তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী কাড়াকাড়ি করে প্রশাসনিক জায়গাগুলোতে তাদের লোক নিয়োগ করিয়েছে। নিয়োগের আগে তারা সংস্কারের জন্য সরকারকে যত সময় লাগে দেওয়ার পক্ষে ছিল। তবে নিয়োগ শেষ হওয়ার পরপরই ডিসেম্বর মাস থেকে তারা অসহযোগ শুরু করে দিয়েছে।
রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমের স্ব-নিয়ন্ত্রণ ও অভিযোগ ব্যবস্থাপনা: রাজনৈতিক ও নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক সংলাপে তথ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। সংলাপের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)। এতে সহযোগিতা করেছে যুক্তরাজ্য সরকার এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন। সংলাপে সম্মানিত অতিথি ছিলেন তথ্য উপদেষ্টা।
সংলাপে সম্প্রচার নীতিমালা, সাংবাদিকের ওয়েজ বোর্ড, বিটিভি ও বেতারে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠাসহ নানা বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান নিয়ে কথা বলেন মাহফুজ আলম। এ সময় রাজনৈতিক দল ও আমলাদের সহযোগিতা না পাওয়ায় অসহায়ত্বও তুলে ধরেন তিনি।
মাহফুজ আলম বলেন, “বাংলাদেশে সবাই গোষ্ঠীস্বার্থের জন্য কাজ করে। জাতীয় স্বার্থ দেখে না। সামগ্রিকভাবে কোন জিনিসটা করলে একটা ভালো আইন পাওয়া যাবে, ভালো একটা নীতি পাওয়া যাবে সে বিষয়ে কেউ আগ্রহী না।”
আমলাদের ভাবনা সম্পর্কে এই উপদেষ্টা বলেন, “আমলারা পরের সরকারের অপেক্ষায় আছেন। সবাই পরের সরকারের জন্য অপেক্ষা করছে। এটা হলো ট্রানজিশনাল সরকারের দুর্বলতা।”
বর্তমান সরকারের বড় সংকট আছে উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, “এক মাস ধরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে ছাত্র উপদেষ্টারা নেমে যাবেন। ফলে ছাত্র উপদেষ্টাদের দপ্তর কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে এক মাস ধরে। সেখানে কাজ শ্লথ হয়ে গেছে।”
জুলাই অভ্যুত্থানের যে প্রত্যাশা ছিল, সে অনুসারে কাজ করা সম্ভব হয়নি বলে স্বীকার করেন মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, দেশে সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র, মিডিয়া ও সুশীল সমাজ এবং ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মধ্যে যে পারস্পরিক সহযোগিতা রয়েছে, তা অটুট রয়েছে। গণমাধ্যম এখনো ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে।
সামরিক–বেসামরিক আমলাতন্ত্রকে ফ্যাসিস্টমুক্ত না করে গণমাধ্যমকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তথ্য উপদেষ্টা।
রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী কাড়াকাড়ি করে প্রশাসনিক জায়গাগুলোতে তাদের লোক নিয়োগ করিয়েছে। নিয়োগের আগে তারা সংস্কারের জন্য সরকারকে যত সময় লাগে দেওয়ার পক্ষে ছিল। তবে নিয়োগ শেষ হওয়ার পরপরই ডিসেম্বর মাস থেকে তারা অসহযোগ শুরু করে দিয়েছে।
রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমের স্ব-নিয়ন্ত্রণ ও অভিযোগ ব্যবস্থাপনা: রাজনৈতিক ও নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক সংলাপে তথ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। সংলাপের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)। এতে সহযোগিতা করেছে যুক্তরাজ্য সরকার এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন। সংলাপে সম্মানিত অতিথি ছিলেন তথ্য উপদেষ্টা।
সংলাপে সম্প্রচার নীতিমালা, সাংবাদিকের ওয়েজ বোর্ড, বিটিভি ও বেতারে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠাসহ নানা বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান নিয়ে কথা বলেন মাহফুজ আলম। এ সময় রাজনৈতিক দল ও আমলাদের সহযোগিতা না পাওয়ায় অসহায়ত্বও তুলে ধরেন তিনি।
মাহফুজ আলম বলেন, “বাংলাদেশে সবাই গোষ্ঠীস্বার্থের জন্য কাজ করে। জাতীয় স্বার্থ দেখে না। সামগ্রিকভাবে কোন জিনিসটা করলে একটা ভালো আইন পাওয়া যাবে, ভালো একটা নীতি পাওয়া যাবে সে বিষয়ে কেউ আগ্রহী না।”
আমলাদের ভাবনা সম্পর্কে এই উপদেষ্টা বলেন, “আমলারা পরের সরকারের অপেক্ষায় আছেন। সবাই পরের সরকারের জন্য অপেক্ষা করছে। এটা হলো ট্রানজিশনাল সরকারের দুর্বলতা।”
বর্তমান সরকারের বড় সংকট আছে উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, “এক মাস ধরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে ছাত্র উপদেষ্টারা নেমে যাবেন। ফলে ছাত্র উপদেষ্টাদের দপ্তর কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে এক মাস ধরে। সেখানে কাজ শ্লথ হয়ে গেছে।”
জুলাই অভ্যুত্থানের যে প্রত্যাশা ছিল, সে অনুসারে কাজ করা সম্ভব হয়নি বলে স্বীকার করেন মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, দেশে সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র, মিডিয়া ও সুশীল সমাজ এবং ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মধ্যে যে পারস্পরিক সহযোগিতা রয়েছে, তা অটুট রয়েছে। গণমাধ্যম এখনো ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে।
সামরিক–বেসামরিক আমলাতন্ত্রকে ফ্যাসিস্টমুক্ত না করে গণমাধ্যমকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তথ্য উপদেষ্টা।