সাইবার নিরাপত্তা খাতের দেশী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক তৈরি করতে ঢাকায় শুরু হয়েছে ‘ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড সেইফটি এক্সপো ২০২৫’। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তিন দিনব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি এক্সপো-২০২৫’ প্রদর্শনী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
এক রেকর্ডেড ভিডিও বার্তায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ইলেকট্রনিক ও সাইবার সুরক্ষার ওপর দেশের অর্থনীতি ও জাতীয় সুরক্ষা নির্ভর করে।
তিনি বলেন, ‘গত মে মাসে আমরা ডেটা প্রাইভেসি সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছি। এর অধীনে সকলের নিরাপত্তা অক্ষুন্ন থাকবে। এটি একটি বড় খাত, তাই এ জন্য এই খাতে বিনিয়োগে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ কে এম আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে এটিএম, আরএফআইডি ট্যাগ এবং সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। সরকার হাইটেক পার্কে বিনিয়োগকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। দেশি ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের আকর্ষণ করতে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এসব পার্কে আধুনিক সুবিধা যেমন উচ্চগতির ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকায় নিরাপত্তা সরঞ্জাম ইনস্টলেশনের জন্য এটি আদর্শ জায়গা হয়ে উঠেছে।’
তিনি বিদেশি নিরাপত্তা ও সুরক্ষা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) মহাসচিব মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এই এক্সপোর মাধ্যমে সরকার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং প্রযুক্তি খাতের অংশীজনদের এক প্লাটফর্মে এনে নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্ভাবন, বাস্তবভিত্তিক সমাধান এবং জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ তৈরি করেছে। এই অভিজ্ঞতা আমাদের ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’
আয়োজক প্রতিষ্ঠান আই-স্টেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মধু সুদন সাহা বলেন, ‘প্রযুক্তি নির্ভর এই যুগে নিরাপত্তা প্রযুক্তিও দ্রুত রূপান্তর ঘটাচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে ব্যবসা, শিল্প ও ব্যক্তিগত জীবনে। বাংলাদেশে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা খাতের স্থানীয় প্রস্তুতকারক, আমদানিকারক, সরবরাহকারী ও সাইবার নিরাপত্তা উদ্যোক্তাদের জন্য বৈশ্বিক প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হওয়া এখন সময়ের দাবি। এই এক্সপো সেই প্রয়োজন পূরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে, যা দেশের নিরাপত্তা খাতকে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত করতে সহায়তা করবে।’
আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সহ-সভাপতি ওয়াহিদুল হাসান দিপু। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওশি ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সাকি রেজওয়ানা, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
প্রদর্শনীটি যৌথভাবে আয়োজন করছে দেশের প্রযুক্তিপণ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান আই-স্টেশন লিমিটেড, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) ও দুবাইয়ের প্রযুক্তি কোম্পানি জিপিই এক্সপো (এফজেডই)। প্রদর্শনী চলবে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সাইবার নিরাপত্তা খাতের দেশী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক তৈরি করতে ঢাকায় শুরু হয়েছে ‘ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড সেইফটি এক্সপো ২০২৫’। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তিন দিনব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি এক্সপো-২০২৫’ প্রদর্শনী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
এক রেকর্ডেড ভিডিও বার্তায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ইলেকট্রনিক ও সাইবার সুরক্ষার ওপর দেশের অর্থনীতি ও জাতীয় সুরক্ষা নির্ভর করে।
তিনি বলেন, ‘গত মে মাসে আমরা ডেটা প্রাইভেসি সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছি। এর অধীনে সকলের নিরাপত্তা অক্ষুন্ন থাকবে। এটি একটি বড় খাত, তাই এ জন্য এই খাতে বিনিয়োগে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ কে এম আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে এটিএম, আরএফআইডি ট্যাগ এবং সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। সরকার হাইটেক পার্কে বিনিয়োগকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। দেশি ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের আকর্ষণ করতে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এসব পার্কে আধুনিক সুবিধা যেমন উচ্চগতির ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকায় নিরাপত্তা সরঞ্জাম ইনস্টলেশনের জন্য এটি আদর্শ জায়গা হয়ে উঠেছে।’
তিনি বিদেশি নিরাপত্তা ও সুরক্ষা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) মহাসচিব মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এই এক্সপোর মাধ্যমে সরকার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং প্রযুক্তি খাতের অংশীজনদের এক প্লাটফর্মে এনে নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্ভাবন, বাস্তবভিত্তিক সমাধান এবং জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ তৈরি করেছে। এই অভিজ্ঞতা আমাদের ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’
আয়োজক প্রতিষ্ঠান আই-স্টেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মধু সুদন সাহা বলেন, ‘প্রযুক্তি নির্ভর এই যুগে নিরাপত্তা প্রযুক্তিও দ্রুত রূপান্তর ঘটাচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে ব্যবসা, শিল্প ও ব্যক্তিগত জীবনে। বাংলাদেশে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা খাতের স্থানীয় প্রস্তুতকারক, আমদানিকারক, সরবরাহকারী ও সাইবার নিরাপত্তা উদ্যোক্তাদের জন্য বৈশ্বিক প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হওয়া এখন সময়ের দাবি। এই এক্সপো সেই প্রয়োজন পূরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে, যা দেশের নিরাপত্তা খাতকে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত করতে সহায়তা করবে।’
আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সহ-সভাপতি ওয়াহিদুল হাসান দিপু। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওশি ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সাকি রেজওয়ানা, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
প্রদর্শনীটি যৌথভাবে আয়োজন করছে দেশের প্রযুক্তিপণ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান আই-স্টেশন লিমিটেড, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) ও দুবাইয়ের প্রযুক্তি কোম্পানি জিপিই এক্সপো (এফজেডই)। প্রদর্শনী চলবে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।