বঙ্গোপসাগরের তলদেশে গ্যাসের মজুত বাংলাদেশ এখনও পুরোপুরি কাজে লাগাতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন, ‘বিরাট বঙ্গোপসাগর আমাদের। আপনারা শুনেছেন কোনোদিন, সমুদ্র থেকে গ্যাস পেয়েছি? কিন্তু আশপাশের দেশগুলো সমুদ্র থেকে গ্যাস নিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ বলছে, আমাদের গ্যাসও তারা নিয়ে যাচ্ছে। ওখানে কোনো সীমারেখা, কোনো বর্ডার আছে নাকি? পাইপ দিয়ে তারা নিয়ে যাচ্ছে। আমরা নিজেদের আঙুল চুষছি বসে বসে।’
আমরা যদি এগুলোও খেতে না পারি, এর থেকে দুঃখ করার মতো আর কী থাকতে পারে!’
‘দূরে গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে খেলা দেখার দিন শেষ। এখন আমরা নিজেরা খেলবো’
গতকাল শনিবার নিউইয়র্কে ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘সমুদ্রের নিচে গ্যাস আছে এটা নিশ্চিত, এটাতে কোনো সন্দেহ নাই। আমরা যদি এগুলোও খেতে না পারি, এর থেকে দুঃখ করার মতো আর কী থাকতে পারে!’
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধান উপদেষ্টা এ অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি দেশ ও জাতি পুনর্গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাদের দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের ফলে যে পরিবর্তনের স্বপ্ন আমরা দেখছি, তা এগিয়ে নিতে প্রবাসীরা নিজ নিজ সক্ষমতা অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘দূরে গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে খেলা দেখার দিন শেষ। এখন আমরা নিজেরা খেলবো।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতারা। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা এই সফরে যোগ দিতে সম্মত হয়েছেন বলে আমাদের আস্থা অনেক বেড়ে গেছে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গত ১৫ মাসে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি রেমিট্যান্সে ২১ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য প্রবাসীদের প্রশংসা করেন এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকারি উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে ‘ব্রিজিং বর্ডারস: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ডায়াস্পোরা এনগেজমেন্ট’ শীর্ষক একটি ইন্টারেক্টিভ প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যা সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। এতে অংশ নেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুলসহ আরও দুজন। এছাড়া, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেন গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জন্য তাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ‘শেপিং টুমোরো: দ্য ফিউচার অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক আরেকটি প্যানেল আলোচনা সঞ্চালনা করেন। এতে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেন- এনসিপি নেতা তাসনিম জারা, বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির এবং জামায়াত নেতা নাকিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ‘শুভেচ্ছা’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপের উদ্বোধন করেন। এ অ্যাপটি প্রবাসীদের জন্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা, নির্দেশনা ও বিনিয়োগের সুযোগ প্রদানের লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে।
রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বঙ্গোপসাগরের তলদেশে গ্যাসের মজুত বাংলাদেশ এখনও পুরোপুরি কাজে লাগাতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন, ‘বিরাট বঙ্গোপসাগর আমাদের। আপনারা শুনেছেন কোনোদিন, সমুদ্র থেকে গ্যাস পেয়েছি? কিন্তু আশপাশের দেশগুলো সমুদ্র থেকে গ্যাস নিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ বলছে, আমাদের গ্যাসও তারা নিয়ে যাচ্ছে। ওখানে কোনো সীমারেখা, কোনো বর্ডার আছে নাকি? পাইপ দিয়ে তারা নিয়ে যাচ্ছে। আমরা নিজেদের আঙুল চুষছি বসে বসে।’
আমরা যদি এগুলোও খেতে না পারি, এর থেকে দুঃখ করার মতো আর কী থাকতে পারে!’
‘দূরে গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে খেলা দেখার দিন শেষ। এখন আমরা নিজেরা খেলবো’
গতকাল শনিবার নিউইয়র্কে ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘সমুদ্রের নিচে গ্যাস আছে এটা নিশ্চিত, এটাতে কোনো সন্দেহ নাই। আমরা যদি এগুলোও খেতে না পারি, এর থেকে দুঃখ করার মতো আর কী থাকতে পারে!’
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধান উপদেষ্টা এ অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি দেশ ও জাতি পুনর্গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাদের দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের ফলে যে পরিবর্তনের স্বপ্ন আমরা দেখছি, তা এগিয়ে নিতে প্রবাসীরা নিজ নিজ সক্ষমতা অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘দূরে গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে খেলা দেখার দিন শেষ। এখন আমরা নিজেরা খেলবো।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতারা। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা এই সফরে যোগ দিতে সম্মত হয়েছেন বলে আমাদের আস্থা অনেক বেড়ে গেছে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গত ১৫ মাসে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি রেমিট্যান্সে ২১ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য প্রবাসীদের প্রশংসা করেন এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকারি উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে ‘ব্রিজিং বর্ডারস: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ডায়াস্পোরা এনগেজমেন্ট’ শীর্ষক একটি ইন্টারেক্টিভ প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যা সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। এতে অংশ নেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুলসহ আরও দুজন। এছাড়া, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেন গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জন্য তাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ‘শেপিং টুমোরো: দ্য ফিউচার অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক আরেকটি প্যানেল আলোচনা সঞ্চালনা করেন। এতে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেন- এনসিপি নেতা তাসনিম জারা, বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির এবং জামায়াত নেতা নাকিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ‘শুভেচ্ছা’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপের উদ্বোধন করেন। এ অ্যাপটি প্রবাসীদের জন্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা, নির্দেশনা ও বিনিয়োগের সুযোগ প্রদানের লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে।