নয় বছর আগে নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির মামলায় ফিলিপিন্সের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংক (আরসিবিসি) থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার আদালতের মাধ্যমে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে ফেডে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। এর মধ্যে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্সের মাকাতি শহরে আরসিবিসির জুপিটার স্ট্রিট শাখায় খোলা ভুয়া অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়। পরে অর্থের বেশিরভাগ অংশ স্থানীয় মুদ্রা পেসোতে তিনটি ক্যাসিনোর মাধ্যমে বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২০ সালে নিউ ইয়র্কের আদালতে আরসিবিসি ও তার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, চুরি ও অর্থরূপান্তরের পুরো প্রক্রিয়ায় আরসিবিসি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল। আরসিবিসি এবং শীর্ষ কর্মকর্তারা কী ধরনের অপরাধ হচ্ছে জানার পরও অ্যাকাউন্ট খোলা ও অর্থ স্থানান্তর ঘটতে দিয়েছেন।
ফিলিপিন্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আদালতের তদন্তে প্রমাণ পাওয়ার পর আরসিবিসি তাদের শাখা ম্যানেজারকে বরখাস্ত করে এবং ১ কোটি ৯১ লাখ ডলার জরিমানা করে। ২০১৯ সালে শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগিতোকে মুদ্রাপাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
বাংলাদেশেও চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। সিআইডি জানিয়েছে, ৯ বছর পর আদালতের মাধ্যমে আরসিবিসি থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে চুরির পুরো অর্থ উদ্ধার ও দণ্ড কার্যকর করা বিষয়টি এখনও চলমান।
রোববার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নয় বছর আগে নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির মামলায় ফিলিপিন্সের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংক (আরসিবিসি) থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার আদালতের মাধ্যমে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে ফেডে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। এর মধ্যে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্সের মাকাতি শহরে আরসিবিসির জুপিটার স্ট্রিট শাখায় খোলা ভুয়া অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়। পরে অর্থের বেশিরভাগ অংশ স্থানীয় মুদ্রা পেসোতে তিনটি ক্যাসিনোর মাধ্যমে বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২০ সালে নিউ ইয়র্কের আদালতে আরসিবিসি ও তার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, চুরি ও অর্থরূপান্তরের পুরো প্রক্রিয়ায় আরসিবিসি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল। আরসিবিসি এবং শীর্ষ কর্মকর্তারা কী ধরনের অপরাধ হচ্ছে জানার পরও অ্যাকাউন্ট খোলা ও অর্থ স্থানান্তর ঘটতে দিয়েছেন।
ফিলিপিন্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আদালতের তদন্তে প্রমাণ পাওয়ার পর আরসিবিসি তাদের শাখা ম্যানেজারকে বরখাস্ত করে এবং ১ কোটি ৯১ লাখ ডলার জরিমানা করে। ২০১৯ সালে শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগিতোকে মুদ্রাপাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
বাংলাদেশেও চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। সিআইডি জানিয়েছে, ৯ বছর পর আদালতের মাধ্যমে আরসিবিসি থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে চুরির পুরো অর্থ উদ্ধার ও দণ্ড কার্যকর করা বিষয়টি এখনও চলমান।