জুলাই আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় ৭ জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেছে। তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মোট ৮টি অভিযোগ আনা হয়েছে। ইনুর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ‘প্রাথমিক প্রমাণ’ মিলেছে বলে দাবি প্রসিকিউশনের। এই মামলার একমাত্র আসামি আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী এই বামপন্থি নেতা।
বৃহস্পতিবার, (২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ৩৯ পৃষ্ঠার। এতে ২০ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে। বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন। এই ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। এই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। শুনানির দিন আসামীকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ কালে প্রসিকিউটর গাজী এম.এইচ. তামিম বলেন, ‘হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে ৮টি অভিযোগ আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করেন তিনি। এর আগে ট্রাইব্যুনাল ইনুকে মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে বলে জানান এই প্রসিকিউটর।
ট্রাইব্যুনালে দাখিলকৃত অভিযোগে দেখা যায়, হাসানুল হক ইনু ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক দল জাসদের প্রধান হিসেবে ভারতের ‘মিরর নাউ’ নামক একটি অনলাইন পোর্টালে সাক্ষাৎকার দোর কারণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। চার্জশীটে দাবি করা হয় , তিনি এই সাক্ষাৎকার দিয়ে আন্দোলনকারীদের বিএনপি, জামায়াত, সন্ত্রাসী এবং সাম্প্রদায়িক ট্যাগ দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগের উসকানি প্রদান করেন এবং আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করেন।
হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে আন্দোলন দমনে ‘লেথ্যাল উইপন’ ব্যবহার এবং আন্দোলনকারীদের ঘেরাও দিয়ে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে তাদেরকে গুলি, বোম্বিং করে হত্যা ও আটক নির্যাতনের পরিকল্পনা, উসকানি প্রদানের অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি শেখ হাসিনাকে এসব নির্দেশ দিতেন বলেও চার্জশিটে উল্লেখ করেছে প্রসিকিউশন।
ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা ও হাসানুল হক ইনুর ফোনালাপ দাখিল করার কথা জানান প্রসিকিউশন। গতকাল বুধবার ওই ফোনালাপ ট্রাইব্যুনাল-১ এ দাখিল করা হয়েছিল। সেই ফোনালাপ বৃহস্পতিবার, ট্রাইব্যুনাল-২ এ দাখিল করা হয়েছে বিশেষজ্ঞ মতামত এবং ওই ফোনালাপের ট্রান্সক্রিপ্টসহ।
গত বছরের ২৬ আগস্ট রাজধানীর উত্তরা থেকে হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিভিন্ন মামলায় হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় কারাগারে রয়েছেন সাবেক এই মন্ত্রী। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ইনু। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জোটের প্রার্থী হিসেবে কুষ্টিয়ায় নিজ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে হেরে যান তিনি।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলন চলাকালে কুষ্টিয়ায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ৭ জন। একইসঙ্গে আহত হন বেশ কয়েকজন।
বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জুলাই আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় ৭ জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেছে। তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মোট ৮টি অভিযোগ আনা হয়েছে। ইনুর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ‘প্রাথমিক প্রমাণ’ মিলেছে বলে দাবি প্রসিকিউশনের। এই মামলার একমাত্র আসামি আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী এই বামপন্থি নেতা।
বৃহস্পতিবার, (২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ৩৯ পৃষ্ঠার। এতে ২০ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে। বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন। এই ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। এই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। শুনানির দিন আসামীকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ কালে প্রসিকিউটর গাজী এম.এইচ. তামিম বলেন, ‘হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে ৮টি অভিযোগ আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করেন তিনি। এর আগে ট্রাইব্যুনাল ইনুকে মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে বলে জানান এই প্রসিকিউটর।
ট্রাইব্যুনালে দাখিলকৃত অভিযোগে দেখা যায়, হাসানুল হক ইনু ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক দল জাসদের প্রধান হিসেবে ভারতের ‘মিরর নাউ’ নামক একটি অনলাইন পোর্টালে সাক্ষাৎকার দোর কারণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। চার্জশীটে দাবি করা হয় , তিনি এই সাক্ষাৎকার দিয়ে আন্দোলনকারীদের বিএনপি, জামায়াত, সন্ত্রাসী এবং সাম্প্রদায়িক ট্যাগ দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগের উসকানি প্রদান করেন এবং আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করেন।
হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে আন্দোলন দমনে ‘লেথ্যাল উইপন’ ব্যবহার এবং আন্দোলনকারীদের ঘেরাও দিয়ে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে তাদেরকে গুলি, বোম্বিং করে হত্যা ও আটক নির্যাতনের পরিকল্পনা, উসকানি প্রদানের অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি শেখ হাসিনাকে এসব নির্দেশ দিতেন বলেও চার্জশিটে উল্লেখ করেছে প্রসিকিউশন।
ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা ও হাসানুল হক ইনুর ফোনালাপ দাখিল করার কথা জানান প্রসিকিউশন। গতকাল বুধবার ওই ফোনালাপ ট্রাইব্যুনাল-১ এ দাখিল করা হয়েছিল। সেই ফোনালাপ বৃহস্পতিবার, ট্রাইব্যুনাল-২ এ দাখিল করা হয়েছে বিশেষজ্ঞ মতামত এবং ওই ফোনালাপের ট্রান্সক্রিপ্টসহ।
গত বছরের ২৬ আগস্ট রাজধানীর উত্তরা থেকে হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিভিন্ন মামলায় হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় কারাগারে রয়েছেন সাবেক এই মন্ত্রী। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ইনু। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জোটের প্রার্থী হিসেবে কুষ্টিয়ায় নিজ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে হেরে যান তিনি।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলন চলাকালে কুষ্টিয়ায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ৭ জন। একইসঙ্গে আহত হন বেশ কয়েকজন।