রাজধানীর বাজারে অধিকাংশ সরু চালের (মিনিকেট) দাম কমেছে। শুক্রবার,(১৬ মে ২০২৫) এই চাল ৭৫ থেকে ৭৬ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৮৮ থেকে ৯০ টাকা। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে চালের দাম কেজিতে প্রায় ১৫ টাকা কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে মুরগি ও অধিকাংশ সবজির দাম। তবে বেড়েছে ডিমের দাম।
এক সপ্তাহ আগে মিনিকেট চালের দাম ছিল প্রতি কেজি প্রায় ৯০ টাকা যা শুক্রবার ৭৫-৭৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে
শুক্রবার অধিকাংশ সবজি প্রতি কেজিতে ৫০-৬০ টাকায় পাওয়া গেছে যা গত সপ্তাহে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে
তবে বেড়েছে ডিমের দাম, এক সপ্তাহ আগে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৩৫ টাকায় যা শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৪৫ টাকায়
বিক্রেতারা জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বোরো ধান থেকে তৈরি নতুন চাল বাজারে আসছে। তাতেই দাম কমেছে সরু তথা মিনিকেট চালের। অবশ্য পুরোনো মিনিকেটের দাম এখনও ৮৫ টাকার ওপরে। নতুন চালের দাম কম থাকায় বিক্রেতারা এখন আর পুরোনো মিনিকেট চাল অবশ্য কম বিক্রি করছেন।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে খুচরা দোকানে ডায়মন্ড, মঞ্জুর, সাগর ও রসিদ প্রভৃতি ব্র্যান্ডের নতুন মিনিকেট চাল ৭৫ থেকে ৭৬ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেটের মধ্যে মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের চালের দাম অবশ্য আরেকটু বেশি। প্রতি কেজি মোজাম্মেল চাল এখন ৮২-৮৪ টাকায় বিক্রি হয়। মাসখানেক আগে এই চালের কেজি ১০০ টাকার আশপাশে ছিল। অন্যান্য চালের মধ্যে মানভেদে নাজিরশাইল ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ চাল ৫৮ টাকা ও স্বর্ণা ৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাসমতি চালের দামও আগের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা কমে ৯৫ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে।
চালের পাশাপাশি ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। শুক্রবার,(১৬ মে ২০২৫) বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে যা গত সপ্তাহে প্রায় ২০ টাকা বেশি ছিল। শুক্রবার ধরনভেদে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ২৪০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এই মুরগির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০-৩০ টাকা কমেছে।
দীর্ঘদিন বাজারে প্রোটিনের সস্তা উৎস হিসেবে পরিচিত ডিমের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে ছিল। কিন্তু এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে। মালিবাগ বাজারের পাইকারি ডিম বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘বর্ষার এ মৌসুমে অন্যান্য বছর ডিমের দাম আরও বেশি থাকতো। এ বছর অনেকদিন ধরে ডিমের দাম কম, খামারিরা লোকসান গুনছেন। অনেক খামার বন্ধও হয়ে গেছে।’
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বড় বাজারগুলোতে এখন ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৪০ টাকায়। পাড়া-মহল্লায় প্রতি ডজন ডিম ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যেখানে গত সপ্তাহেও এ দাম ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজির দাম বাড়তি গেলেও সেই তুলনায় বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। ৭০ থেকে ৮০ টাকার ঘরে থাকা সবজির দাম কমে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় নেমেছে।
শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, শসা ৬০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৭০ টাকা, বেগুন (গোল) ৮০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে প্রতি কেজি ধন্দুল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৫০ টাকা, কলা প্রতি হালি ৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কচুরলতি প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৭০ টাকা এবং কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারভেদে এই দাম কম বেশিও হয়। কোনো কোনো বাজারে এর চেয়েও কম দামে সবজি পাওয়া গেছে।
সবজির দাম তুলনামূলক কম উল্লেখ করে মালিবাগ বাজারের আরেক ক্রেতা জুনায়েদ আহমেদ বলেন, ‘গত দুই তিন সপ্তাহের তুলনায় বাজারে সবজির দাম কিছু টাকা কমেছে। কিছুদিন আগেও খুব বাড়তি যাচ্ছিল সবজির দাম, ওই দামে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের কেনা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। তবে সেই তুলনায় সবজির দাম এখন কমেছে।’
মাছ-মাংসের দামও অনেকটা আগের মতোই রয়েছে। শুক্রবার প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৫০-৮০০ টাকা ও খাসির মাংস ১ হাজার থেকে ১১শ’ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাছের মধ্যে প্রতি কেজি চাষের তেলাপিয়া ২২০-২৫০ টাকা, পাঙাশ ২০০-২৫০ টাকা, রুই ৩৫০-৪০০ টাকা, কৈ ৩০০-৩২০ টাকা ও পাবদা ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
