জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
এবারও প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাষ্ট্র সফর ঘিরে নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভ কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের যেকোনো নেতিবাচক কর্মসূচি রুখে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতাকর্মীরা।
দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির খবরে নিউ ইয়র্ক শহরে বসবাসরত বাংলাদেশীদের মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা এবং অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।
ফ্লোরিডা, ভার্জিনিয়া, মিশিগান, ক্যালিফোর্নিয়াসহ বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিউ ইয়র্ক শহরে জড়ো হতে শুরু করেছেন।
তবে বিশ্বব্যাপী চলমান অস্থিরতার মধ্যে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবার বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয় ও আশপাশের এলাকায় তৈরি করা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বলয়।
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টার সোমবার স্থানীয় সময় দুপুরে নিউ ইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
তার সফর সঙ্গী হিসেবে আছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
এ সফর সামনে রেখে শনিবার নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে ডাইভার্সিটি প্লাজায় সমাবেশ করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিসহ সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সমাবেশে ঘোষণা দেওয়া হয়, সোমবার বিমানবন্দরে বাংলাদেশ থেকে আসা প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানানো হবে।
সমাবেশে বিএনপি নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাট, দলের চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্র সম্পর্কিত কমিটির সদস্য গোলাম ফারুক শাহীন, নিউ ইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা আতিকুর রহমান প্রমুখ। তারা আওয়ামী লীগের সব কর্মসূচি রুখে দেওয়ার সংকল্প ব্যক্ত করেন।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও প্রস্তুতি সভা করেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ইমদাদ চৌধুরী এ কর্মসূচির কথা জানান।
সভা থেকে সিদ্ধান্ত হয়, নিউইয়র্কে বসবাসরত এবং বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ‘যেখানে ইউনূস, সেখানেই প্রতিরোধ’ কর্মসূচি পালন করবেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, প্রধান উপদেষ্টা মুহম্মদ ইউনূস যে হোটেলে অবস্থান করবেন, তার সামনে প্রতিদিন অবস্থান কর্মসূচি ও কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে মুহম্মদ ইউনূসের ভাষণের সময়েও বাইরে কালো পতাকা প্রদর্শন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি রাখা হয়েছে। পরের দিন ম্যানহাটনের টাইমস স্কয়ার সংলগ্ন ম্যারিয়ট মারক্যুস হোটেলে প্রধান উপদেষ্টার মতবিনিময় অনুষ্ঠানের বাইরেও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ।
নিউইয়র্কে গত ৯ সেপ্টেম্বর (স্থানীয় সময়) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন। এবারের অধিবেশনের নবনির্বাচিত সভাপতি (জার্মানির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী) অ্যানালিনা ব্যারবক এর দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অধিবেশনের কার্যক্রম।
ওইদিন অ্যানালিনা ব্যারবকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণে সবচেয়ে বড় এ আসরের এবারের অধিবেশনের প্রতিপাদ্য: ‘বেটার টুগেদার: এইটি ইয়ারস এণ্ড মোর ফর পিস, ডেভেলপমেন্ট এণ্ড হিউম্যান রাইটস’ অর্থাৎ ‘একসাথে ভাল: শান্তি, উন্নয়ন ও মানবাধিকারের জন্য ৮০ বছর এবং তারও পর’।
সাইড লাইনের বৈঠকের মাধ্যমে এরই মধ্যে ৮০তম অধিবেশনের যাত্রা শুরু হলেও, সোমবার ২২ সেপ্টেম্বর উঁচু পর্যায়ের বৈঠকের মধ্য দিয়ে শুরু হবে মূল অনুষ্ঠানিকতা।
সোমবার ম্যানহাটনে সংস্থাটির সদর দপ্তরে স্থানীয় সময় সকাল দশটায় প্রথম বৈঠক হয় জাতিসংঘের ৮০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী স্মরণে।
মঙ্গলবার থেকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা হাই লেভেল জেনারেল ডিবেটে (সাধারণ বিতর্ক) অংশ নেবেন। ওইদিন রেওয়াজ অনুযায়ী প্রথম বক্তৃতা করবেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা। প্রথা অনুযায়ী এরপর ভাষণ দেবেন স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের বিশ্ব সংস্থাটির এবারের সাধারণ অধিবেশনে প্রায় ১৫০ জন রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানসহ মোট দুইশোরও বেশি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ সদর দপ্তর।
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
এবারও প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাষ্ট্র সফর ঘিরে নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভ কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের যেকোনো নেতিবাচক কর্মসূচি রুখে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতাকর্মীরা।
দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির খবরে নিউ ইয়র্ক শহরে বসবাসরত বাংলাদেশীদের মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা এবং অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।
ফ্লোরিডা, ভার্জিনিয়া, মিশিগান, ক্যালিফোর্নিয়াসহ বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিউ ইয়র্ক শহরে জড়ো হতে শুরু করেছেন।
তবে বিশ্বব্যাপী চলমান অস্থিরতার মধ্যে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবার বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয় ও আশপাশের এলাকায় তৈরি করা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বলয়।
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টার সোমবার স্থানীয় সময় দুপুরে নিউ ইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
তার সফর সঙ্গী হিসেবে আছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
এ সফর সামনে রেখে শনিবার নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে ডাইভার্সিটি প্লাজায় সমাবেশ করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিসহ সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সমাবেশে ঘোষণা দেওয়া হয়, সোমবার বিমানবন্দরে বাংলাদেশ থেকে আসা প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানানো হবে।
সমাবেশে বিএনপি নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাট, দলের চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্র সম্পর্কিত কমিটির সদস্য গোলাম ফারুক শাহীন, নিউ ইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা আতিকুর রহমান প্রমুখ। তারা আওয়ামী লীগের সব কর্মসূচি রুখে দেওয়ার সংকল্প ব্যক্ত করেন।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও প্রস্তুতি সভা করেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ইমদাদ চৌধুরী এ কর্মসূচির কথা জানান।
সভা থেকে সিদ্ধান্ত হয়, নিউইয়র্কে বসবাসরত এবং বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ‘যেখানে ইউনূস, সেখানেই প্রতিরোধ’ কর্মসূচি পালন করবেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, প্রধান উপদেষ্টা মুহম্মদ ইউনূস যে হোটেলে অবস্থান করবেন, তার সামনে প্রতিদিন অবস্থান কর্মসূচি ও কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে মুহম্মদ ইউনূসের ভাষণের সময়েও বাইরে কালো পতাকা প্রদর্শন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি রাখা হয়েছে। পরের দিন ম্যানহাটনের টাইমস স্কয়ার সংলগ্ন ম্যারিয়ট মারক্যুস হোটেলে প্রধান উপদেষ্টার মতবিনিময় অনুষ্ঠানের বাইরেও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ।
নিউইয়র্কে গত ৯ সেপ্টেম্বর (স্থানীয় সময়) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন। এবারের অধিবেশনের নবনির্বাচিত সভাপতি (জার্মানির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী) অ্যানালিনা ব্যারবক এর দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অধিবেশনের কার্যক্রম।
ওইদিন অ্যানালিনা ব্যারবকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণে সবচেয়ে বড় এ আসরের এবারের অধিবেশনের প্রতিপাদ্য: ‘বেটার টুগেদার: এইটি ইয়ারস এণ্ড মোর ফর পিস, ডেভেলপমেন্ট এণ্ড হিউম্যান রাইটস’ অর্থাৎ ‘একসাথে ভাল: শান্তি, উন্নয়ন ও মানবাধিকারের জন্য ৮০ বছর এবং তারও পর’।
সাইড লাইনের বৈঠকের মাধ্যমে এরই মধ্যে ৮০তম অধিবেশনের যাত্রা শুরু হলেও, সোমবার ২২ সেপ্টেম্বর উঁচু পর্যায়ের বৈঠকের মধ্য দিয়ে শুরু হবে মূল অনুষ্ঠানিকতা।
সোমবার ম্যানহাটনে সংস্থাটির সদর দপ্তরে স্থানীয় সময় সকাল দশটায় প্রথম বৈঠক হয় জাতিসংঘের ৮০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী স্মরণে।
মঙ্গলবার থেকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা হাই লেভেল জেনারেল ডিবেটে (সাধারণ বিতর্ক) অংশ নেবেন। ওইদিন রেওয়াজ অনুযায়ী প্রথম বক্তৃতা করবেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা। প্রথা অনুযায়ী এরপর ভাষণ দেবেন স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের বিশ্ব সংস্থাটির এবারের সাধারণ অধিবেশনে প্রায় ১৫০ জন রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানসহ মোট দুইশোরও বেশি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ সদর দপ্তর।