যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শুরু হয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের উঁচু পর্যায়ের বৈঠক। বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণে সবচেয়ে বড় এ আসরের এবারের অধিবেশনের প্রতিপাদ্য: ‘বেটার টুগেদার: এইটি ইয়ারস এণ্ড মোর ফর পিস, ডেভেলপমেন্ট এণ্ড হিউম্যান রাইটস’।
বিশ্বব্যাপী চলমান অস্থিরতার মধ্যে সংস্থাটির ৮০তম সাধারণ অধিবেশন ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবার বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
ম্যানহাটনে সংস্থাটির সদর দপ্তরে স্থানীয় সময় সকাল দশটায় প্রথম বৈঠক হয় জাতিসংঘের ৮০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী স্মরণে। সোমবার থেকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা উঁচু পর্যায়ের সাধারণ বিতর্কে অংশ নেবেন।
ওইদিন রেওয়াজ অনুযায়ী প্রথম বক্তৃতা করবেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা। প্রথা অনুযায়ী এরপর ভাষণ দেবেন স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
২৬ সেপ্টেম্বর সকালের পর্বে শেষ বক্তা হিসেবে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে।
একইদিন ভাষণ দেবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
আন্তর্জাতিক ভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এবারও অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এবারের অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন না।
অধিবেশনে বৈশ্বিক সংঘাত, বিশেষ করে ইউক্রেন সংকট, মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ, দারিদ্র্য ও বৈষম্য হ্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত নিয়ে বিস্তর আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বৈদেশিক ঋণ সংকট মোকাবিলা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে করণীয় বিষয়েও প্রস্তাবনা উত্থাপনের কথা রয়েছে অধিবেশনে।
বাড়তি নিরাপত্তা
জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয় ও আশপাশের এলাকা কঠোর নিরাপত্তার আওতায় নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বব্যাপী চলমান অস্থিরতার মধ্যে সংস্থাটির ৮০তম সাধারণ অধিবেশন ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবার বাড়তি সতর্ক অবস্থানের কথা নিশ্চিত করেছেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস। তবে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
নিউ ইয়র্ক সিটির ম্যানহাটনে এক ব্রিফিংয়ে মেয়র এরিক অ্যাডামস সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ মুহূর্তে জাতিসংঘের বিরুদ্ধে কোনো হুমকি নেই। তবে বিশ্বব্যাপী উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কারণে আমরা অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। টহলে যুক্ত করা হয়েছে ড্রোন এবং হেলিকপ্টারও।’
একই ব্রিফিংয়ে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ কমিশনার জেসিকা সারাহ টিস সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্ব নেতাদের সুরক্ষা নিশ্চিতে হাজার হাজার পুলিশ ছাড়াও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বিশেষ ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে।’
জেসিকা টিস আরও বলেন, ‘কড়া নজরদারির আওতায় সড়ক-মহাসড়ক, পাতাল রেলপথ, আকাশ ও জলপথসহ সবজায়গা।’
নজর ট্রাম্পের দিকে
জাতিসংঘের এবারের সাধারণ অধিবেশনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতির দিকে নজর বিশ্ববাসীর। কারণ গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ প্রচেষ্টায় আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে আছেন ট্রাম্প।
এদিকে বিশ্বব্যাপী সংকট ও সংঘাতময় পরিস্থিতিতে ট্রাম্প মার্কিন তহবিল কমিয়ে দেয়ায় গাজাসহ সব জায়গার শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছে জাতিসংঘ। ফলে এবারের অধিবেশনেই এ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পেতে চাইছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
গুতেরেসর প্রত্যাশা
জাতিসংঘের মহাসচিব গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের সহায়তায় দুর্দান্ত ভূমিকা পালনকারী ইউএনএইচসিআর (জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা) এখন নাটকীয়ভাবে তহবিলের অভাবে ভুগছে। এটি একটি দুঃখজনক পরিস্থিতি। তাই এবারের অধিবেশনে এর জন্য ব্যাপক প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন।’
রোববারের কার্যতালিকায় স্থান পেয়েছে, ফিলিস্তিন প্রশ্নের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের জন্য উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন।
তবে অধিবেশনে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস উপস্থিত থাকতে পারবেন না। কারণ, এতে যোগদানের জন্য তাকে ও তার কর্মকর্তাদের ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
অধিবেশনের কার্যতালিকা অনুযায়ী, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রয়েছে, মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মুখোমুখি সংকট মোকাবেলায় উচ্চ পর্যায়ের আরেকটি সম্মেলন।
অধিবেশন সভাপতির দায়িত্ব
নিউইয়র্কে গত ৯ সেপ্টেম্বর (স্থানীয় সময়) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন।
এবারের অধিবেশনের নবনির্বাচিত সভাপতি (জার্মানির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী) অ্যানালিনা ব্যারবক এর দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অধিবেশনের কার্যক্রম।
ওইদিন অ্যানালিনা ব্যারবকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
বক্তব্যে তিনি বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেন।
সাইড লাইনের বৈঠকের মাধ্যমে এরই মধ্যে ৮০তম অধিবেশনের যাত্রা শুরু হলেও, সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) প্রায় ১৫০ জন রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানসহ মোট দুইশোরও বেশি দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে শুরু হবে ১৯৩ সদস্যের বিশ্ব সংস্থাটির সাধারণ পরিষদের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র নিয়ে ভোট
এদিকে গত ১২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিপুল ভোটে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব পাস হয়েছে। ১৪২টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে, ১০টি দেশ বিপক্ষে ভোট দিয়েছে এবং ১২টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। প্রস্তাবটি উত্থাপন করে ফ্রান্স ও সৌদি আরব।
‘নিউইয়র্ক ঘোষণা’ নামে পরিচিত এই প্রস্তাবে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রচেষ্টা জোরদার করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে—স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলে সেখানে হামাসের কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না। হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ করে গাজার শাসন থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
রোববার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শুরু হয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের উঁচু পর্যায়ের বৈঠক। বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণে সবচেয়ে বড় এ আসরের এবারের অধিবেশনের প্রতিপাদ্য: ‘বেটার টুগেদার: এইটি ইয়ারস এণ্ড মোর ফর পিস, ডেভেলপমেন্ট এণ্ড হিউম্যান রাইটস’।
বিশ্বব্যাপী চলমান অস্থিরতার মধ্যে সংস্থাটির ৮০তম সাধারণ অধিবেশন ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবার বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
ম্যানহাটনে সংস্থাটির সদর দপ্তরে স্থানীয় সময় সকাল দশটায় প্রথম বৈঠক হয় জাতিসংঘের ৮০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী স্মরণে। সোমবার থেকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা উঁচু পর্যায়ের সাধারণ বিতর্কে অংশ নেবেন।
ওইদিন রেওয়াজ অনুযায়ী প্রথম বক্তৃতা করবেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা। প্রথা অনুযায়ী এরপর ভাষণ দেবেন স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
২৬ সেপ্টেম্বর সকালের পর্বে শেষ বক্তা হিসেবে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে।
একইদিন ভাষণ দেবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
আন্তর্জাতিক ভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এবারও অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এবারের অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন না।
অধিবেশনে বৈশ্বিক সংঘাত, বিশেষ করে ইউক্রেন সংকট, মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ, দারিদ্র্য ও বৈষম্য হ্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত নিয়ে বিস্তর আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বৈদেশিক ঋণ সংকট মোকাবিলা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে করণীয় বিষয়েও প্রস্তাবনা উত্থাপনের কথা রয়েছে অধিবেশনে।
বাড়তি নিরাপত্তা
জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয় ও আশপাশের এলাকা কঠোর নিরাপত্তার আওতায় নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বব্যাপী চলমান অস্থিরতার মধ্যে সংস্থাটির ৮০তম সাধারণ অধিবেশন ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবার বাড়তি সতর্ক অবস্থানের কথা নিশ্চিত করেছেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস। তবে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
নিউ ইয়র্ক সিটির ম্যানহাটনে এক ব্রিফিংয়ে মেয়র এরিক অ্যাডামস সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ মুহূর্তে জাতিসংঘের বিরুদ্ধে কোনো হুমকি নেই। তবে বিশ্বব্যাপী উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কারণে আমরা অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। টহলে যুক্ত করা হয়েছে ড্রোন এবং হেলিকপ্টারও।’
একই ব্রিফিংয়ে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ কমিশনার জেসিকা সারাহ টিস সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্ব নেতাদের সুরক্ষা নিশ্চিতে হাজার হাজার পুলিশ ছাড়াও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বিশেষ ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে।’
জেসিকা টিস আরও বলেন, ‘কড়া নজরদারির আওতায় সড়ক-মহাসড়ক, পাতাল রেলপথ, আকাশ ও জলপথসহ সবজায়গা।’
নজর ট্রাম্পের দিকে
জাতিসংঘের এবারের সাধারণ অধিবেশনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতির দিকে নজর বিশ্ববাসীর। কারণ গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ প্রচেষ্টায় আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে আছেন ট্রাম্প।
এদিকে বিশ্বব্যাপী সংকট ও সংঘাতময় পরিস্থিতিতে ট্রাম্প মার্কিন তহবিল কমিয়ে দেয়ায় গাজাসহ সব জায়গার শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছে জাতিসংঘ। ফলে এবারের অধিবেশনেই এ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পেতে চাইছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
গুতেরেসর প্রত্যাশা
জাতিসংঘের মহাসচিব গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের সহায়তায় দুর্দান্ত ভূমিকা পালনকারী ইউএনএইচসিআর (জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা) এখন নাটকীয়ভাবে তহবিলের অভাবে ভুগছে। এটি একটি দুঃখজনক পরিস্থিতি। তাই এবারের অধিবেশনে এর জন্য ব্যাপক প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন।’
রোববারের কার্যতালিকায় স্থান পেয়েছে, ফিলিস্তিন প্রশ্নের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের জন্য উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন।
তবে অধিবেশনে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস উপস্থিত থাকতে পারবেন না। কারণ, এতে যোগদানের জন্য তাকে ও তার কর্মকর্তাদের ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
অধিবেশনের কার্যতালিকা অনুযায়ী, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রয়েছে, মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মুখোমুখি সংকট মোকাবেলায় উচ্চ পর্যায়ের আরেকটি সম্মেলন।
অধিবেশন সভাপতির দায়িত্ব
নিউইয়র্কে গত ৯ সেপ্টেম্বর (স্থানীয় সময়) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন।
এবারের অধিবেশনের নবনির্বাচিত সভাপতি (জার্মানির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী) অ্যানালিনা ব্যারবক এর দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অধিবেশনের কার্যক্রম।
ওইদিন অ্যানালিনা ব্যারবকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
বক্তব্যে তিনি বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেন।
সাইড লাইনের বৈঠকের মাধ্যমে এরই মধ্যে ৮০তম অধিবেশনের যাত্রা শুরু হলেও, সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) প্রায় ১৫০ জন রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানসহ মোট দুইশোরও বেশি দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে শুরু হবে ১৯৩ সদস্যের বিশ্ব সংস্থাটির সাধারণ পরিষদের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র নিয়ে ভোট
এদিকে গত ১২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিপুল ভোটে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব পাস হয়েছে। ১৪২টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে, ১০টি দেশ বিপক্ষে ভোট দিয়েছে এবং ১২টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। প্রস্তাবটি উত্থাপন করে ফ্রান্স ও সৌদি আরব।
‘নিউইয়র্ক ঘোষণা’ নামে পরিচিত এই প্রস্তাবে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রচেষ্টা জোরদার করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে—স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলে সেখানে হামাসের কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না। হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ করে গাজার শাসন থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।