ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
‘বিদ্বেষ’ থেকে এনবিআরকে বিলুপ্ত করে দুই ভাগ করা হলে জাতির জন্য ‘ভয়ংকর’ পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে সতর্ক করার পরদিন সংস্থাটির সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটি ‘বিলুপ্ত’ করেছে সরকার।
রোববার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ কমিটির কার্যক্রমের সমাপ্ত ঘোষণা করে।
তার আগে শনিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরকে দুই ভাগ করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ করার অধ্যাদেশে পরামর্শক কমিটির সুপারিশ ঠিকঠাক প্রতিফলিত হয়নি বলে মন্তব্য আসে এ কমিটিরই একজন সদসের তরফে।
পরামর্শক কমিটির সদস্য ফরিদ উদ্দিন বলেছেন, অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবিতে এনবিআর কর্মীরা আন্দোলনে নামার ফলে এখন যদি ‘বিদ্বেষ’ থেকে সংস্থাটিকে দুই ভাগ করা হয়, তাহলে তা জাতির জন্য ‘ভয়ংকর’ পরিস্থিতি তৈরি করবে।
ঢাকার গুলশানে এনবিআর সংস্কার বিষয়ক এক রাউন্ড টেবিল আলোচনায় তিনি এ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
ফরিদ উদ্দিন বলেন, “রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে ভাগ করার বিষয়টা এখানে (সংস্কার প্রতিবেদন) আমরা এনেছি। আমরা কমিটি থেকে যে সুপারিশ করেছি, আসলে সেভাবে বিষয়টা, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সেভাবে হয় নাই।
“আমি কিন্তু সরকারকে বলেছি, আমার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, যদি ভুল হয়, এটা কোনো বিদ্বেষ থেকে বা যদি ভুল করে করা হয়, তাহলে এটা জাতির জন্য ভয়ংকর অবস্থা, পরিস্থিতি হবে।”
এ বক্তব্যের পরদিন জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পৃথকীকরণের লক্ষ্যে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫ ‘জারি করায়’ এনবিআর সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটির ‘কার্যক্রম সমাপ্ত করা হল’।
তবে গতবছরের অক্টোবরে গঠিত এ কমিটির মূল কাজ এনবিআর পৃথক করা ছিল না। রাজস্ব নীতি ও ব্যবস্থাপনা পৃথকের সুপারিশ তারা করলেও অধ্যাদেশ যেভাবে হয়েছে তা তাদের সুপারিশ মতে হয়নি বলেই তাদের ভাষ্য।
পাঁচ সদস্যের এ কমিটি গঠনের সময় বলা হয়, কমিটি এনবিআরের সংস্কার প্রস্তাবের পাশাপাশি রাজস্ব নীতি সংস্কার বিষয়ে পরামর্শ দেবে।
এছাড়া রাজস্ব প্রশাসন সংস্কার, রাজস্ব বোর্ডের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার মূল্যায়ন ও আধুনিকায়ন, শুদ্ধাচার ও সুশাসনের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও নীতিমালা প্রণয়ন, নাগরিক যোগাযোগ এবং অংশীজন সম্পৃক্ততার কার্যক্রম এবং রাজস্ব সংস্কার সংশ্লিষ্ট যেকোনো নীতিগত পরামর্শ ও সুপারিশ দেবে কমিটি।
গেল ১২ মে রাতে এনবিআর বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে সরকার। পরের দিন থেকে আন্দোলনে নামেন দেশের প্রধান রাজস্ব আহরণকারী সংস্থাটির কর্মীরা। অবস্থান, কলমবিরতিসহ কর্মবিরতির মতো টানা কর্মসূচি পালন করেন তারা।
তাদের দাবি ছিল, প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ পদে প্রশাসন ক্যাডার থেকে আসা সচিবদের যেন না বসানো হয়। এর পরিবর্তে বিসিএস (কর) ও বিসিএস (শুল্ক ও আবগারি) ক্যাডারের অভিজ্ঞদেরকেই যেন নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের দাবির মুখে অধ্যাদেশ বাস্তবায়ন থেকে সরে আসে সরকার। তখন সরকারের তরফে সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
সরকার বলেছে, এনবিআরকে বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে যে দুই ভাগ করা হচ্ছে, সেগুলোর শীর্ষ পদে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্ব দেওয়ার বিধান রাখা হচ্ছে সংশোধিত অধ্যাদেশে।
এই বিধান রেখে ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ সংশোধন করে ১১টি পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
‘বিদ্বেষ’ থেকে এনবিআরকে বিলুপ্ত করে দুই ভাগ করা হলে জাতির জন্য ‘ভয়ংকর’ পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে সতর্ক করার পরদিন সংস্থাটির সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটি ‘বিলুপ্ত’ করেছে সরকার।
রোববার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ কমিটির কার্যক্রমের সমাপ্ত ঘোষণা করে।
তার আগে শনিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরকে দুই ভাগ করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ করার অধ্যাদেশে পরামর্শক কমিটির সুপারিশ ঠিকঠাক প্রতিফলিত হয়নি বলে মন্তব্য আসে এ কমিটিরই একজন সদসের তরফে।
পরামর্শক কমিটির সদস্য ফরিদ উদ্দিন বলেছেন, অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবিতে এনবিআর কর্মীরা আন্দোলনে নামার ফলে এখন যদি ‘বিদ্বেষ’ থেকে সংস্থাটিকে দুই ভাগ করা হয়, তাহলে তা জাতির জন্য ‘ভয়ংকর’ পরিস্থিতি তৈরি করবে।
ঢাকার গুলশানে এনবিআর সংস্কার বিষয়ক এক রাউন্ড টেবিল আলোচনায় তিনি এ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
ফরিদ উদ্দিন বলেন, “রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে ভাগ করার বিষয়টা এখানে (সংস্কার প্রতিবেদন) আমরা এনেছি। আমরা কমিটি থেকে যে সুপারিশ করেছি, আসলে সেভাবে বিষয়টা, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সেভাবে হয় নাই।
“আমি কিন্তু সরকারকে বলেছি, আমার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, যদি ভুল হয়, এটা কোনো বিদ্বেষ থেকে বা যদি ভুল করে করা হয়, তাহলে এটা জাতির জন্য ভয়ংকর অবস্থা, পরিস্থিতি হবে।”
এ বক্তব্যের পরদিন জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পৃথকীকরণের লক্ষ্যে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫ ‘জারি করায়’ এনবিআর সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটির ‘কার্যক্রম সমাপ্ত করা হল’।
তবে গতবছরের অক্টোবরে গঠিত এ কমিটির মূল কাজ এনবিআর পৃথক করা ছিল না। রাজস্ব নীতি ও ব্যবস্থাপনা পৃথকের সুপারিশ তারা করলেও অধ্যাদেশ যেভাবে হয়েছে তা তাদের সুপারিশ মতে হয়নি বলেই তাদের ভাষ্য।
পাঁচ সদস্যের এ কমিটি গঠনের সময় বলা হয়, কমিটি এনবিআরের সংস্কার প্রস্তাবের পাশাপাশি রাজস্ব নীতি সংস্কার বিষয়ে পরামর্শ দেবে।
এছাড়া রাজস্ব প্রশাসন সংস্কার, রাজস্ব বোর্ডের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার মূল্যায়ন ও আধুনিকায়ন, শুদ্ধাচার ও সুশাসনের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও নীতিমালা প্রণয়ন, নাগরিক যোগাযোগ এবং অংশীজন সম্পৃক্ততার কার্যক্রম এবং রাজস্ব সংস্কার সংশ্লিষ্ট যেকোনো নীতিগত পরামর্শ ও সুপারিশ দেবে কমিটি।
গেল ১২ মে রাতে এনবিআর বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে সরকার। পরের দিন থেকে আন্দোলনে নামেন দেশের প্রধান রাজস্ব আহরণকারী সংস্থাটির কর্মীরা। অবস্থান, কলমবিরতিসহ কর্মবিরতির মতো টানা কর্মসূচি পালন করেন তারা।
তাদের দাবি ছিল, প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ পদে প্রশাসন ক্যাডার থেকে আসা সচিবদের যেন না বসানো হয়। এর পরিবর্তে বিসিএস (কর) ও বিসিএস (শুল্ক ও আবগারি) ক্যাডারের অভিজ্ঞদেরকেই যেন নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের দাবির মুখে অধ্যাদেশ বাস্তবায়ন থেকে সরে আসে সরকার। তখন সরকারের তরফে সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
সরকার বলেছে, এনবিআরকে বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে যে দুই ভাগ করা হচ্ছে, সেগুলোর শীর্ষ পদে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্ব দেওয়ার বিধান রাখা হচ্ছে সংশোধিত অধ্যাদেশে।
এই বিধান রেখে ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ সংশোধন করে ১১টি পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।