জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার রামপুরায় ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকা এক তরুণকে গুলি করা এবং একই দিনে আরও দুজনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পাঁচ আসামির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ বৃহস্পতিবার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর নির্দেশ দেন। প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ১৬ অক্টোবর দিন ঠিক করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন– ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির খিলগাঁও জোনের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমান, সাবেক এসআই তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকার। এদের মধ্যে কেবল চঞ্চল চন্দ্র সরকারই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছে, বাকিরা পলাতক।
চঞ্চল চন্দ্র সরকারের পক্ষে আইনজীবী সারওয়ার জাহান নিপ্পন এবং পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন অব্যাহতির আবেদন করেছিলেন। ট্রাইব্যুনাল তা নাকচ করে দিয়ে আসামিদের সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
গত ৩১ জুলাই ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলির কার্যালয়ে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৯ জুলাই বিকালে রামপুরায় হোটেলে কাজ শেষে ঢাকায় থাকা ফুফুর বাসায় ফিরছিলেন আমির হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। বনশ্রী-মেরাদিয়া সড়কের দুই পাশে পুলিশ-বিজিবির গাড়ি দেখে ভয়ে পাশে থাকা একটি নির্মাণাধীন চারতলা ভবনের ছাদে ওঠেন তিনি।
পরে পুলিশও তার পিছু পিছু যায়। এক পর্যায়ে জীবন বাঁচাতে ওই নির্মাণাধীন ভবনটির ছাদের কার্নিশের রড ধরে ঝুলে থাকেন আমির। পুলিশ তাকে দেখে ফেলে, এরপর তার ওপর গুলি ছোড়া হয়। এতে তিন তলায় পড়ে গেলে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করেন।
পরে তাকে বনশ্রীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওইদিন রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর ভুক্তভোগী এই তরুণ বাড়ি ফিরে যান।
রামপুরায় একই দিনে ঘটনাস্থলের সামনে আরও দুজনকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগও আনা হয়েছে এই মামলায়।
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার রামপুরায় ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকা এক তরুণকে গুলি করা এবং একই দিনে আরও দুজনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পাঁচ আসামির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ বৃহস্পতিবার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর নির্দেশ দেন। প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ১৬ অক্টোবর দিন ঠিক করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন– ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির খিলগাঁও জোনের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমান, সাবেক এসআই তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকার। এদের মধ্যে কেবল চঞ্চল চন্দ্র সরকারই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছে, বাকিরা পলাতক।
চঞ্চল চন্দ্র সরকারের পক্ষে আইনজীবী সারওয়ার জাহান নিপ্পন এবং পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন অব্যাহতির আবেদন করেছিলেন। ট্রাইব্যুনাল তা নাকচ করে দিয়ে আসামিদের সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
গত ৩১ জুলাই ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলির কার্যালয়ে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৯ জুলাই বিকালে রামপুরায় হোটেলে কাজ শেষে ঢাকায় থাকা ফুফুর বাসায় ফিরছিলেন আমির হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। বনশ্রী-মেরাদিয়া সড়কের দুই পাশে পুলিশ-বিজিবির গাড়ি দেখে ভয়ে পাশে থাকা একটি নির্মাণাধীন চারতলা ভবনের ছাদে ওঠেন তিনি।
পরে পুলিশও তার পিছু পিছু যায়। এক পর্যায়ে জীবন বাঁচাতে ওই নির্মাণাধীন ভবনটির ছাদের কার্নিশের রড ধরে ঝুলে থাকেন আমির। পুলিশ তাকে দেখে ফেলে, এরপর তার ওপর গুলি ছোড়া হয়। এতে তিন তলায় পড়ে গেলে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করেন।
পরে তাকে বনশ্রীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওইদিন রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর ভুক্তভোগী এই তরুণ বাড়ি ফিরে যান।
রামপুরায় একই দিনে ঘটনাস্থলের সামনে আরও দুজনকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগও আনা হয়েছে এই মামলায়।