ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে বুধবার আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির দোয়েল হলে এ আলোচনা শুরু হবে। মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছিল কমিশন। মতৈক্য না হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার থেকে ৩০টি দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করে ঐকমত্য কমিশন। গত রোববারও দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের আলোচনা হয়। ওই দিনের আলোচনায় কমিশনের সভাপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত ছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির প্রশ্নে মতৈক্য হয়নি।
এর আগে দুই পর্বে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা হয়েছে। সেখানে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়। এগুলো নিয়ে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ। এ সনদের খসড়া ইতিমধ্যে চূড়ান্ত করেছে কমিশন।
গত জুলাই মাসে এ সনদ সই করার লক্ষ্য ছিল। তবে বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় সনদ আটকে আছে। অবশ্য বাস্তবায়নের পদ্ধতি জুলাই সনদের অংশ হবে না। এ বিষয়ে সরকারকে আলাদা সুপারিশ দেবে ঐকমত্য কমিশন।
বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে ইতোমধ্যে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক একাধিক বৈঠক করেছে ঐকমত্য কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে। এ বিষয়ে দলগুলোর কাছ থেকে লিখিত মতামতও নেয়া হয়েছে।
সংবিধানসংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো আগামী জাতীয় সংসদ গঠনের দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়নের পক্ষে বিএনপি। জামায়াতে ইসলামী সাংবিধানিক আদেশ বা গণভোটের মাধ্যমে আর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন চায়। এর বাইরে বেশ কিছু দল সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের রেফারেন্স নিয়ে সনদ বাস্তবায়নের পক্ষে।
বিএনপি বলেছে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতেই হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হলে জাতীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী বলেছে, তারাও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায়। তবে জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন হলে সেটা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে। এনসিপি বলেছে, সংস্কার টেকসই করতে হলে দরকার গণপরিষদ নির্বাচন।
দলগুলোর এ মতভিন্নতার মধ্যে গত রোববার বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে। সেটি হবে মহোৎসবের নির্বাচন, যদি আমরা ঐকমত্যের মাধ্যমে ফয়সালা করতে পারি। এই নির্বাচন শুধু নির্বাচন নয়, এটি হবে জাতির নবজন্ম।’
গতকাল সোমবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আরেক দফায় বাড়ানো হচ্ছে। এর ফলে আগামী অক্টোবরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত কমিশনের মেয়াদ থাকছে।
ছয়টি সংস্কার কমিশনের সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই পর্বের আলোচনায় ইতোমধ্যে ৮৪টি বিষয়ে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলো নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ। সনদের চূড়ান্ত খসড়া ইতোমধ্যে দলগুলোকে দেয়া হয়েছে। বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে মতভিন্নতার কারণে সনদ আটকে আছে। অবশ্য বাস্তবায়নের পদ্ধতি সনদের অংশ হবে না। এ বিষয়ে সরকারকে একটি সুপারিশ দেবে ঐকমত্য কমিশন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে বুধবার আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির দোয়েল হলে এ আলোচনা শুরু হবে। মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছিল কমিশন। মতৈক্য না হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার থেকে ৩০টি দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করে ঐকমত্য কমিশন। গত রোববারও দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের আলোচনা হয়। ওই দিনের আলোচনায় কমিশনের সভাপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত ছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির প্রশ্নে মতৈক্য হয়নি।
এর আগে দুই পর্বে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা হয়েছে। সেখানে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়। এগুলো নিয়ে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ। এ সনদের খসড়া ইতিমধ্যে চূড়ান্ত করেছে কমিশন।
গত জুলাই মাসে এ সনদ সই করার লক্ষ্য ছিল। তবে বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় সনদ আটকে আছে। অবশ্য বাস্তবায়নের পদ্ধতি জুলাই সনদের অংশ হবে না। এ বিষয়ে সরকারকে আলাদা সুপারিশ দেবে ঐকমত্য কমিশন।
বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে ইতোমধ্যে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক একাধিক বৈঠক করেছে ঐকমত্য কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে। এ বিষয়ে দলগুলোর কাছ থেকে লিখিত মতামতও নেয়া হয়েছে।
সংবিধানসংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো আগামী জাতীয় সংসদ গঠনের দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়নের পক্ষে বিএনপি। জামায়াতে ইসলামী সাংবিধানিক আদেশ বা গণভোটের মাধ্যমে আর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন চায়। এর বাইরে বেশ কিছু দল সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের রেফারেন্স নিয়ে সনদ বাস্তবায়নের পক্ষে।
বিএনপি বলেছে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতেই হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হলে জাতীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী বলেছে, তারাও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায়। তবে জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন হলে সেটা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে। এনসিপি বলেছে, সংস্কার টেকসই করতে হলে দরকার গণপরিষদ নির্বাচন।
দলগুলোর এ মতভিন্নতার মধ্যে গত রোববার বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে। সেটি হবে মহোৎসবের নির্বাচন, যদি আমরা ঐকমত্যের মাধ্যমে ফয়সালা করতে পারি। এই নির্বাচন শুধু নির্বাচন নয়, এটি হবে জাতির নবজন্ম।’
গতকাল সোমবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আরেক দফায় বাড়ানো হচ্ছে। এর ফলে আগামী অক্টোবরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত কমিশনের মেয়াদ থাকছে।
ছয়টি সংস্কার কমিশনের সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই পর্বের আলোচনায় ইতোমধ্যে ৮৪টি বিষয়ে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলো নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ। সনদের চূড়ান্ত খসড়া ইতোমধ্যে দলগুলোকে দেয়া হয়েছে। বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে মতভিন্নতার কারণে সনদ আটকে আছে। অবশ্য বাস্তবায়নের পদ্ধতি সনদের অংশ হবে না। এ বিষয়ে সরকারকে একটি সুপারিশ দেবে ঐকমত্য কমিশন।