বিএসএফের গুলিতে কাঁটাতারে ঝুলে মারা যাওয়া সেই ফেলানী খাতুনের ছোট ভাই আরফান হোসেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তে চাকরি পাওয়ায় খুশি পরিবারের লোকজন।
ফেলানীর ভাই আরফান হোসেন উচ্ছ্বসিতস্বরে বললো, বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল দেশের জন্য কাজ করা। ফেলানী হত্যার পর মানুষ যে প্রতিবাদ জানিয়েছিল, তখন থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল বিজিবিতে যোগ দেয়ার। আজ সেই স্বপ্ন পূর্ণ হলো। বিজিবিকে ধন্যবাদ জানাই আমাকে দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ দেয়ার জন্য।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারতের কুচবিহার সীমান্ত দিয়ে কুড়িগ্রাম জেলায় নিজ বাড়িতে প্রবেশের সময় বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের নিথর দেহ দীর্ঘ সাড়ে ৪ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল। তার মর্মস্পর্শী হত্যাকাণ্ড দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। দীর্ঘদিন ধরে ন্যায় বিচারের দাবিতে লড়াই করে আসছে ফেলানীর পরিবার।
এদিকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) আয়োজিত নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার, (১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ আনুষ্ঠানিকভাবে আরফান হোসেনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম, পিএসসি।
ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম বলেন, ভারত থেকে ফেরার পথে আমার নাবালিকা মেয়েকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখে বিএসএফ। সেই দৃশ্য আজও ভুলতে পারিনি। তবে দেশবাসী আর বিজিবি সবসময় আমাদের পাশে ছিল। দোকান ঘর করে দিয়ে সহায়তা করেছে। আজ আমার ছেলে মেধা ও যোগ্যতায় বিজিবিতে সুযোগ পেল। এটা আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, বিজিবি সর্বদা ফেলানীর পরিবারের পাশে রয়েছে। ফেলানীর ছোট ভাই নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আজ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগ দেবে। আমরা বিশ্বাস করি, প্রশিক্ষণ শেষে তিনি একজন দক্ষ সদস্য হিসেবে দেশের সেবায় নিয়োজিত হবেন। তিনি আরও বলেন, ফেলানী হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে বিষয়ে বিজিবি সীমান্তে সর্বদা সতর্ক ও সচেষ্ট রয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিএসএফের গুলিতে কাঁটাতারে ঝুলে মারা যাওয়া সেই ফেলানী খাতুনের ছোট ভাই আরফান হোসেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তে চাকরি পাওয়ায় খুশি পরিবারের লোকজন।
ফেলানীর ভাই আরফান হোসেন উচ্ছ্বসিতস্বরে বললো, বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল দেশের জন্য কাজ করা। ফেলানী হত্যার পর মানুষ যে প্রতিবাদ জানিয়েছিল, তখন থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল বিজিবিতে যোগ দেয়ার। আজ সেই স্বপ্ন পূর্ণ হলো। বিজিবিকে ধন্যবাদ জানাই আমাকে দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ দেয়ার জন্য।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারতের কুচবিহার সীমান্ত দিয়ে কুড়িগ্রাম জেলায় নিজ বাড়িতে প্রবেশের সময় বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের নিথর দেহ দীর্ঘ সাড়ে ৪ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল। তার মর্মস্পর্শী হত্যাকাণ্ড দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। দীর্ঘদিন ধরে ন্যায় বিচারের দাবিতে লড়াই করে আসছে ফেলানীর পরিবার।
এদিকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) আয়োজিত নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার, (১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ আনুষ্ঠানিকভাবে আরফান হোসেনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম, পিএসসি।
ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম বলেন, ভারত থেকে ফেরার পথে আমার নাবালিকা মেয়েকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখে বিএসএফ। সেই দৃশ্য আজও ভুলতে পারিনি। তবে দেশবাসী আর বিজিবি সবসময় আমাদের পাশে ছিল। দোকান ঘর করে দিয়ে সহায়তা করেছে। আজ আমার ছেলে মেধা ও যোগ্যতায় বিজিবিতে সুযোগ পেল। এটা আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, বিজিবি সর্বদা ফেলানীর পরিবারের পাশে রয়েছে। ফেলানীর ছোট ভাই নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আজ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগ দেবে। আমরা বিশ্বাস করি, প্রশিক্ষণ শেষে তিনি একজন দক্ষ সদস্য হিসেবে দেশের সেবায় নিয়োজিত হবেন। তিনি আরও বলেন, ফেলানী হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে বিষয়ে বিজিবি সীমান্তে সর্বদা সতর্ক ও সচেষ্ট রয়েছে।