্য ভাইয়ের লাশ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল টালবাহানা শুরু করেছে। তাদের মুখ্য দাবি বিভিন্নজনের পদত্যাগ। কিন্তু আমাদের প্রধান দাবি সাম্য হত্যার বিচার। সাম্য হত্যার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তাকে যে ছুরিকাঘাত করেছিল তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
‘আমরা এখানে কাউকে হামলা করতে আসিনি, কাউকে পদত্যাগের দাবি জানাতে আসিনি। আমরা প্রধান আসামি গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি নিয়ে এসেছি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাকি দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার না করতে পারলে আমরা শাহবাগ থানা ঘেরাও কর্মসূচি দিব।’
সাম্যের সহপাঠী তৌফিক-উল ইসলাম বলেন, ‘সাম্য হত্যার প্রধান আসামিকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। সেই প্রচেষ্টাও দেখছি না। পুলিশ যাদের গ্রেপ্তার করেছে তারা জড়িত থাকলেও তারা প্রধান আসামি না। বাকি আসামিদের কেন ধরা হচ্ছে না আমাদের কাছে তার জবাবদিহি করতে হবে।’ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার না করলে ‘এই অহিংস আন্দোলন অন্য রূপ নেবে’ বলে হুঁশিয়ারি করেন তৌফিক।
গত মঙ্গলবার রাতে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে খুন হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাম্য। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। গত বুধবার সাম্য হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে তাদের ‘বহিরাগত’ বলছে পুলিশ।
যারা কিছুদিন আগে মাদারীপুর থেকে ঢাকায় এসে ফার্মগেইট এলাকায় ফুটপাতে গেঞ্জির ব্যবসা শুরু করে বলে পুলিশের ভাষ্য। শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মনসুর জানিয়েছেন, নিহত সাম্যর মেজ ভাই শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ওই মামলায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন মাদারীপুর সদরের এরশাদ হাওলাদারের ছেলে মো. তামিম হাওলাদার (৩০), কালাম সরদারের ছেলে পলাশ সরদার (৩০) ও ডাসার থানার যতীন্দ্রনাথ মল্লিকের ছেলে সম্রাট মল্লিক (২৮)। ওসি মনসুর বলেন, ‘এদের মধ্যে দুইজন ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে এমন তথ্য দিয়েছে সাম্যর বন্ধু। ওই বন্ধুই তাদের শনাক্ত করেছেন।’
এরপর গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই তৌফিক হাসান বলেছিলেন, এই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়ার কথা থাকলেও সেটি করা হয়নি। পরে ওই আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন এসআই হাসান।
ওইদিনই সাম্য হত্যার ঘটনার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান ও প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদের পদত্যাগের দাবি তোলেন ছাত্রদলের নেতারা। এছাড়া এই হত্যাকা-ের নেপথ্যে ‘রাজনৈতিক কারণ’ আছে বলে মনে করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।