পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশ সরকার চাইলে এখনই দেশি-বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ করতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেছেন, ‘অর্থ উদ্ধারের প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে এগোতে হবে এবং যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।’ এছাড়া বেসরকারি খাতের পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে একীভূত (মার্জার) করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তিনি। রোববার,(১৫ জুন ২০২৫) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার চাইলে এখনই
দেশি-বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ করতে পারে
পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে
একীভূত (মার্জার) করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে
ব্যাংকগুলো হলো, ফার্স্ট সিকিউরিটি, গ্লোবাল, ইউনিয়ন, সোস্যাল ইসলামী ও এক্সিম ব্যাংক
গভর্নর বলেন, ‘অর্থপাচার রোধ ও উদ্ধারে সরকার দেশে ও বিদেশে মামলা করতে পারে। কী ধরনের মামলা হবে এবং কীভাবে হবে তা নির্ধারণ করবেন আইনজীবীরা। চূড়ান্ত রায় ছাড়া কোনো সম্পদ উদ্ধার করা সম্ভব নয়। তাই আগে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে তা আদালতে উপস্থাপন করতে হবে। বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে যে, আমরা যে দাবি করছি তা সঠিক কিনা।’
এ সময় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি (এডিআর) ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, ‘এডিআর পদ্ধতিতেও অর্থ উদ্ধার সম্ভব, তবে তা আদালতের বাইরের একটি প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে দু’পক্ষের আইনজীবী আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে এ পদ্ধতিতে যাবেন কিনা, সেটি নির্ভর করবে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর। দেশীয় সম্পদ উদ্ধারে দেশীয় আদালত এবং বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে বিদেশি আদালতে পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে, এখন সরকারের নির্দেশ পেলেই আইনজীবী নিয়োগ দেয়া সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্পদ উদ্ধারের বিষয়টি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়া প্রক্রিয়া। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া এসব অর্থ উদ্ধার সম্ভব নয়। এজন্য সুনির্দিষ্ট তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। আমরা চাই, আদালতের মাধ্যমে যাচাই হোক আমাদের দাবি কতটা সঠিক। আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই অর্থ উদ্ধারে পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হবে।’
বেসরকারি খাতের পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে একীভূত (মার্জার) করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, এ মার্জারের ফলে কোনো কর্মীকে চাকরি হারাতে হবে না।
গভর্নর বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে এ মার্জারের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করি, আগামী সরকারও এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবে। তবে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত হবে। কর্মীদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রয়োজনে কিছু শাখা পুনর্বিন্যাস করা হবে। যেসব ব্যাংকের শাখা শহর এলাকায় বেশি, সেগুলোর কিছু শাখা গ্রামাঞ্চলে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।’
ব্যাংক পাঁচটি হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক।
রোববার, ১৫ জুন ২০২৫
পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশ সরকার চাইলে এখনই দেশি-বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ করতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেছেন, ‘অর্থ উদ্ধারের প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে এগোতে হবে এবং যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।’ এছাড়া বেসরকারি খাতের পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে একীভূত (মার্জার) করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তিনি। রোববার,(১৫ জুন ২০২৫) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার চাইলে এখনই
দেশি-বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ করতে পারে
পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে
একীভূত (মার্জার) করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে
ব্যাংকগুলো হলো, ফার্স্ট সিকিউরিটি, গ্লোবাল, ইউনিয়ন, সোস্যাল ইসলামী ও এক্সিম ব্যাংক
গভর্নর বলেন, ‘অর্থপাচার রোধ ও উদ্ধারে সরকার দেশে ও বিদেশে মামলা করতে পারে। কী ধরনের মামলা হবে এবং কীভাবে হবে তা নির্ধারণ করবেন আইনজীবীরা। চূড়ান্ত রায় ছাড়া কোনো সম্পদ উদ্ধার করা সম্ভব নয়। তাই আগে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে তা আদালতে উপস্থাপন করতে হবে। বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে যে, আমরা যে দাবি করছি তা সঠিক কিনা।’
এ সময় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি (এডিআর) ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, ‘এডিআর পদ্ধতিতেও অর্থ উদ্ধার সম্ভব, তবে তা আদালতের বাইরের একটি প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে দু’পক্ষের আইনজীবী আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে এ পদ্ধতিতে যাবেন কিনা, সেটি নির্ভর করবে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর। দেশীয় সম্পদ উদ্ধারে দেশীয় আদালত এবং বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে বিদেশি আদালতে পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে, এখন সরকারের নির্দেশ পেলেই আইনজীবী নিয়োগ দেয়া সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্পদ উদ্ধারের বিষয়টি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়া প্রক্রিয়া। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া এসব অর্থ উদ্ধার সম্ভব নয়। এজন্য সুনির্দিষ্ট তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। আমরা চাই, আদালতের মাধ্যমে যাচাই হোক আমাদের দাবি কতটা সঠিক। আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই অর্থ উদ্ধারে পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হবে।’
বেসরকারি খাতের পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে একীভূত (মার্জার) করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, এ মার্জারের ফলে কোনো কর্মীকে চাকরি হারাতে হবে না।
গভর্নর বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে এ মার্জারের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করি, আগামী সরকারও এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবে। তবে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত হবে। কর্মীদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রয়োজনে কিছু শাখা পুনর্বিন্যাস করা হবে। যেসব ব্যাংকের শাখা শহর এলাকায় বেশি, সেগুলোর কিছু শাখা গ্রামাঞ্চলে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।’
ব্যাংক পাঁচটি হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক।