গত এক বছরে ইন্টারপোলের রেড নোটিস জারির জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ তালিকায় রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ছয়টি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির মামলায় আদালত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এ কারণে ইন্টারপোলের মাধ্যমে তার অবস্থান শনাক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধেও একই মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার স্ত্রী রুকমিলা জামান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী জীশান মীর্জার বিরুদ্ধেও রেড নোটিসের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার দুই ভাই আব্দুস সামাদ ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হাসানের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার আদালত রেড নোটিস জারির আদেশ দিয়েছেন। ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে।
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। জয় যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন এবং পরিবারের অন্য সদস্যরাও দেশের বাইরে। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ছয় মামলার আসামির সংখ্যা ২৩ জন।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, পুলিশ সদর দপ্তর প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাবে, এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইন্টারপোলের কাছে রেড নোটিসের অনুরোধ জানাবে।
এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যাংক জালিয়াতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। অন্যদিকে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে প্রায় শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা চলছে। সাইফুজ্জামান জাবেদ দম্পতির বিরুদ্ধেও দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সব মিলিয়ে গত এক বছরে আলোচিত রাজনীতিক, প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও সাবেক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ১০ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিস জারির প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুদক।
শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গত এক বছরে ইন্টারপোলের রেড নোটিস জারির জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ তালিকায় রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ছয়টি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির মামলায় আদালত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এ কারণে ইন্টারপোলের মাধ্যমে তার অবস্থান শনাক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধেও একই মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার স্ত্রী রুকমিলা জামান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী জীশান মীর্জার বিরুদ্ধেও রেড নোটিসের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার দুই ভাই আব্দুস সামাদ ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হাসানের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার আদালত রেড নোটিস জারির আদেশ দিয়েছেন। ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে।
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। জয় যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন এবং পরিবারের অন্য সদস্যরাও দেশের বাইরে। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ছয় মামলার আসামির সংখ্যা ২৩ জন।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, পুলিশ সদর দপ্তর প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাবে, এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইন্টারপোলের কাছে রেড নোটিসের অনুরোধ জানাবে।
এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যাংক জালিয়াতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। অন্যদিকে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে প্রায় শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা চলছে। সাইফুজ্জামান জাবেদ দম্পতির বিরুদ্ধেও দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সব মিলিয়ে গত এক বছরে আলোচিত রাজনীতিক, প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও সাবেক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ১০ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিস জারির প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুদক।