জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে রোববার রাতে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তার সফরসঙ্গী হচ্ছেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির চার শীর্ষস্থানীয় নেতা।
প্রধান দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে নিয়ে সরকারপ্রধানের জাতিসংঘ অধিবেশনে যাওয়ার এমন উদ্যোগ বাংলাদেশে নজিরবিহীন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বুধবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার নিউ ইয়র্ক সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর রাতে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ২২ সেপ্টেম্বর তিনি নিউইয়র্ক পৌঁছাবেন। সফর শেষে আগামী ২ অক্টোবর তার দেশে ফিরে আসার কথা।
এ সফরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী হচ্ছেন।
এ বছর ৮০ বছর পূর্ণ করছে জাতিসংঘ। এবারের সাধারণ অধিবেশনের প্রতিপাদ্য: ‘বেটার টুগেদার: এইট্টি ইয়ারস অ্যান্ড মোর ফর পিস, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ বছরের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এবার ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতির সভাপতিত্বে রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সভা হবে।
“রোহিঙ্গা সঙ্কটকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এমন একটি উচ্চ-পর্যায়ের সভার আয়োজন এবারই প্রথম।”
এছাড়া এ বছর বিশ্ব যুব কর্মসূচির ৩০ বছর পূর্তি এবং নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক ঐতিহাসিক রেজ্যুলেশনের ২৫ বছর পূর্তি হচ্ছে।
বিশ্ব যুব কর্মসূচির ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এবারের অধিবেশনে ২৫ সেপ্টেম্বর একটি উচ্চ পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সভায় প্রধান উপদেষ্টা অংশগ্রহণ নেবেন। ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ আলোচনায় বক্তব্য দেবেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “তিনি তার বক্তব্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রেক্ষিতে বিগত এক বছরে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সংস্কার ও আগামী দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
“পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ অবস্থান, বিশ্বব্যাপী সংঘাত, রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিকূলতা, উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে সম্পদ পাচার প্রতিরোধ, নিরাপদ অভিবাসন, অভিবাসীদের মৌলিক পরিষেবা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা, জেনারেটিভ কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রযুক্তির টেকসই হস্তান্তর, এবং সর্বোপরি ফিলিস্তিন ও ইসরাইল-এর যুদ্ধ বিরতি ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়াসের বিষয়গুলো তার বক্তব্যে উঠে আসবে।”
অধিবেশনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গেও একটি বৈঠকে অংশ নেবেন ইউনূস।
বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে রোববার রাতে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তার সফরসঙ্গী হচ্ছেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির চার শীর্ষস্থানীয় নেতা।
প্রধান দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে নিয়ে সরকারপ্রধানের জাতিসংঘ অধিবেশনে যাওয়ার এমন উদ্যোগ বাংলাদেশে নজিরবিহীন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বুধবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার নিউ ইয়র্ক সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর রাতে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ২২ সেপ্টেম্বর তিনি নিউইয়র্ক পৌঁছাবেন। সফর শেষে আগামী ২ অক্টোবর তার দেশে ফিরে আসার কথা।
এ সফরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী হচ্ছেন।
এ বছর ৮০ বছর পূর্ণ করছে জাতিসংঘ। এবারের সাধারণ অধিবেশনের প্রতিপাদ্য: ‘বেটার টুগেদার: এইট্টি ইয়ারস অ্যান্ড মোর ফর পিস, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ বছরের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এবার ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতির সভাপতিত্বে রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সভা হবে।
“রোহিঙ্গা সঙ্কটকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এমন একটি উচ্চ-পর্যায়ের সভার আয়োজন এবারই প্রথম।”
এছাড়া এ বছর বিশ্ব যুব কর্মসূচির ৩০ বছর পূর্তি এবং নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক ঐতিহাসিক রেজ্যুলেশনের ২৫ বছর পূর্তি হচ্ছে।
বিশ্ব যুব কর্মসূচির ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এবারের অধিবেশনে ২৫ সেপ্টেম্বর একটি উচ্চ পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সভায় প্রধান উপদেষ্টা অংশগ্রহণ নেবেন। ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ আলোচনায় বক্তব্য দেবেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “তিনি তার বক্তব্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রেক্ষিতে বিগত এক বছরে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সংস্কার ও আগামী দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
“পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ অবস্থান, বিশ্বব্যাপী সংঘাত, রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিকূলতা, উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে সম্পদ পাচার প্রতিরোধ, নিরাপদ অভিবাসন, অভিবাসীদের মৌলিক পরিষেবা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা, জেনারেটিভ কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রযুক্তির টেকসই হস্তান্তর, এবং সর্বোপরি ফিলিস্তিন ও ইসরাইল-এর যুদ্ধ বিরতি ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়াসের বিষয়গুলো তার বক্তব্যে উঠে আসবে।”
অধিবেশনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গেও একটি বৈঠকে অংশ নেবেন ইউনূস।