রাজশাহীতে গাছ থেকে মৌসুমের আম পাড়া হচ্ছে
রাজশাহীর আমের জন্য অপেক্ষার অবসান হলো। গাছভর্তি পাকা আমে এখন রাজশাহীর বাগানগুলো মুখরিত। কোনোটি হলুদাভ, কোনোটি ধূসর-সবুজ, আবার কোনোটি পুরোপুরি পাকা রং ধারণ করেছে। এই ভিন্নতা আমের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ও আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মহানগর ও আশপাশের উপজেলার বাগানগুলোতে শুরু হয়েছে গাছপাকা গুটি আম নামানো। এই আম দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো আম নামানো। চলবে আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত। আম পাওয়া যাবে আগস্ট মাস পর্যন্ত। এবার এই জেলায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যদিও এর আগেরবার আমের অফ সিজন থাকায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।
বাগানিদের মতে, এবার আমের ফলন গতবারের চেয়ে কিছুটা বেশি হলেও বাজারমূল্য তুলনামূলক কম। তবে সময়মতো আম পাড়ার সুযোগ পাওয়ায় সন্তুষ্ট তারা। পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে নামানো হবে গোপালভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি, ফজলি, আশ্বিনাসহ উন্নতজাতের আম।
চলতি বছর রাজশাহীতে ১৯ হাজার ৬০৩ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৬ মেট্রিক টন। গত মৌসুমে আমের চাষ হয়েছিল ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমিতে।
ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, গোপালভোগ আম নামানো যাবে আগামী ২২ মে থেকে। লখনা (লক্ষণভোগ) ও রানীপছন্দ ২৫ মে থেকে, হিমসাগর ও খিরসাপাত ৩০ মে থেকে, ল্যাংড়া ও ব্যানানা ম্যাংগো ১০ জুন থেকে, আম্রপালি ও ফজলি ১৫ জুন থেকে, বারি-৪ আম ৫ জুলাই, আশ্বিনা ১০ জুলাই এবং গৌড়মতি ১৫ জুলাই থেকে, এছাড়া কাটিমন ও বারি আম-১১ জাতের আম পাকলেই নামাতে পারবেন চাষিরা।
গত আট বছরের মতো এবারও অপরিপক্ক আম বাজারজাতকরণ ঠেকাতে জাতভেদে আম নামানোর নির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণা করেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। এই সময়সূচিই ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ নামে পরিচিত। সেই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী শুক্রবার,(১৬ মে ২০২৫) থেকে গুটি আম পাড়া শুরু হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী মহনগর, পুঠিয়া ও বাঘা উপজেলার বিভিন্ন বাগানে গিয়ে দেখা যায়, আম চাষিরা গাছপাকা গুটি আম নামিয়ে বানেশ্বর হাটসহ বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন।
রাজশাহী মহানগরীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার এক বাগানে আম নামাচ্ছিলেন চাষি আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের বাগানে এখন যেসব আম নামানো হচ্ছে, এর মধ্যে সাগরিকা নামানো শুরু হলো। এবার যে সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে, তা
সময়মতোই কার্যকর হওয়ায় আমাদের জন্য সুবিধা হয়েছে। গাছে আমও ভালোভাবে পেকেছে।
এসব আমকে অনেকেই আঁটি আমও বলেন। এই গুটি জাতের প্রায় ৩০০ রকমের আম আছে, যেগুলো অন্য জাতের চেয়ে আগেভাগেই পাকতে শুরু করে। চোষা বা চোরষা, বৈশাখী ও চাপড়া নামের গুটি আমও নামানো শুরু হয়েছে।