রাজধানীর বাজারে অধিকাংশ সরু চালের (মিনিকেট) দাম কমেছে। শুক্রবার,(১৬ মে ২০২৫) এই চাল ৭৫ থেকে ৭৬ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৮৮ থেকে ৯০ টাকা। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে চালের দাম কেজিতে প্রায় ১৫ টাকা কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে মুরগি ও অধিকাংশ সবজির দাম। তবে বেড়েছে ডিমের দাম।
এক সপ্তাহ আগে মিনিকেট চালের দাম ছিল প্রতি কেজি প্রায় ৯০ টাকা যা শুক্রবার ৭৫-৭৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে
শুক্রবার অধিকাংশ সবজি প্রতি কেজিতে ৫০-৬০ টাকায় পাওয়া গেছে যা গত সপ্তাহে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে
তবে বেড়েছে ডিমের দাম, এক সপ্তাহ আগে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৩৫ টাকায় যা শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৪৫ টাকায়
বিক্রেতারা জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বোরো ধান থেকে তৈরি নতুন চাল বাজারে আসছে। তাতেই দাম কমেছে সরু তথা মিনিকেট চালের। অবশ্য পুরোনো মিনিকেটের দাম এখনও ৮৫ টাকার ওপরে। নতুন চালের দাম কম থাকায় বিক্রেতারা এখন আর পুরোনো মিনিকেট চাল অবশ্য কম বিক্রি করছেন।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে খুচরা দোকানে ডায়মন্ড, মঞ্জুর, সাগর ও রসিদ প্রভৃতি ব্র্যান্ডের নতুন মিনিকেট চাল ৭৫ থেকে ৭৬ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেটের মধ্যে মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের চালের দাম অবশ্য আরেকটু বেশি। প্রতি কেজি মোজাম্মেল চাল এখন ৮২-৮৪ টাকায় বিক্রি হয়। মাসখানেক আগে এই চালের কেজি ১০০ টাকার আশপাশে ছিল। অন্যান্য চালের মধ্যে মানভেদে নাজিরশাইল ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ চাল ৫৮ টাকা ও স্বর্ণা ৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাসমতি চালের দামও আগের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা কমে ৯৫ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে।
চালের পাশাপাশি ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। শুক্রবার,(১৬ মে ২০২৫) বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে যা গত সপ্তাহে প্রায় ২০ টাকা বেশি ছিল। শুক্রবার ধরনভেদে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ২৪০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এই মুরগির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০-৩০ টাকা কমেছে।
দীর্ঘদিন বাজারে প্রোটিনের সস্তা উৎস হিসেবে পরিচিত ডিমের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে ছিল। কিন্তু এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে। মালিবাগ বাজারের পাইকারি ডিম বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘বর্ষার এ মৌসুমে অন্যান্য বছর ডিমের দাম আরও বেশি থাকতো। এ বছর অনেকদিন ধরে ডিমের দাম কম, খামারিরা লোকসান গুনছেন। অনেক খামার বন্ধও হয়ে গেছে।’
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বড় বাজারগুলোতে এখন ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৪০ টাকায়। পাড়া-মহল্লায় প্রতি ডজন ডিম ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যেখানে গত সপ্তাহেও এ দাম ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজির দাম বাড়তি গেলেও সেই তুলনায় বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। ৭০ থেকে ৮০ টাকার ঘরে থাকা সবজির দাম কমে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় নেমেছে।
শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, শসা ৬০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৭০ টাকা, বেগুন (গোল) ৮০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে প্রতি কেজি ধন্দুল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৫০ টাকা, কলা প্রতি হালি ৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কচুরলতি প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৭০ টাকা এবং কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারভেদে এই দাম কম বেশিও হয়। কোনো কোনো বাজারে এর চেয়েও কম দামে সবজি পাওয়া গেছে।
সবজির দাম তুলনামূলক কম উল্লেখ করে মালিবাগ বাজারের আরেক ক্রেতা জুনায়েদ আহমেদ বলেন, ‘গত দুই তিন সপ্তাহের তুলনায় বাজারে সবজির দাম কিছু টাকা কমেছে। কিছুদিন আগেও খুব বাড়তি যাচ্ছিল সবজির দাম, ওই দামে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের কেনা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। তবে সেই তুলনায় সবজির দাম এখন কমেছে।’
মাছ-মাংসের দামও অনেকটা আগের মতোই রয়েছে। শুক্রবার প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৫০-৮০০ টাকা ও খাসির মাংস ১ হাজার থেকে ১১শ’ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাছের মধ্যে প্রতি কেজি চাষের তেলাপিয়া ২২০-২৫০ টাকা, পাঙাশ ২০০-২৫০ টাকা, রুই ৩৫০-৪০০ টাকা, কৈ ৩০০-৩২০ টাকা ও পাবদা ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।