রেলওয়ে প্রকৌশলীর অনিয়ম ‘দুর্নীতি’
অনিয়ম, ‘দুর্নীতি’ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-পরিচালক (ওয়ে অ্যান্ড ওয়ার্কস) এসএম মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে। ঠিকাদার যুবলীগ নেতাকে কাজ পাইয়ে দিতে একের পর এক বেআইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। একই ঠিকাদারকে দিয়ে কাজ না করিয়ে বিল উত্তোলন করে দুইজনে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। সরকারের বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাত করতে এপিপি লঙ্ঘন করে অধিক প্রাক্কলন মূল্য তৈরি করে টেন্ডার আহ্বান করে ধরা পড়েছেন।
এছাড়া বদলি বাণিজ্য, বাজেট পাশ করানোর নামে অর্থ গ্রহণ, টিটিএলআর নিয়োগের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ, ঠিকাদারদের কাছ থেকে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে রেলপথ উপদেষ্টার কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
ভুক্তভুগিদের ওই আবেদনে বলা হয়েছে যুবলীগ নেতা ঠিকাদার মো. রেজাউল মোল্লাকে কাজ পাইয়ে দিতে যত ধরনের অনিয়ম আছে তার সবটাই করেছেন এই মাহমুদুর রহমান। তিনি ঢাকার বিভাগীয় প্রকৌশলী-৩ থাকালীন অধিক প্রাক্কলন মূল্য তৈরি করে ৪২টি টেন্ডার আহ্বান করেন। যা পরবর্তীতে মূল্যায়ন কমিটির কাছে ধরা পড়ে বাতিল করা হয়। এমন করার প্রধান কারণ ছিল অতিরিক্ত মূল্যের অংশটি ঠিকাদারের সঙ্গে ভাগবাটোয়ারা করে নেয়।
পরবর্তীতে রিটেন্ডার করা হয়। ওই সময়ে ২০২৩-’২৪ অর্থ বছরে তার পছন্দের ঠিকাদার যুবলীগ নেতা রেজাউল মোল্লার প্রতিষ্ঠানকে ১৭টি কাজ পাইয়ে দেন মাহমুদুর রহমান। যার কারণে সাধারণ ঠিকাদাররা চরমভাবে বঞ্চিত হয়েছেন। কিন্তু যুবলীগের প্রভাবের কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে ‘প্রিমিসেস এক্সেস কন্ট্রোল বাউন্ডারি’ প্যাকেজের কাজটি বাতিল করা হয়। কিন্তু সুকৌশলে মাহমুদুর রহমান ওই কাজ না করেও তার বিল পাশ করিয়ে দেন ওই যুবলীগ নেতকে। এরপর বিলের প্রায় ২৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা দুইজনে আত্মসাত করে।
বিষয়টি জানাজানি হলেও
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ২০২৪-’২৫ অর্থ বছরে এই মাহমুদুর রহমান ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ থাকা অবস্থায় দাপ্তরিক প্রাক্কলন অনুমোদন ছাড়াই ৩৭টি দরপত্র আহ্বান করেন। এই দরপত্রে কাজ পাইয়ে দিতে প্রতি ঠিকাদারের কাছ থেকে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন। তবে ৩৭টির মধ্যে কম কাজ করে বা কাজ না করে বেশি টাকা হাতিয়ে নেয়ার মতো ৮টি কাজের দায়িত্বই দেন সেই যুবলীগ নেতাকে। এই ৮টির মধ্যে রয়েছে সেচ অ্যান্ড ব্যাংক রিপেয়ার মাটি কাটার কাজ। মাটি কাটার কাজগুলো মূলত করা হয় নকশা দিয়ে। কিন্তু এই কাজের একটিরও নকশা অনুমোদন হয়নি। অর্থাৎ মাটি না কেটেই ঠিকাদাকারের সঙ্গে টাকা ভাগাভাগি করে নেয়ার চক্রান্ত ছিল।
কয়েজজন ভুক্তভুগিরা জানান, একের পর এক অনিয়ম করেও অদৃশ্য কারণে পার পেয়ে যাওয়ায় বেপরোয়া হয়ে ওঠেন প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান। তার বিরুদ্ধে ভুক্তিভুগিরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিক অভিযোগ দিলেও কোনো কাজ হয়নি। কারণ তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের আস্থাভাজন একজন ডিআইজির সন্তান। এছাড়া তার টাকা আত্মসাতের পার্টনার ঠিকাদার যুবলীগ নেতা হওয়ায় কাউকে তোয়াক্তা করতেন না। এ বিষয়ে প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমানকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেনি।
রেলওয়ে প্রকৌশলীর অনিয়ম ‘দুর্নীতি’
শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
অনিয়ম, ‘দুর্নীতি’ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-পরিচালক (ওয়ে অ্যান্ড ওয়ার্কস) এসএম মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে। ঠিকাদার যুবলীগ নেতাকে কাজ পাইয়ে দিতে একের পর এক বেআইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। একই ঠিকাদারকে দিয়ে কাজ না করিয়ে বিল উত্তোলন করে দুইজনে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। সরকারের বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাত করতে এপিপি লঙ্ঘন করে অধিক প্রাক্কলন মূল্য তৈরি করে টেন্ডার আহ্বান করে ধরা পড়েছেন।
এছাড়া বদলি বাণিজ্য, বাজেট পাশ করানোর নামে অর্থ গ্রহণ, টিটিএলআর নিয়োগের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ, ঠিকাদারদের কাছ থেকে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে রেলপথ উপদেষ্টার কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
ভুক্তভুগিদের ওই আবেদনে বলা হয়েছে যুবলীগ নেতা ঠিকাদার মো. রেজাউল মোল্লাকে কাজ পাইয়ে দিতে যত ধরনের অনিয়ম আছে তার সবটাই করেছেন এই মাহমুদুর রহমান। তিনি ঢাকার বিভাগীয় প্রকৌশলী-৩ থাকালীন অধিক প্রাক্কলন মূল্য তৈরি করে ৪২টি টেন্ডার আহ্বান করেন। যা পরবর্তীতে মূল্যায়ন কমিটির কাছে ধরা পড়ে বাতিল করা হয়। এমন করার প্রধান কারণ ছিল অতিরিক্ত মূল্যের অংশটি ঠিকাদারের সঙ্গে ভাগবাটোয়ারা করে নেয়।
পরবর্তীতে রিটেন্ডার করা হয়। ওই সময়ে ২০২৩-’২৪ অর্থ বছরে তার পছন্দের ঠিকাদার যুবলীগ নেতা রেজাউল মোল্লার প্রতিষ্ঠানকে ১৭টি কাজ পাইয়ে দেন মাহমুদুর রহমান। যার কারণে সাধারণ ঠিকাদাররা চরমভাবে বঞ্চিত হয়েছেন। কিন্তু যুবলীগের প্রভাবের কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে ‘প্রিমিসেস এক্সেস কন্ট্রোল বাউন্ডারি’ প্যাকেজের কাজটি বাতিল করা হয়। কিন্তু সুকৌশলে মাহমুদুর রহমান ওই কাজ না করেও তার বিল পাশ করিয়ে দেন ওই যুবলীগ নেতকে। এরপর বিলের প্রায় ২৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা দুইজনে আত্মসাত করে।
বিষয়টি জানাজানি হলেও
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ২০২৪-’২৫ অর্থ বছরে এই মাহমুদুর রহমান ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ থাকা অবস্থায় দাপ্তরিক প্রাক্কলন অনুমোদন ছাড়াই ৩৭টি দরপত্র আহ্বান করেন। এই দরপত্রে কাজ পাইয়ে দিতে প্রতি ঠিকাদারের কাছ থেকে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন। তবে ৩৭টির মধ্যে কম কাজ করে বা কাজ না করে বেশি টাকা হাতিয়ে নেয়ার মতো ৮টি কাজের দায়িত্বই দেন সেই যুবলীগ নেতাকে। এই ৮টির মধ্যে রয়েছে সেচ অ্যান্ড ব্যাংক রিপেয়ার মাটি কাটার কাজ। মাটি কাটার কাজগুলো মূলত করা হয় নকশা দিয়ে। কিন্তু এই কাজের একটিরও নকশা অনুমোদন হয়নি। অর্থাৎ মাটি না কেটেই ঠিকাদাকারের সঙ্গে টাকা ভাগাভাগি করে নেয়ার চক্রান্ত ছিল।
কয়েজজন ভুক্তভুগিরা জানান, একের পর এক অনিয়ম করেও অদৃশ্য কারণে পার পেয়ে যাওয়ায় বেপরোয়া হয়ে ওঠেন প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান। তার বিরুদ্ধে ভুক্তিভুগিরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিক অভিযোগ দিলেও কোনো কাজ হয়নি। কারণ তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের আস্থাভাজন একজন ডিআইজির সন্তান। এছাড়া তার টাকা আত্মসাতের পার্টনার ঠিকাদার যুবলীগ নেতা হওয়ায় কাউকে তোয়াক্তা করতেন না। এ বিষয়ে প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমানকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেনি।