কোরবানির ঈদের আগে ও পরে মিলিয়ে ১৫ দিনে গেল বছরের তুলনায় ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। এবারের সারা দেশে ৩৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৩৯০ জন নিহত ও ১ হাজার ১৮২ জন আহত হয়েছেন। আর সড়ক, রেল ও নৌপথ মিলিয়ে ৪১৫টি দুর্ঘটনায় ৪২৭ জন নিহত এবং ১১৯৪ জন আহত হয়েছেন বলে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
গেল বছরের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ২২ শতাংশ। মৃত্যুর সংখ্যা ১৬ শতাংশ ও আহত ৫৪ শতাংশ বেড়েছে
সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে মোটরসাইকেল
সড়ক-মহাসড়কে ছোট-বড় গর্ত, চালকদের বিরামহীন ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানোই দায়ী
সোমবার,(১৬ জুন ২০২৬) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, সড়কে দুর্ঘটনা ও মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি কমিয়ে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে হলে ঈদের আগে কমপক্ষে চার দিনের সরকারি ছুটি থাকা দরকার। ঈদের যাতায়াত ব্যবস্থাপনা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন। সবার আগে আমাদের গণপরিবহন ও ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বাড়াতে হবে, ছোট যানবাহন মহাসড়ক থেকে উচ্ছেদ করতে হবে। প্রশিক্ষিত দক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, মানসম্মত সড়কের পাশাপাশি আইনের সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি।
এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে মোটরসাইকেল। তারপরে আছে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, নসিমন-করিমন ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা, বলেও জানান তিনি।
গেল বছরের তুলনায় এবারের ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ২২ শতাংশ। এতে মৃত্যুর সংখ্যা ১৬ শতাংশ আর আহত ৫৪ শতাংশ বেড়েছে বলেও জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘দেশের সড়ক-মহাসড়কের বৃষ্টির কারণে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে বেপরোয়া যানবাহন দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে।’
‘ঈদের পরে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা বিরামহীন ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালাতে গিয়ে সংঘটিত হয়েছে। ফলে এসব দুর্ঘটনায় সিংহভাগ খাদে পড়ে ও দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনের লেগে যাওয়ার ঘটনা বেশি ঘটেছে’, বলেন তিনি।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও পথে পথে যাত্রী হয়রানি এবারের ঈদেও চরমে ছিল জানিয়ে আরও বলেন, গণপরিবহনগুলোতে ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দরিদ্র লোকজনদের ঈদে বাড়ি যাতায়াত করতে হয়েছে।
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
কোরবানির ঈদের আগে ও পরে মিলিয়ে ১৫ দিনে গেল বছরের তুলনায় ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। এবারের সারা দেশে ৩৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৩৯০ জন নিহত ও ১ হাজার ১৮২ জন আহত হয়েছেন। আর সড়ক, রেল ও নৌপথ মিলিয়ে ৪১৫টি দুর্ঘটনায় ৪২৭ জন নিহত এবং ১১৯৪ জন আহত হয়েছেন বলে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
গেল বছরের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ২২ শতাংশ। মৃত্যুর সংখ্যা ১৬ শতাংশ ও আহত ৫৪ শতাংশ বেড়েছে
সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে মোটরসাইকেল
সড়ক-মহাসড়কে ছোট-বড় গর্ত, চালকদের বিরামহীন ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানোই দায়ী
সোমবার,(১৬ জুন ২০২৬) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, সড়কে দুর্ঘটনা ও মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি কমিয়ে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে হলে ঈদের আগে কমপক্ষে চার দিনের সরকারি ছুটি থাকা দরকার। ঈদের যাতায়াত ব্যবস্থাপনা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন। সবার আগে আমাদের গণপরিবহন ও ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বাড়াতে হবে, ছোট যানবাহন মহাসড়ক থেকে উচ্ছেদ করতে হবে। প্রশিক্ষিত দক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, মানসম্মত সড়কের পাশাপাশি আইনের সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি।
এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে মোটরসাইকেল। তারপরে আছে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, নসিমন-করিমন ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা, বলেও জানান তিনি।
গেল বছরের তুলনায় এবারের ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ২২ শতাংশ। এতে মৃত্যুর সংখ্যা ১৬ শতাংশ আর আহত ৫৪ শতাংশ বেড়েছে বলেও জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘দেশের সড়ক-মহাসড়কের বৃষ্টির কারণে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে বেপরোয়া যানবাহন দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে।’
‘ঈদের পরে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা বিরামহীন ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালাতে গিয়ে সংঘটিত হয়েছে। ফলে এসব দুর্ঘটনায় সিংহভাগ খাদে পড়ে ও দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনের লেগে যাওয়ার ঘটনা বেশি ঘটেছে’, বলেন তিনি।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও পথে পথে যাত্রী হয়রানি এবারের ঈদেও চরমে ছিল জানিয়ে আরও বলেন, গণপরিবহনগুলোতে ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দরিদ্র লোকজনদের ঈদে বাড়ি যাতায়াত করতে হয়েছে।