ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উপদ্রব সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। চলতি জুন মাস থেকে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তের হট স্পট বরগুনা। থেমে নেই মৃুত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৪৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৯ জন, ঢাকা বিভাগে ৯ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৩৫ জন, খুলনা বিভাগে ৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৭ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন, সিলেটে ১ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
জুন মাসের গত ১৫ দিনে ৪৩ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে ৭ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে রোববার,(১৫ জুন ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৫,৯৮৮ জন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩০ জন। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমাজেন্সি ও কন্ট্রোল রুমের
দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইমসাম জানান, ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে ৩৬ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি আছে ১২ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছে ৩ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৮ জন, কুমিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২৩ জন ভর্তি আছে। ঢাকার ১৮টি সরকারি হাসপাতালে এখনও ভর্তি আছে ১৩১ জন। ভর্তির শীর্ষে বরগুনায় ২১৫ জন ভর্তি আছে। এইভাবে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও ভর্তি আছে ৬৫৯ জন।
এদিকে সংবাদের বরগুনা জেলা বার্তা পরিবেশক জানান, বরগুনা ডেঙ্গু আক্রান্তদের হট স্পট। বরগুনা হাসপাতালে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর বাসাবাড়ি মিলে ১৫ জন মারা গেছেন বলে স্থানীয়রা দাবি করছেন। স্থানীয়দের হিসাবে বরগুনায় আক্রান্ত ১৮৩৮ জন। রোববার একদিনে আরও ৭৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। এখন বরগুনা জেলা হাসপাতালে ১৯২ জন ভর্তি আছে। বরগুনা সাধুবাড়িতে ৫ জন আক্রান্ত হয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, বরগুনায় জলাবদ্ধতা, পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতার অভাবে সেখানে এডিস মশার উপদ্রব বাড়ছে। সম্প্রতি স্থানীয় মানববন্ধন করছে। তাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো অংশ গ্রহণ করেছে। বরগুনাবাসীকে মশার কবল থেকে বাঁচানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
রোববার থেকে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে মশার হট স্পট পরিদর্শন ও মশা মারা প্রজননস্থল ধ্বংস করার উদ্যোগ নিবেন বলে জানা গেছে।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গুর জিনগত পরিবর্তনে সংক্রমণ বাড়ছে। প্রতিবছর বর্ষার মৌসুমে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যা জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর মারাত্বক চাপ সৃষ্টি করে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশে গ্রাম থেকে শহরে প্রায় সব জায়গায় অপরিকল্পিত নগরায়ন ও দুর্বল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের অভাবে বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকে। যা মশার বংশ বৃদ্ধির ক্ষেত্র তৈরি করে। শহরে উঁচু ভবন ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আলো বাতাস চলাচল কম হওয়ায় মশার সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে তাপমাত্রা ও আদ্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ডেঙ্গু সংক্রমণের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করছে। আগে শুধু বর্ষাকালে ডেঙ্গু দেখা যেত। এখন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গ্রীষ্মকালেও দেখা যায়। ডেঙ্গু বাংলাদেশের জন্য একটি ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়ে উঠেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন।
রোববার, ১৫ জুন ২০২৫
ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উপদ্রব সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। চলতি জুন মাস থেকে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তের হট স্পট বরগুনা। থেমে নেই মৃুত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৪৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৯ জন, ঢাকা বিভাগে ৯ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৩৫ জন, খুলনা বিভাগে ৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৭ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন, সিলেটে ১ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
জুন মাসের গত ১৫ দিনে ৪৩ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে ৭ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে রোববার,(১৫ জুন ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৫,৯৮৮ জন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩০ জন। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমাজেন্সি ও কন্ট্রোল রুমের
দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইমসাম জানান, ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে ৩৬ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি আছে ১২ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছে ৩ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৮ জন, কুমিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২৩ জন ভর্তি আছে। ঢাকার ১৮টি সরকারি হাসপাতালে এখনও ভর্তি আছে ১৩১ জন। ভর্তির শীর্ষে বরগুনায় ২১৫ জন ভর্তি আছে। এইভাবে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও ভর্তি আছে ৬৫৯ জন।
এদিকে সংবাদের বরগুনা জেলা বার্তা পরিবেশক জানান, বরগুনা ডেঙ্গু আক্রান্তদের হট স্পট। বরগুনা হাসপাতালে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর বাসাবাড়ি মিলে ১৫ জন মারা গেছেন বলে স্থানীয়রা দাবি করছেন। স্থানীয়দের হিসাবে বরগুনায় আক্রান্ত ১৮৩৮ জন। রোববার একদিনে আরও ৭৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। এখন বরগুনা জেলা হাসপাতালে ১৯২ জন ভর্তি আছে। বরগুনা সাধুবাড়িতে ৫ জন আক্রান্ত হয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, বরগুনায় জলাবদ্ধতা, পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতার অভাবে সেখানে এডিস মশার উপদ্রব বাড়ছে। সম্প্রতি স্থানীয় মানববন্ধন করছে। তাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো অংশ গ্রহণ করেছে। বরগুনাবাসীকে মশার কবল থেকে বাঁচানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
রোববার থেকে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে মশার হট স্পট পরিদর্শন ও মশা মারা প্রজননস্থল ধ্বংস করার উদ্যোগ নিবেন বলে জানা গেছে।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গুর জিনগত পরিবর্তনে সংক্রমণ বাড়ছে। প্রতিবছর বর্ষার মৌসুমে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যা জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর মারাত্বক চাপ সৃষ্টি করে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশে গ্রাম থেকে শহরে প্রায় সব জায়গায় অপরিকল্পিত নগরায়ন ও দুর্বল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের অভাবে বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকে। যা মশার বংশ বৃদ্ধির ক্ষেত্র তৈরি করে। শহরে উঁচু ভবন ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আলো বাতাস চলাচল কম হওয়ায় মশার সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে তাপমাত্রা ও আদ্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ডেঙ্গু সংক্রমণের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করছে। আগে শুধু বর্ষাকালে ডেঙ্গু দেখা যেত। এখন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গ্রীষ্মকালেও দেখা যায়। ডেঙ্গু বাংলাদেশের জন্য একটি ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়ে উঠেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন।