‘বিশেষ পরিস্থিতিতে’ দেশে আগামী ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, তা নিয়ে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ফেসিং সো ম্যানি চ্যালেঞ্জ, বোথ সিন অ্যান্ড আনসিন।’
যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে দেশটা যাচ্ছে, কাজ আদায় করে নেয়া কিছু কিছু পক্ষের লোকের জন্য খুবই সুবিধা, আর বেশিরভাগ পক্ষের লোকের জন্য ডিফিকাল্ট। এই সিচুয়েশনে এখন দেশ দাঁড়ায় আছে
বর্তমান পরিস্থিতিতে, সিইসি বলেন, ‘বাংলাদেশে কাজ করা খুবই ডিফিকাল্ট। পার্টিকুলারলি যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে দেশটা যাচ্ছে, কাজ আদায় করে নেয়া কিছু কিছু পক্ষের লোকের জন্য খুবই সুবিধা, আর বেশিরভাগ পক্ষের লোকের জন্য ডিফিকাল্ট। এই সিচুয়েশনে এখন দেশ দাঁড়ায় আছে।’
শনিবার,(২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তবে এ কথা বলেন সিইসি নাসির উদ্দিন।
‘নির্বাচন কর্মকর্তা সম্মেলন-২০২৫’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজক করে ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ।
নির্বাচনের প্রস্তুতি ও বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে কাজ করতে গিয়ে প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষ অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘এসব বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই। কিন্তু এসব সামাল দিতে হচ্ছে। আপনারা জানেন না, আমরা যে কাজ করছি, ইলেকশনের জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি এবং আপনাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে কাজ করছি। এতে আমরা ফেসিং সো ম্যানি চ্যালেঞ্জ, বোথ সিন অ্যান্ড আনসিন।’
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কোনো বেআইনি নির্দেশনা দেয়া হবে না জানিয়ে সিইসি বলেন, তারা কোনো বেআইনি নির্দেশনা দেবেন না। কারও পক্ষে কাজ করার জন্য কোনো নির্দেশনা দেয়া হবে না।
নির্বাচনে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য সারাদেশ থেকে আসা কর্মকর্তাদের শপথ করান সিইসি নাসির উদ্দিন।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমরা শপথ নিয়েছি, পাঁচজন শপথ নিয়েছি, অনুরাগ বিরাগের বশবর্তী না হইয়া কাজ করবো। আইনানুযায়ী আইন মেনে চলবো। এই সমস্ত শপথ নিয়েছি। আপনারা কিন্তু ওয়াদা করেছিলেন যে, নিরপেক্ষভাবে কাজ করবেন এবং প্রফেশনালি কাজ করবেন, আইন মেনে কাজ করবেন।’
নির্বাচন কমিশনের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পূর্ণ আস্থা আছে বলে উল্লেখ করেন সিইসি।
নতুন উদ্যোগের বিষয়ে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আগে তো যারা ইলেকশন সিস্টেমে ইনভলভ থাকতো, তারা ভোট দিতে পারতেন না। তাদের আমরা এখন ভোটের আওতায় আনার কথা বলছি। জেলখানার তাদের, সরকারি কর্মচারীদের আমরা ভোট দেয়ার সুযোগ দেয়ার কথা বলছি। এগুলো হচ্ছে সব নতুন নতুন ইনিশিয়েটিভ। এই এগুলাকে অন্তত প্রোপারলি যাতে আমরা ডাইজেস্ট করতে পারি, প্রোপারলি যাতে ইমপ্লিমেন্ট করতে পারি, সে লক্ষ্যে আমাদের সব ধরনের চেষ্টা নিয়োজিত করতে হবে।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের পরিস্থিতিকে ‘বিশেষ পরিস্থিতি’ উল্লেখ করে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, এ বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষভাবে কাজ করতে হবে। বর্তমান কমিশন ঐতিহাসিকভাবে অনেক নতুন কাজ হাতে নিয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থার একটা নতুন ভিত্তি দেয়ার জন্য কাজ করছে।
অনষ্ঠানে ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা রয়েছে। এর একটি হলো- এআই প্রতিবন্ধকতা এবং অন্যটি প্রবাসীদের ভোটগ্রহণ। কমিশন এ বাধাকে দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করবে। নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বদলি নিয়ে তদবির না করার আহ্বান জানিয়েছেন ইসি সচিব।
কমিশনারদের অভিমত
বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘ভালো’ নির্বাচনের বিকল্প নেই জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানের মাছউদ বলেন, একবাক্যে সবাইকে স্বীকার করতে হবে, নির্বাচনের ব্যাপারে মানুষের অনেক অনীহা। নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে অনেক অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে, ‘সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ’ নির্বাচন করা ইসির ওপর ‘আমানত’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ইহকাল-পরকালে জবাবদিহিতা আছে। ভালো নির্বাচন করা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো বিকল্প নাই। কারণ আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রধান খেলোয়াড় উল্লেখ করে আবদুর রহমানের মাছউদ বলেন, এতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনের পরিবেশ ভালো রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের মেরুদ- শক্ত হয়েছে দাবি করে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, গত ১০ মাস ১০ দিনে কমিশন প্রমাণ করেছে, নির্বাচন কমিশন শক্ত মেরুদ- নিয়েই কাজ করছে। কমিশন কারও প্রতি অনুরাগ, বিরাগের বশবর্তী হয়ে কাজ করেনি, করবে না।
ভোটার তালিকায় অনেক মৃত ভোটার আছেন জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, এখনও তালিকায় অনেক মৃত ভোটার থেকে গেছেন। প্রতিদিনের জন্ম ও মৃত্যুরহার দেখলে এটা বোঝা যায়।
তিনি নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তথ্য হালনাগাদ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির পেছনে অন্যতম কারণ ছিল নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়া। নির্বাচন কমিশনের ইতিবাচক কাজের মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব বলে মন্তব্য করেন মো. সানাউল্লাহ।
নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ বলেছেন, বিগত দিনে নির্বাচন কর্মকর্তারা যথাযথ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ ছিলেন। বিগত দিনে অনেকেই দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। আবার অনেক নির্বাচন কর্মকর্তা অতি উৎসাহী হয়েও কাজ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘জেন্ডার বান্ধব নির্বাচন করবো। নারীদের আমরা গুরুত্ব দেব? কেননা ওই একদিনই কেবল নারীরা গুরুত্ব পায়। সমান অধিকার পায়।’
সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন। তিনি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছেন বলে নির্বাচন কমিশনকে জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন- ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মোহাম্মদ মতিয়ুর রহমান। এতে দেশের বিভিন্ন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
‘বিশেষ পরিস্থিতিতে’ দেশে আগামী ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, তা নিয়ে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ফেসিং সো ম্যানি চ্যালেঞ্জ, বোথ সিন অ্যান্ড আনসিন।’
যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে দেশটা যাচ্ছে, কাজ আদায় করে নেয়া কিছু কিছু পক্ষের লোকের জন্য খুবই সুবিধা, আর বেশিরভাগ পক্ষের লোকের জন্য ডিফিকাল্ট। এই সিচুয়েশনে এখন দেশ দাঁড়ায় আছে
বর্তমান পরিস্থিতিতে, সিইসি বলেন, ‘বাংলাদেশে কাজ করা খুবই ডিফিকাল্ট। পার্টিকুলারলি যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে দেশটা যাচ্ছে, কাজ আদায় করে নেয়া কিছু কিছু পক্ষের লোকের জন্য খুবই সুবিধা, আর বেশিরভাগ পক্ষের লোকের জন্য ডিফিকাল্ট। এই সিচুয়েশনে এখন দেশ দাঁড়ায় আছে।’
শনিবার,(২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তবে এ কথা বলেন সিইসি নাসির উদ্দিন।
‘নির্বাচন কর্মকর্তা সম্মেলন-২০২৫’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজক করে ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ।
নির্বাচনের প্রস্তুতি ও বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে কাজ করতে গিয়ে প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষ অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘এসব বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই। কিন্তু এসব সামাল দিতে হচ্ছে। আপনারা জানেন না, আমরা যে কাজ করছি, ইলেকশনের জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি এবং আপনাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে কাজ করছি। এতে আমরা ফেসিং সো ম্যানি চ্যালেঞ্জ, বোথ সিন অ্যান্ড আনসিন।’
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কোনো বেআইনি নির্দেশনা দেয়া হবে না জানিয়ে সিইসি বলেন, তারা কোনো বেআইনি নির্দেশনা দেবেন না। কারও পক্ষে কাজ করার জন্য কোনো নির্দেশনা দেয়া হবে না।
নির্বাচনে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য সারাদেশ থেকে আসা কর্মকর্তাদের শপথ করান সিইসি নাসির উদ্দিন।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমরা শপথ নিয়েছি, পাঁচজন শপথ নিয়েছি, অনুরাগ বিরাগের বশবর্তী না হইয়া কাজ করবো। আইনানুযায়ী আইন মেনে চলবো। এই সমস্ত শপথ নিয়েছি। আপনারা কিন্তু ওয়াদা করেছিলেন যে, নিরপেক্ষভাবে কাজ করবেন এবং প্রফেশনালি কাজ করবেন, আইন মেনে কাজ করবেন।’
নির্বাচন কমিশনের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পূর্ণ আস্থা আছে বলে উল্লেখ করেন সিইসি।
নতুন উদ্যোগের বিষয়ে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আগে তো যারা ইলেকশন সিস্টেমে ইনভলভ থাকতো, তারা ভোট দিতে পারতেন না। তাদের আমরা এখন ভোটের আওতায় আনার কথা বলছি। জেলখানার তাদের, সরকারি কর্মচারীদের আমরা ভোট দেয়ার সুযোগ দেয়ার কথা বলছি। এগুলো হচ্ছে সব নতুন নতুন ইনিশিয়েটিভ। এই এগুলাকে অন্তত প্রোপারলি যাতে আমরা ডাইজেস্ট করতে পারি, প্রোপারলি যাতে ইমপ্লিমেন্ট করতে পারি, সে লক্ষ্যে আমাদের সব ধরনের চেষ্টা নিয়োজিত করতে হবে।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের পরিস্থিতিকে ‘বিশেষ পরিস্থিতি’ উল্লেখ করে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, এ বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষভাবে কাজ করতে হবে। বর্তমান কমিশন ঐতিহাসিকভাবে অনেক নতুন কাজ হাতে নিয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থার একটা নতুন ভিত্তি দেয়ার জন্য কাজ করছে।
অনষ্ঠানে ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা রয়েছে। এর একটি হলো- এআই প্রতিবন্ধকতা এবং অন্যটি প্রবাসীদের ভোটগ্রহণ। কমিশন এ বাধাকে দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করবে। নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বদলি নিয়ে তদবির না করার আহ্বান জানিয়েছেন ইসি সচিব।
কমিশনারদের অভিমত
বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘ভালো’ নির্বাচনের বিকল্প নেই জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানের মাছউদ বলেন, একবাক্যে সবাইকে স্বীকার করতে হবে, নির্বাচনের ব্যাপারে মানুষের অনেক অনীহা। নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে অনেক অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে, ‘সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ’ নির্বাচন করা ইসির ওপর ‘আমানত’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ইহকাল-পরকালে জবাবদিহিতা আছে। ভালো নির্বাচন করা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো বিকল্প নাই। কারণ আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রধান খেলোয়াড় উল্লেখ করে আবদুর রহমানের মাছউদ বলেন, এতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনের পরিবেশ ভালো রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের মেরুদ- শক্ত হয়েছে দাবি করে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, গত ১০ মাস ১০ দিনে কমিশন প্রমাণ করেছে, নির্বাচন কমিশন শক্ত মেরুদ- নিয়েই কাজ করছে। কমিশন কারও প্রতি অনুরাগ, বিরাগের বশবর্তী হয়ে কাজ করেনি, করবে না।
ভোটার তালিকায় অনেক মৃত ভোটার আছেন জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, এখনও তালিকায় অনেক মৃত ভোটার থেকে গেছেন। প্রতিদিনের জন্ম ও মৃত্যুরহার দেখলে এটা বোঝা যায়।
তিনি নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তথ্য হালনাগাদ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির পেছনে অন্যতম কারণ ছিল নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়া। নির্বাচন কমিশনের ইতিবাচক কাজের মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব বলে মন্তব্য করেন মো. সানাউল্লাহ।
নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ বলেছেন, বিগত দিনে নির্বাচন কর্মকর্তারা যথাযথ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ ছিলেন। বিগত দিনে অনেকেই দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। আবার অনেক নির্বাচন কর্মকর্তা অতি উৎসাহী হয়েও কাজ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘জেন্ডার বান্ধব নির্বাচন করবো। নারীদের আমরা গুরুত্ব দেব? কেননা ওই একদিনই কেবল নারীরা গুরুত্ব পায়। সমান অধিকার পায়।’
সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন। তিনি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছেন বলে নির্বাচন কমিশনকে জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন- ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মোহাম্মদ মতিয়ুর রহমান। এতে দেশের বিভিন্ন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।