আমার সাক্ষ্যের পরই এ মামলা রায়ের দিকে যাবে: নাহিদ ইসলাম
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বুধবার এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্য নেয়ার কথা।
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দী দিতে ট্রাইব্যুনালে হাজির হন তিনি।
কিন্তু এর আগে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়া আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের জেরা শেষ না হওয়ায় মঙ্গলবার নাহিদের সাক্ষ্য নেয়া হয়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজি মনোয়ার হোসেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেখ হাসিনার পতনে এক দফার ঘোষণা দেন তিনি। এরপর ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা।
এর আগে শেখ হাসিনাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলায় ১৭তম দিনের মতো রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে চলছে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের ৪৬তম সাক্ষী হিসেবে এই মামলায় দ্বিতীয় দিনের জবানবন্দী শেষে মাহমুদুর রহমানকে জেরা করা শুরু হয়।
সাক্ষ্যগ্রহণের নির্ধারিত দিনে পুলিশের সাবেক আইজিপি ও রাজসাক্ষী চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।
এর আগে গতকাল সোমবার ট্রাইব্যুনাল-১-এ প্রথম দিনের মতো জবানবন্দী দেন মামহমুদুর রহমান। মঙ্গলবার দিলেন অবশিষ্ট জবানবন্দী। এরপর জেরা শুরু করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শেখ হাসিনার এই মামলায় তিনিই হয়তো শেষ সাক্ষী। তার সাক্ষ্য নেয়ার পরই এ মামলা রায়ের দিকে যাবে। তবে শুধু এই একটি মামলাই নয়, এই মামলায় রাজনৈতিকভাবে হয়তো তারা ন্যায় বিচার পাবেন। কিন্তু সারাদেশেই গণহত্যা এবং নির্যাতন-নিপীড়ন, গ্রেপ্তার সংঘটিত হয়েছিল, সে সবের জন্য আরও অনেক মামলা রয়েছে। ফলে এই বিচার প্রক্রিয়া একটা দীর্ঘ সময় ধরে চলবে।’
গত বুধবার ১৫তম দিনে মামলায় সাক্ষ্য দেয়ার কথা ছিল মাহমুদুর রহমান ও এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের। কিন্তু ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণে তারা সেদিন উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।
এর আগে, গত মঙ্গলবার ১৪তম দিনে ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের ৪৫তম সাক্ষী হিসেবে সিআইডি ঢাকার ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবে কর্মরত সাব ইন্সপেক্টর মো. শাহেদ জোবায়ের লরেন্স তার জবানবন্দী পেশ করেন।
গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ১৩তম দিনে তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তারও আগে গত ২ সেপ্টেম্বর ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন এ মামলার আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তার জেরা শেষ হয় ৪ সেপ্টেম্বর।
আমার সাক্ষ্যের পরই এ মামলা রায়ের দিকে যাবে: নাহিদ ইসলাম
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বুধবার এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্য নেয়ার কথা।
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দী দিতে ট্রাইব্যুনালে হাজির হন তিনি।
কিন্তু এর আগে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়া আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের জেরা শেষ না হওয়ায় মঙ্গলবার নাহিদের সাক্ষ্য নেয়া হয়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজি মনোয়ার হোসেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেখ হাসিনার পতনে এক দফার ঘোষণা দেন তিনি। এরপর ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা।
এর আগে শেখ হাসিনাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলায় ১৭তম দিনের মতো রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে চলছে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের ৪৬তম সাক্ষী হিসেবে এই মামলায় দ্বিতীয় দিনের জবানবন্দী শেষে মাহমুদুর রহমানকে জেরা করা শুরু হয়।
সাক্ষ্যগ্রহণের নির্ধারিত দিনে পুলিশের সাবেক আইজিপি ও রাজসাক্ষী চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।
এর আগে গতকাল সোমবার ট্রাইব্যুনাল-১-এ প্রথম দিনের মতো জবানবন্দী দেন মামহমুদুর রহমান। মঙ্গলবার দিলেন অবশিষ্ট জবানবন্দী। এরপর জেরা শুরু করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শেখ হাসিনার এই মামলায় তিনিই হয়তো শেষ সাক্ষী। তার সাক্ষ্য নেয়ার পরই এ মামলা রায়ের দিকে যাবে। তবে শুধু এই একটি মামলাই নয়, এই মামলায় রাজনৈতিকভাবে হয়তো তারা ন্যায় বিচার পাবেন। কিন্তু সারাদেশেই গণহত্যা এবং নির্যাতন-নিপীড়ন, গ্রেপ্তার সংঘটিত হয়েছিল, সে সবের জন্য আরও অনেক মামলা রয়েছে। ফলে এই বিচার প্রক্রিয়া একটা দীর্ঘ সময় ধরে চলবে।’
গত বুধবার ১৫তম দিনে মামলায় সাক্ষ্য দেয়ার কথা ছিল মাহমুদুর রহমান ও এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের। কিন্তু ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণে তারা সেদিন উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।
এর আগে, গত মঙ্গলবার ১৪তম দিনে ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের ৪৫তম সাক্ষী হিসেবে সিআইডি ঢাকার ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবে কর্মরত সাব ইন্সপেক্টর মো. শাহেদ জোবায়ের লরেন্স তার জবানবন্দী পেশ করেন।
গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ১৩তম দিনে তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তারও আগে গত ২ সেপ্টেম্বর ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন এ মামলার আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তার জেরা শেষ হয় ৪ সেপ্টেম্বর।