বহুল আলোচিত ও সমালোচিত সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ বাতিল করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
গতকাল বুধবার (২১ মে) আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পূর্বের আইনের ৯টি ধারা বাদ দেওয়া হয়েছে।
সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রণীত সাইবার নিরাপত্তা আইনের একাধিক ধারা এবং তার অপব্যবহার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের একাংশ এর বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
ক্ষমতায় এসে অন্তর্বর্তী সরকার আইনটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ১ ডিসেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের ওয়েবসাইটে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে মতামত চাওয়া হয়।
তবে প্রথম খসড়াতেও কিছু বিতর্কিত ধারা থাকায় তা নিয়ে সমালোচনা হয়। পরে উপদেষ্টা পরিষদের একাধিক বৈঠকে অধ্যাদেশে সংশোধনী আনা হয়। ৬ মে সর্বশেষ খসড়া অনুমোদন পায়। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করতে ২৫ বার খসড়া পরিবর্তন করা হয়েছে।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে সাইবার নিরাপত্তা আইনের ধারা ২১, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩১ ও ৩৪ বাদ পড়েছে। বাদ পড়া ধারাগুলোয় ছিল—মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকা সম্পর্কে বিদ্বেষ, বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক প্রচারণার দণ্ড; পরিচয় প্রতারণা বা ছদ্মবেশ ধারণ; আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শন, তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ; অনুমতি ব্যতীত পরিচিতি তথ্য সংগ্রহ, ব্যবহার ইত্যাদির দণ্ড; মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, প্রচার ইত্যাদি।
অধ্যাদেশে আরও বলা হয়েছে, এই বাতিল হওয়া ধারাগুলোতে আগের দায়ের করা সব মামলা, তদন্ত, দণ্ড বা কার্যক্রমও বাতিল বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ, এসব ধারায় যেসব মামলা চলমান ছিল, সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ থাকবে এবং ইতোমধ্যে দেওয়া দণ্ড বা জরিমানাও কার্যকর হবে না।
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
বহুল আলোচিত ও সমালোচিত সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ বাতিল করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
গতকাল বুধবার (২১ মে) আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পূর্বের আইনের ৯টি ধারা বাদ দেওয়া হয়েছে।
সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রণীত সাইবার নিরাপত্তা আইনের একাধিক ধারা এবং তার অপব্যবহার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের একাংশ এর বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
ক্ষমতায় এসে অন্তর্বর্তী সরকার আইনটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ১ ডিসেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের ওয়েবসাইটে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে মতামত চাওয়া হয়।
তবে প্রথম খসড়াতেও কিছু বিতর্কিত ধারা থাকায় তা নিয়ে সমালোচনা হয়। পরে উপদেষ্টা পরিষদের একাধিক বৈঠকে অধ্যাদেশে সংশোধনী আনা হয়। ৬ মে সর্বশেষ খসড়া অনুমোদন পায়। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করতে ২৫ বার খসড়া পরিবর্তন করা হয়েছে।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে সাইবার নিরাপত্তা আইনের ধারা ২১, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩১ ও ৩৪ বাদ পড়েছে। বাদ পড়া ধারাগুলোয় ছিল—মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকা সম্পর্কে বিদ্বেষ, বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক প্রচারণার দণ্ড; পরিচয় প্রতারণা বা ছদ্মবেশ ধারণ; আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শন, তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ; অনুমতি ব্যতীত পরিচিতি তথ্য সংগ্রহ, ব্যবহার ইত্যাদির দণ্ড; মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, প্রচার ইত্যাদি।
অধ্যাদেশে আরও বলা হয়েছে, এই বাতিল হওয়া ধারাগুলোতে আগের দায়ের করা সব মামলা, তদন্ত, দণ্ড বা কার্যক্রমও বাতিল বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ, এসব ধারায় যেসব মামলা চলমান ছিল, সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ থাকবে এবং ইতোমধ্যে দেওয়া দণ্ড বা জরিমানাও কার্যকর হবে না।