বাঘা উপজেলার আমচাষি আনোয়ার হোসেন পলাশ জানান, প্রথমদিন বাগান থেকে বড় আকারের গুটি আম মণপ্রতি বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৪০০ টাকায়। আর ছোট আমের দাম ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে। গত বছরের তুলনায় এবার শুরুতেই দাম কিছুটা কম।
তিনি আরও বলেন, এবার এলাকার অন্য বাগানগুলোতে আমের ফলন ভালো হলেও আমার বাগানে কিছুটা কম হয়েছে। তবুও বাজারে যে চিত্র দেখা যাচ্ছে, তাতে দাম কমে শুরু হওয়ায় আমরা একটু হতাশ।
পুঠিয়া উপজেলার নামাজ গ্রাম এলাকার আম ব্যবসায়ী সোহেল ১৫ বছর ধরে আম ব্যবসায়ের সঙ্গে যুক্ত। এ বছর তার কয়েকটি বাগান লিজ নেয়া আছে। বাগানে ৫০০টির মতো আম গাছ আছে। তিনি বলেন, এ বছর আমের ফলন ভালো হয়েছে। আমের সাইজ মাঝারি আকৃতির। আমের বাজার মোটামুটি ভালো আছে। এর আগে গুটি আম পেকে যাওয়ায় বাজারে আম বিক্রি করেছেন। দাম পেয়েছেন ১৫০০ টাকা মণ। তিনি আশা করছেন, এবার আমের দাম ভালো পাবেন। তিনি বলেন, বাজারে আমের দাম ১২০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা মণ পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
বাগান থেকে আম নামিয়ে খড়ের ওপর রাখছেন চাষিরা, যাতে আমের কষ শুকিয়ে যায়। এরপর সেগুলো ক্যারেটে সাজিয়ে বাজারজাতের জন্য প্রস্তত করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে আমের স্বাদ ও গুণমান অক্ষুণ্য থাকে, যা গ্রাহকদের আস্থা বাড়াচ্ছে।
চাষিদের ভাষ্য অনুযায়ী, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমের ফলন ভালো হয়েছে। কীটনাশকমুক্ত ও রোগবালাইমুক্ত আম পেয়ে তারা সন্তুষ্ট। তবে এখনও হাটে বাইরের পাইকারদের উপস্থিতি না থাকায় আমের দাম নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেক বাজার এখনও ক্রেতাশূন্য, ফলে আম বিক্রিতে প্রত্যাশিত গতি আসেনি।
প্রশাসন জানিয়েছে, ভোক্তাদের হাতে নিরাপদ, বিষমুক্ত এবং পরিপক্ব আম পৌঁছে দিতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং চালানো হচ্ছে। কোনো চাষি যদি নিয়ম লঙ্ঘন করে অপরিপক্ব আম বাজারজাত করে, তার বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে কঠোর ব্যবস্থা। এ দিকে, মে মাসের মধ্যেই রাজশাহীর বিখ্যাত জাত গোপালভোগ, লক্ষণভোগ, ক্ষিরসাপাতসহ অন্য সুস্বাদু আম বাজারে আসবে। ফলে আগামী দিনগুলোতে রাজশাহীর আমবাজার আরও জমজমাট হয়ে উঠবে বলে আশা করছেন সবাই।
রাজশাহীর আম শুধু দেশের বাজারেই নয়, বিদেশেও ব্যাপক চাহিদা রাখে। রপ্তানিমুখী এই আম চাষে কৃষকেরা নির্ভর করে থাকে সারা বছরের আয়-রোজগারের বড় অংশের ওপর। সেজন্য প্রশাসনের নজরদারি, প্রাকৃতিক পরিবেশের অনুকুলতা ও সময়মতো আম নামানোর সিদ্ধান্ত এই খাতের জন্য ইতিবাচক বার্তা বয়ে আনছে।
চাষিরা বলছেন, এখন প্রয়োজন ন্যায্যমূল্য ও পর্যাপ্ত পাইকারি বিপণনের সুযোগ। তাতে আমচাষি ও ক্রেতা উভয়ই লাভবান হবেন।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক উম্মে ছালমা জানিয়েছেন, চাষিরা আম নামানো শুরু করেছে। এই আম নামানো চলবে আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত। এবার আশা করা যাচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।
রাজশাহীতে গাছ থেকে মৌসুমের আম পাড়া হচ্ছে
শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
রাজশাহীর আমের জন্য অপেক্ষার অবসান হলো। গাছভর্তি পাকা আমে এখন রাজশাহীর বাগানগুলো মুখরিত। কোনোটি হলুদাভ, কোনোটি ধূসর-সবুজ, আবার কোনোটি পুরোপুরি পাকা রং ধারণ করেছে। এই ভিন্নতা আমের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ও আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মহানগর ও আশপাশের উপজেলার বাগানগুলোতে শুরু হয়েছে গাছপাকা গুটি আম নামানো। এই আম দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো আম নামানো। চলবে আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত। আম পাওয়া যাবে আগস্ট মাস পর্যন্ত। এবার এই জেলায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যদিও এর আগেরবার আমের অফ সিজন থাকায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।
বাগানিদের মতে, এবার আমের ফলন গতবারের চেয়ে কিছুটা বেশি হলেও বাজারমূল্য তুলনামূলক কম। তবে সময়মতো আম পাড়ার সুযোগ পাওয়ায় সন্তুষ্ট তারা। পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে নামানো হবে গোপালভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি, ফজলি, আশ্বিনাসহ উন্নতজাতের আম।
চলতি বছর রাজশাহীতে ১৯ হাজার ৬০৩ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৬ মেট্রিক টন। গত মৌসুমে আমের চাষ হয়েছিল ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমিতে।
ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, গোপালভোগ আম নামানো যাবে আগামী ২২ মে থেকে। লখনা (লক্ষণভোগ) ও রানীপছন্দ ২৫ মে থেকে, হিমসাগর ও খিরসাপাত ৩০ মে থেকে, ল্যাংড়া ও ব্যানানা ম্যাংগো ১০ জুন থেকে, আম্রপালি ও ফজলি ১৫ জুন থেকে, বারি-৪ আম ৫ জুলাই, আশ্বিনা ১০ জুলাই এবং গৌড়মতি ১৫ জুলাই থেকে, এছাড়া কাটিমন ও বারি আম-১১ জাতের আম পাকলেই নামাতে পারবেন চাষিরা।
গত আট বছরের মতো এবারও অপরিপক্ক আম বাজারজাতকরণ ঠেকাতে জাতভেদে আম নামানোর নির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণা করেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। এই সময়সূচিই ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ নামে পরিচিত। সেই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী শুক্রবার,(১৬ মে ২০২৫) থেকে গুটি আম পাড়া শুরু হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী মহনগর, পুঠিয়া ও বাঘা উপজেলার বিভিন্ন বাগানে গিয়ে দেখা যায়, আম চাষিরা গাছপাকা গুটি আম নামিয়ে বানেশ্বর হাটসহ বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন।
রাজশাহী মহানগরীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার এক বাগানে আম নামাচ্ছিলেন চাষি আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের বাগানে এখন যেসব আম নামানো হচ্ছে, এর মধ্যে সাগরিকা নামানো শুরু হলো। এবার যে সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে, তা
সময়মতোই কার্যকর হওয়ায় আমাদের জন্য সুবিধা হয়েছে। গাছে আমও ভালোভাবে পেকেছে।
এসব আমকে অনেকেই আঁটি আমও বলেন। এই গুটি জাতের প্রায় ৩০০ রকমের আম আছে, যেগুলো অন্য জাতের চেয়ে আগেভাগেই পাকতে শুরু করে। চোষা বা চোরষা, বৈশাখী ও চাপড়া নামের গুটি আমও নামানো শুরু হয়েছে।
বাঘা উপজেলার আমচাষি আনোয়ার হোসেন পলাশ জানান, প্রথমদিন বাগান থেকে বড় আকারের গুটি আম মণপ্রতি বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৪০০ টাকায়। আর ছোট আমের দাম ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে। গত বছরের তুলনায় এবার শুরুতেই দাম কিছুটা কম।
তিনি আরও বলেন, এবার এলাকার অন্য বাগানগুলোতে আমের ফলন ভালো হলেও আমার বাগানে কিছুটা কম হয়েছে। তবুও বাজারে যে চিত্র দেখা যাচ্ছে, তাতে দাম কমে শুরু হওয়ায় আমরা একটু হতাশ।
পুঠিয়া উপজেলার নামাজ গ্রাম এলাকার আম ব্যবসায়ী সোহেল ১৫ বছর ধরে আম ব্যবসায়ের সঙ্গে যুক্ত। এ বছর তার কয়েকটি বাগান লিজ নেয়া আছে। বাগানে ৫০০টির মতো আম গাছ আছে। তিনি বলেন, এ বছর আমের ফলন ভালো হয়েছে। আমের সাইজ মাঝারি আকৃতির। আমের বাজার মোটামুটি ভালো আছে। এর আগে গুটি আম পেকে যাওয়ায় বাজারে আম বিক্রি করেছেন। দাম পেয়েছেন ১৫০০ টাকা মণ। তিনি আশা করছেন, এবার আমের দাম ভালো পাবেন। তিনি বলেন, বাজারে আমের দাম ১২০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা মণ পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
বাগান থেকে আম নামিয়ে খড়ের ওপর রাখছেন চাষিরা, যাতে আমের কষ শুকিয়ে যায়। এরপর সেগুলো ক্যারেটে সাজিয়ে বাজারজাতের জন্য প্রস্তত করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে আমের স্বাদ ও গুণমান অক্ষুণ্য থাকে, যা গ্রাহকদের আস্থা বাড়াচ্ছে।
চাষিদের ভাষ্য অনুযায়ী, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমের ফলন ভালো হয়েছে। কীটনাশকমুক্ত ও রোগবালাইমুক্ত আম পেয়ে তারা সন্তুষ্ট। তবে এখনও হাটে বাইরের পাইকারদের উপস্থিতি না থাকায় আমের দাম নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেক বাজার এখনও ক্রেতাশূন্য, ফলে আম বিক্রিতে প্রত্যাশিত গতি আসেনি।
প্রশাসন জানিয়েছে, ভোক্তাদের হাতে নিরাপদ, বিষমুক্ত এবং পরিপক্ব আম পৌঁছে দিতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং চালানো হচ্ছে। কোনো চাষি যদি নিয়ম লঙ্ঘন করে অপরিপক্ব আম বাজারজাত করে, তার বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে কঠোর ব্যবস্থা। এ দিকে, মে মাসের মধ্যেই রাজশাহীর বিখ্যাত জাত গোপালভোগ, লক্ষণভোগ, ক্ষিরসাপাতসহ অন্য সুস্বাদু আম বাজারে আসবে। ফলে আগামী দিনগুলোতে রাজশাহীর আমবাজার আরও জমজমাট হয়ে উঠবে বলে আশা করছেন সবাই।
রাজশাহীর আম শুধু দেশের বাজারেই নয়, বিদেশেও ব্যাপক চাহিদা রাখে। রপ্তানিমুখী এই আম চাষে কৃষকেরা নির্ভর করে থাকে সারা বছরের আয়-রোজগারের বড় অংশের ওপর। সেজন্য প্রশাসনের নজরদারি, প্রাকৃতিক পরিবেশের অনুকুলতা ও সময়মতো আম নামানোর সিদ্ধান্ত এই খাতের জন্য ইতিবাচক বার্তা বয়ে আনছে।
চাষিরা বলছেন, এখন প্রয়োজন ন্যায্যমূল্য ও পর্যাপ্ত পাইকারি বিপণনের সুযোগ। তাতে আমচাষি ও ক্রেতা উভয়ই লাভবান হবেন।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক উম্মে ছালমা জানিয়েছেন, চাষিরা আম নামানো শুরু করেছে। এই আম নামানো চলবে আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত। এবার আশা করা যাচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।