ভোলার চরফ্যাশনের দুলারহাটে হত্যা চেষ্টা ও চাঁদাবাজিসহ পৃথক দুই মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আসামিদের সঙ্গে আতাঁত করে পক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে দুলারহাট থানার ওসির বিরুদ্ধে। তবে ওসির দাবি, আসামি বয়স্ক ও অসুস্থ হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আদালতে না পাঠিয়ে আসামিকে ছেড়ে দেয়ার বৈধতা আছে কিনা এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেননি ওসি। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে ছেড়ে দেয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে বাদী ও স্বাক্ষীদের পরিবারের মধ্যে। থানা থেকে মুক্তি পেয়ে মামলা তুলে নিতে আসামিদের অব্যহত হুমকি-ধামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে মামলার বাদীসহ তার পরিবারের সদস্যরা।
গতকাল রোববার রাতে পৃথক দুই মামলার আসামি খোকন মাঝিকে উপজেলার দুলারহাট থানার আহাম্মদপুর ইউনিয়নে চৌকিদার খাল বাজার তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানাযায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ৩০ জানুয়ারি মামলার বাদী ইব্রাহীম আহাম্মদপুর ইউনিয়নের চকিদার খাল বাজার এলাকায় গেলে পূর্ব থেকে ওতপেতে থাকা আসামি সারোয়ার ও খোকন মাঝির নেতৃত্বে ১২/১৩ জনের একটি চক্র হত্যার উদ্দেশ্যে তার ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করেন। এ ঘটনায় দুলারহাট থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ অভিযুক্তদের সঙ্গে আতাঁত করে মামলা নেয়নি। পরে তিনি নিরুপায় হয়ে গত ১ জুন বাদী হয়ে ১৩ জনসহ অজ্ঞাত নামা আসামি করে চরফ্যাশন বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলার দায়ের করেন। অন্যদিকে আসামি মো. শাহে আলম বাবুল ও খোকান মাঝি আহাম্মদপুর ইউনিয়নের চকিদারের খাল বাজারে মৎস্য ব্যবসায়ী ইউসুফ বেপারীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। পরে গত ১ এপ্রিল আসামিরা তার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা চাঁদা হাতিয়ে নেন। বাকি টাকার জন্য প্রায় সময় হুমকি- ধামকি দিয়ে আসছিলেন। তিনি তাদের দাবিকৃত চাঁদার বাকি ৭ লাখ টাকা দিতে অস্বীকার করলে গত ২৪ মে শাহে আলম বাবুল ও খোকনের নেতৃত্বে ওই বাজারে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করে গুরুতর জখম করেন। পরে তিনি বাদী হয়ে গত ২৯ মে শাহে আলম বাবুল ও খোকনসহ ১৩ জনকে আসামি করে চরফ্যাশন বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞ আদালত ওই দু’টি মামলা রেকর্ডভুক্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দুলারহাট থানা পলিশকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে দুলারহাট থানা পুলিশ পৃথক মামলা দু’টি রেকর্ডভুক্ত করলেও আসামিদের গ্রেপ্তারে গড়ি-মসি করেন। পরে উভয় মামলার বাদী থেকে অনৈতিক লেনদেন নিয়ে দুই মামলার আসামি খোকন মাঝিকে গতকাল রোববার রাতে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন দুলারহাট থানা পুলিশ। কিন্তু দুলারহাট থানার ওসি আসামিদের সঙ্গে আতাঁত করে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামি খোকন মাঝিকে অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে তাকে রাতভর থানায় আটক রেখে সকালে ছেড়ে দেন।
মামলার বাদী ইউসুফ ও ইব্রাহীম অভিযোগ করেন, আসামিদের সঙ্গে থানার পুলিশের গোপন সখ্যতা থাকার কারণে দুলারহাট থানায় তারা মামলা দায়ের করতে গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। পরে তারা আসামি খোকন মাঝিসহ ১৩ জনকে আসামি করে চাঁদাবাজি ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে চরফ্যাশন বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অনিহা দেখালেও তাদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে মামলার ১৮ দিন পর দুই মামলার অন্যতম আসামি খোকন মাঝিকে গ্রেপ্তার করেন দুলারহাট থানা পুলিশ। পরে রাতভর থানায় হেফাজতে রেখে আসামির পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে মামলার বাদীদের অগোচরে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে অসুস্থ দেখিয়ে থানা থেকে মুক্তি দেন ওসি। এনিয়ে জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। থানা থেকে বেড়িয়ে আসামি খোকনের অব্যহত হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় পরেছেন তারা।
দুলারহাট থানার ওসি আরিফ ইফতেখার জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামি খোকন পুলিশ হেফাজতে অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তাকে মুচলেকায় মুক্তি দেয়া হয়েছে। সুস্থ হলে তিনি সেচ্ছায় আত্মসর্মপণ করবেন। দুই মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেয়া যায় কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তিনি।
ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক জানান, গ্রেপ্তারের পর একজন ওসি আসামিকে মুচলেকায় মুক্তি দিতে পারেন। তবে কী কারণে ওই আসামিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে তা জানতে হবে।
চরফ্যাশন কোটের অ্যাডিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট মো. হযরত আলী হিরন জানান, রেকর্ডভুক্ত মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের পর থানা হেফাজত থেকে ছেড়ে দেয়ার কোনো বৈধতা পুলিশের নেই। এটা এখতিয়ারের বাহিরে। গ্রেপ্তারের পর থাকে হাজতে প্রেরণ করতে হবে। পুলিশ ছেড়ে দিতে পারে না।
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
ভোলার চরফ্যাশনের দুলারহাটে হত্যা চেষ্টা ও চাঁদাবাজিসহ পৃথক দুই মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আসামিদের সঙ্গে আতাঁত করে পক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে দুলারহাট থানার ওসির বিরুদ্ধে। তবে ওসির দাবি, আসামি বয়স্ক ও অসুস্থ হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আদালতে না পাঠিয়ে আসামিকে ছেড়ে দেয়ার বৈধতা আছে কিনা এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেননি ওসি। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে ছেড়ে দেয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে বাদী ও স্বাক্ষীদের পরিবারের মধ্যে। থানা থেকে মুক্তি পেয়ে মামলা তুলে নিতে আসামিদের অব্যহত হুমকি-ধামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে মামলার বাদীসহ তার পরিবারের সদস্যরা।
গতকাল রোববার রাতে পৃথক দুই মামলার আসামি খোকন মাঝিকে উপজেলার দুলারহাট থানার আহাম্মদপুর ইউনিয়নে চৌকিদার খাল বাজার তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানাযায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ৩০ জানুয়ারি মামলার বাদী ইব্রাহীম আহাম্মদপুর ইউনিয়নের চকিদার খাল বাজার এলাকায় গেলে পূর্ব থেকে ওতপেতে থাকা আসামি সারোয়ার ও খোকন মাঝির নেতৃত্বে ১২/১৩ জনের একটি চক্র হত্যার উদ্দেশ্যে তার ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করেন। এ ঘটনায় দুলারহাট থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ অভিযুক্তদের সঙ্গে আতাঁত করে মামলা নেয়নি। পরে তিনি নিরুপায় হয়ে গত ১ জুন বাদী হয়ে ১৩ জনসহ অজ্ঞাত নামা আসামি করে চরফ্যাশন বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলার দায়ের করেন। অন্যদিকে আসামি মো. শাহে আলম বাবুল ও খোকান মাঝি আহাম্মদপুর ইউনিয়নের চকিদারের খাল বাজারে মৎস্য ব্যবসায়ী ইউসুফ বেপারীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। পরে গত ১ এপ্রিল আসামিরা তার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা চাঁদা হাতিয়ে নেন। বাকি টাকার জন্য প্রায় সময় হুমকি- ধামকি দিয়ে আসছিলেন। তিনি তাদের দাবিকৃত চাঁদার বাকি ৭ লাখ টাকা দিতে অস্বীকার করলে গত ২৪ মে শাহে আলম বাবুল ও খোকনের নেতৃত্বে ওই বাজারে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করে গুরুতর জখম করেন। পরে তিনি বাদী হয়ে গত ২৯ মে শাহে আলম বাবুল ও খোকনসহ ১৩ জনকে আসামি করে চরফ্যাশন বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞ আদালত ওই দু’টি মামলা রেকর্ডভুক্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দুলারহাট থানা পলিশকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে দুলারহাট থানা পুলিশ পৃথক মামলা দু’টি রেকর্ডভুক্ত করলেও আসামিদের গ্রেপ্তারে গড়ি-মসি করেন। পরে উভয় মামলার বাদী থেকে অনৈতিক লেনদেন নিয়ে দুই মামলার আসামি খোকন মাঝিকে গতকাল রোববার রাতে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন দুলারহাট থানা পুলিশ। কিন্তু দুলারহাট থানার ওসি আসামিদের সঙ্গে আতাঁত করে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামি খোকন মাঝিকে অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে তাকে রাতভর থানায় আটক রেখে সকালে ছেড়ে দেন।
মামলার বাদী ইউসুফ ও ইব্রাহীম অভিযোগ করেন, আসামিদের সঙ্গে থানার পুলিশের গোপন সখ্যতা থাকার কারণে দুলারহাট থানায় তারা মামলা দায়ের করতে গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। পরে তারা আসামি খোকন মাঝিসহ ১৩ জনকে আসামি করে চাঁদাবাজি ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে চরফ্যাশন বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অনিহা দেখালেও তাদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে মামলার ১৮ দিন পর দুই মামলার অন্যতম আসামি খোকন মাঝিকে গ্রেপ্তার করেন দুলারহাট থানা পুলিশ। পরে রাতভর থানায় হেফাজতে রেখে আসামির পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে মামলার বাদীদের অগোচরে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে অসুস্থ দেখিয়ে থানা থেকে মুক্তি দেন ওসি। এনিয়ে জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। থানা থেকে বেড়িয়ে আসামি খোকনের অব্যহত হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় পরেছেন তারা।
দুলারহাট থানার ওসি আরিফ ইফতেখার জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামি খোকন পুলিশ হেফাজতে অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তাকে মুচলেকায় মুক্তি দেয়া হয়েছে। সুস্থ হলে তিনি সেচ্ছায় আত্মসর্মপণ করবেন। দুই মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেয়া যায় কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তিনি।
ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক জানান, গ্রেপ্তারের পর একজন ওসি আসামিকে মুচলেকায় মুক্তি দিতে পারেন। তবে কী কারণে ওই আসামিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে তা জানতে হবে।
চরফ্যাশন কোটের অ্যাডিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট মো. হযরত আলী হিরন জানান, রেকর্ডভুক্ত মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের পর থানা হেফাজত থেকে ছেড়ে দেয়ার কোনো বৈধতা পুলিশের নেই। এটা এখতিয়ারের বাহিরে। গ্রেপ্তারের পর থাকে হাজতে প্রেরণ করতে হবে। পুলিশ ছেড়ে দিতে পারে না।