এ বছর দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
মৃত রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বেশিরভাগ মৃত্যুর কারণ ছিল ডেঙ্গু শক সিন্ড্রম। দ্বিতীয় প্রধান কারণ ছিল এক্সপান্ডেড ডেঙ্গু সিন্ড্রম। চিকিৎসকদের মতে, গুরুতর রোগীকে হাসপাতালে আনতে দেরি করে ফেলায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু বাড়ছে।
মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে রোববার পর্যন্ত ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৮৩১ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এ বছর ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ১২৪ জনের ‘ডেথ রিভিউ’ (তথ্য পর্যালোচনা) করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মৃতদের অধিকাংশ ৩ থেকে ৬ দিন জ্বরে ভোগার পর হাসপাতালে এসেছেন। ১২৪ জনের মধ্যে ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে ভর্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ জন, ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ৫ জন এবং ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে ভর্তির ৭২ ঘণ্টা পর।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মোট ১৯ জন ছিলেন এই বয়সসীমায়। এছাড়া ১০ বছরের কম বয়সী ১৬ জন, ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৬০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৭০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে এক জন এবং ৮০ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
সব মিলিয়ে এ বছর মারা যাওয়া ১৭৯ জনের মধ্যেও একই ধরনের চিত্র পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ডেঙ্গু বুলেটিন অনুযায়ী, ওই ১৭৯ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৩ জনের বয়স ছিল ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। আক্রান্তের সংখ্যাও এ বয়সসীমায় সর্বোচ্চ।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে ডা. হালিমুর রশিদ বলেন, “বয়স কম হওয়ার কারণে কম বয়সী মানুষ জ্বরকে গুরুত্ব দেয় না। বয়স কম হওয়ায় শুরুতে শরীরও এতটা দুর্বল হয় না। দেরি করে হাসপাতালে যখন আসে, ততক্ষণে তারা শকে চলে যায়। এ কারণে তরুণদের মৃত্যু হার বেশি। এখন চিকিৎসকের কাছে গেলেই রোগীকে এনএসওয়ান পরীক্ষা করাতে বলে। পরীক্ষায় পজিটিভ এলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। এ কারণে আমাদের পরামর্শ জ্বর হলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেথ রিভিউ প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, জেলাভিত্তিক হিসাবে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ১৭ জন এবং বরগুনা জেলায় ১২ জন মারা গেছেন।
হাসপাতালভিত্তিক হিসাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিশ্লেষণ অনুযায়ী, মৃতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি, ৬০ জন। নারী ছিলেন ৫৩ জন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমদ চৌধুরী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. শেখ ছাইদুল হক এবং পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান।
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এ বছর দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
মৃত রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বেশিরভাগ মৃত্যুর কারণ ছিল ডেঙ্গু শক সিন্ড্রম। দ্বিতীয় প্রধান কারণ ছিল এক্সপান্ডেড ডেঙ্গু সিন্ড্রম। চিকিৎসকদের মতে, গুরুতর রোগীকে হাসপাতালে আনতে দেরি করে ফেলায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু বাড়ছে।
মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে রোববার পর্যন্ত ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৮৩১ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এ বছর ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ১২৪ জনের ‘ডেথ রিভিউ’ (তথ্য পর্যালোচনা) করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মৃতদের অধিকাংশ ৩ থেকে ৬ দিন জ্বরে ভোগার পর হাসপাতালে এসেছেন। ১২৪ জনের মধ্যে ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে ভর্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ জন, ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ৫ জন এবং ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে ভর্তির ৭২ ঘণ্টা পর।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মোট ১৯ জন ছিলেন এই বয়সসীমায়। এছাড়া ১০ বছরের কম বয়সী ১৬ জন, ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৬০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৭০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে এক জন এবং ৮০ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
সব মিলিয়ে এ বছর মারা যাওয়া ১৭৯ জনের মধ্যেও একই ধরনের চিত্র পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ডেঙ্গু বুলেটিন অনুযায়ী, ওই ১৭৯ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৩ জনের বয়স ছিল ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। আক্রান্তের সংখ্যাও এ বয়সসীমায় সর্বোচ্চ।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে ডা. হালিমুর রশিদ বলেন, “বয়স কম হওয়ার কারণে কম বয়সী মানুষ জ্বরকে গুরুত্ব দেয় না। বয়স কম হওয়ায় শুরুতে শরীরও এতটা দুর্বল হয় না। দেরি করে হাসপাতালে যখন আসে, ততক্ষণে তারা শকে চলে যায়। এ কারণে তরুণদের মৃত্যু হার বেশি। এখন চিকিৎসকের কাছে গেলেই রোগীকে এনএসওয়ান পরীক্ষা করাতে বলে। পরীক্ষায় পজিটিভ এলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। এ কারণে আমাদের পরামর্শ জ্বর হলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেথ রিভিউ প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, জেলাভিত্তিক হিসাবে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ১৭ জন এবং বরগুনা জেলায় ১২ জন মারা গেছেন।
হাসপাতালভিত্তিক হিসাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিশ্লেষণ অনুযায়ী, মৃতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি, ৬০ জন। নারী ছিলেন ৫৩ জন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমদ চৌধুরী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. শেখ ছাইদুল হক এবং পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান।