ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছর অনুষ্ঠিত হলে ৯৪ দশমিক ৩ শতাংশ উত্তরদাতা ভোট দিতে যাবেন বলে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আর সংসদের উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা নেই ৫৬ শতাংশ উত্তরদাতার।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইনোভিশন কনসাল্টিংয়ের ‘জনগণের নির্বাচন ভাবনা’ নিয়ে দ্বিতীয় দফার প্রথম পর্বের জরিপে এই ফলাফল উঠে এসেছে।
সোমবার, (২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকালে রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন ইনোভেশন কনসাল্টিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সমীক্ষা প্রধান রুবাইয়াৎ সারওয়ার।
চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ২ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত এই জরিপ চালানো হয়। এতে দশ হাজার ৪১৩ জন ভোটার অংশ নেয় বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। সমীক্ষাটি নির্বাচন সময়, নির্বাচনী পরিবেশ, আইন ও শৃঙ্খলা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মক্ষমতাসহ বেশ কয়েকটি মূল ক্ষেত্রে জনগণের ধারণার পরীক্ষা করে।
জরিপে ফলাফলে দেখা গেছে, আগামী ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ উত্তরদাতা। ৬৯ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে। ৭৭ দশমিক ৫ শতাংশ উত্তরদাতা বিশ্বাস করেন, তারা নির্ভয়ে ও নিরাপদে ভোট দিতে পারবেন। তবে ৫৬ শতাংশ উত্তরদাতা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, গত ছয় মাসে দেশে চাঁদাবাজি বেড়েছে।
পিআর পদ্ধতির বিষয়ে প্রবীণ প্রজন্মের তুলনায় নবীন প্রজন্ম অধিক সচেতন উল্লেখ করে জরিপে বলা হয়, এ বিষয়ে তাদের মনোভাব অধিক ইতিবাচক। ভোটের সময় পুলিশ-প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রবীণ প্রজন্মের তুলনায় জেন-জি প্রজন্ম কম ইতিবাচক।
জরিপে বলা হয়, ৭৮ দশমিক ৭ শতাংশ উত্তরদাতা অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকান্ডকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেছেন। তবে স্বল্পশিক্ষিত উত্তরদাতাদের তুলনায় উচ্চশিক্ষিতরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজে কম সন্তুষ্ট। তারা মনে করেন চাঁদাবাজি বেড়েছে। এ ছাড়া তারা পিআর ব্যবস্থা সম্পর্কে বেশি সচেতন ও ইতিবাচক।
সাধারণ উত্তরদাতাদের তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে কম আগ্রহী উল্লেখ করে জরিপে বলা হয়েছে, নির্বাচনের সময় নিয়েও তাদের দ্বিমত বেশি। চাঁদাবাজি বেড়েছে বলে তারা মনে করেন।
জরিপ অনুযায়ী, অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকান্ডকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেছেন ৭৮ দশমিক ৭ শতাংশ উত্তরদাতা। তবে এই সরকারের কার্যক্রম নিয়ে উচ্চশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে ইতিবাচক ধারণার হার কম।
অন্যদিকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলো অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতার বিষয়ে তুলনামূলক কম ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে বলে জরিপে উঠে এসেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাইমুম পারভেজ, বিডিজবস.কম-এর সিইও একেএম ফাহিম মাশরুর, আইনজীবী রুশনা ইমাম, ব্রেইনের নির্বাহী পরিচালক শফিকুর রহমান। (সোমবার, একই শিরোনামে ভুলবশত আরেকটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল।)
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছর অনুষ্ঠিত হলে ৯৪ দশমিক ৩ শতাংশ উত্তরদাতা ভোট দিতে যাবেন বলে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আর সংসদের উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা নেই ৫৬ শতাংশ উত্তরদাতার।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইনোভিশন কনসাল্টিংয়ের ‘জনগণের নির্বাচন ভাবনা’ নিয়ে দ্বিতীয় দফার প্রথম পর্বের জরিপে এই ফলাফল উঠে এসেছে।
সোমবার, (২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকালে রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন ইনোভেশন কনসাল্টিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সমীক্ষা প্রধান রুবাইয়াৎ সারওয়ার।
চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ২ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত এই জরিপ চালানো হয়। এতে দশ হাজার ৪১৩ জন ভোটার অংশ নেয় বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। সমীক্ষাটি নির্বাচন সময়, নির্বাচনী পরিবেশ, আইন ও শৃঙ্খলা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মক্ষমতাসহ বেশ কয়েকটি মূল ক্ষেত্রে জনগণের ধারণার পরীক্ষা করে।
জরিপে ফলাফলে দেখা গেছে, আগামী ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ উত্তরদাতা। ৬৯ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে। ৭৭ দশমিক ৫ শতাংশ উত্তরদাতা বিশ্বাস করেন, তারা নির্ভয়ে ও নিরাপদে ভোট দিতে পারবেন। তবে ৫৬ শতাংশ উত্তরদাতা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, গত ছয় মাসে দেশে চাঁদাবাজি বেড়েছে।
পিআর পদ্ধতির বিষয়ে প্রবীণ প্রজন্মের তুলনায় নবীন প্রজন্ম অধিক সচেতন উল্লেখ করে জরিপে বলা হয়, এ বিষয়ে তাদের মনোভাব অধিক ইতিবাচক। ভোটের সময় পুলিশ-প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রবীণ প্রজন্মের তুলনায় জেন-জি প্রজন্ম কম ইতিবাচক।
জরিপে বলা হয়, ৭৮ দশমিক ৭ শতাংশ উত্তরদাতা অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকান্ডকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেছেন। তবে স্বল্পশিক্ষিত উত্তরদাতাদের তুলনায় উচ্চশিক্ষিতরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজে কম সন্তুষ্ট। তারা মনে করেন চাঁদাবাজি বেড়েছে। এ ছাড়া তারা পিআর ব্যবস্থা সম্পর্কে বেশি সচেতন ও ইতিবাচক।
সাধারণ উত্তরদাতাদের তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে কম আগ্রহী উল্লেখ করে জরিপে বলা হয়েছে, নির্বাচনের সময় নিয়েও তাদের দ্বিমত বেশি। চাঁদাবাজি বেড়েছে বলে তারা মনে করেন।
জরিপ অনুযায়ী, অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকান্ডকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেছেন ৭৮ দশমিক ৭ শতাংশ উত্তরদাতা। তবে এই সরকারের কার্যক্রম নিয়ে উচ্চশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে ইতিবাচক ধারণার হার কম।
অন্যদিকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলো অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতার বিষয়ে তুলনামূলক কম ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে বলে জরিপে উঠে এসেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাইমুম পারভেজ, বিডিজবস.কম-এর সিইও একেএম ফাহিম মাশরুর, আইনজীবী রুশনা ইমাম, ব্রেইনের নির্বাহী পরিচালক শফিকুর রহমান। (সোমবার, একই শিরোনামে ভুলবশত আরেকটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল।)