সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সংলাপ
সোমবার, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে সিইসি -সংবাদ
আগামী সংসদ নির্বাচন ‘ভালো না হওয়ার’ কোনো সুযোগ নেই মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘এটা একটা জাতীয় নির্বাচন এবং জাতীয়ভাবেই আমরা করতে চাই।’
এই নির্বাচন ইসির একার পক্ষে এককভাবে সামাল দেয়া সম্ভব হবে না মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘এই নির্বাচনটা কিন্তু দেশের ভবিষ্যত নির্ধারণ করে দেবে। নির্বাচন ভালো না হওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের সামনে নেই। সুতরাং, সবাই মিলে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হবে।’
সোমবার, (০৬ অক্টোবর ২০২৫) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপের শুরুতে সিইসি এ মন্তব্য করেন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা মানুষের মতামত তৈরি করার কারিগর। আমরা সেই সুযোগটা নিতে চাই। এই নির্বাচন অবাধ-নিরপেক্ষ করতে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে চাই।’
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এই নির্বাচনের তফসিল হতে পারে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে। তার আগে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এর প্রথম পর্বে গত ২৮ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ইসি। আর পূজার ছুটির পর সোমবার, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় করলো ইসি। আজ নারীনেত্রী ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ইসির সংলাপ হবে। চলতি মাসে নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গেও সংলাপের কথা রয়েছে ইসির।
একাধিকবার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কথা জানিয়ে সিইসি আরও বলেন, ‘এটা করতে গিয়ে ভোটারদের মধ্যে একটা সচেতনতা তৈরি হয়েছে। এটার খুব দরকার ছিল।’
এ বিষয়ে সিইসি নাসির উদ্দিন আরও বলেন, ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদে সাড়ে ২১ লাখ মৃত ভোটার চিহ্নিত করেছি। এদের নামে ভোট দেয়া হতো। এগুলো আমরা বাতিল করেছি। আর প্রায় ৪৫ লাখের মতো ভোটার হওয়ার যোগ্য ছিল। তাদের আমরা যুক্ত করেছি। নারী ভোটারের সংখ্যা ছিল কম। পুরুষের তুলনায় প্রায় ৩০ লাখ কম ছিল। মানুষ তো ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। সুতরাং আমরা আমাদের ভোটার তালিকা কার্যক্রমে সচেতনতা বৃদ্ধিতে মহিলারা দলে দলে এসে নিবন্ধন করেছেন। এটা আমাদের সচেতন সিদ্ধান্ত ছিল।’
পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে প্রবাসী এবং নির্বাচন কর্মকর্তা ও নিজ উপজেলার বাইরে কর্মরত সরকারি কর্মচারীদের ভোট দেয়ার বিষয়ে সিইসি বলেন, পোস্টার ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেয়ার সুযোগ এতোদিন আইনে থাকলেও বর্তমান কমিশন তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন উদ্যোগে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে সিইসি বলেন, ‘আপনারা আমাদের সহযোদ্ধা। আপনারা আমাদের উদ্যোগগুলো প্রচার করবেন। মানুষকে সচেতন করবেন। আমরা চাই, পুরোপুরি উৎসবের আবহে নির্বাচনটা হোক। ভোটাররা যেন ভোট কেন্দ্রে যান, সেজন্য আপনারা আমাদের সাহায্য করবেন।’
ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজের সঞ্চালনায় সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনার- আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ, বেগম তাহমিদা আহমদ, আব্দুর রহমানেল মাছউদ ও আনোয়ারুল ইসলাম সরকার উপস্থিত ছিলেন। আর সংলাপে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ১৯ জন প্রতিনিধি তাদের মতামত তুলে ধরেন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মধ্যে কালের কণ্ঠের সম্পাদক হাসান হাফিজ, যুগান্তরের সম্পাদক আব্দুল হাই শিকদার, ইনকিলাবের সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিন, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, সংগ্রামের সম্পাদক আযম মীর শহীদুল আহসান, নয়া দিগন্তের সম্পাদক মাসুমুর রহৃান খলিলী, আজকের পত্রিকার সম্পাদক কামরুল ইসলাম, প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ, খবরের কাগজের সম্পাদক মোস্তফা কামাল, ঢাকা মেইলের নির্বাহী সম্পাদক হারুন জামিল, দৈনিক আমাদের সময়ের নির্বাহী সম্পাদক এহসান মাহমুদ, বাংলাবাজার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক রাশেদুল হক, বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোরের সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক আবু তাহের, প্রতিদিনের বাংলাদেশের সম্পাদক মারুফ কামাল খান, ইউএনবির সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, দৈনিক আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সংলাপ
সোমবার, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে সিইসি -সংবাদ
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
আগামী সংসদ নির্বাচন ‘ভালো না হওয়ার’ কোনো সুযোগ নেই মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘এটা একটা জাতীয় নির্বাচন এবং জাতীয়ভাবেই আমরা করতে চাই।’
এই নির্বাচন ইসির একার পক্ষে এককভাবে সামাল দেয়া সম্ভব হবে না মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘এই নির্বাচনটা কিন্তু দেশের ভবিষ্যত নির্ধারণ করে দেবে। নির্বাচন ভালো না হওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের সামনে নেই। সুতরাং, সবাই মিলে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হবে।’
সোমবার, (০৬ অক্টোবর ২০২৫) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপের শুরুতে সিইসি এ মন্তব্য করেন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা মানুষের মতামত তৈরি করার কারিগর। আমরা সেই সুযোগটা নিতে চাই। এই নির্বাচন অবাধ-নিরপেক্ষ করতে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে চাই।’
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এই নির্বাচনের তফসিল হতে পারে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে। তার আগে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এর প্রথম পর্বে গত ২৮ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ইসি। আর পূজার ছুটির পর সোমবার, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় করলো ইসি। আজ নারীনেত্রী ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ইসির সংলাপ হবে। চলতি মাসে নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গেও সংলাপের কথা রয়েছে ইসির।
একাধিকবার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কথা জানিয়ে সিইসি আরও বলেন, ‘এটা করতে গিয়ে ভোটারদের মধ্যে একটা সচেতনতা তৈরি হয়েছে। এটার খুব দরকার ছিল।’
এ বিষয়ে সিইসি নাসির উদ্দিন আরও বলেন, ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদে সাড়ে ২১ লাখ মৃত ভোটার চিহ্নিত করেছি। এদের নামে ভোট দেয়া হতো। এগুলো আমরা বাতিল করেছি। আর প্রায় ৪৫ লাখের মতো ভোটার হওয়ার যোগ্য ছিল। তাদের আমরা যুক্ত করেছি। নারী ভোটারের সংখ্যা ছিল কম। পুরুষের তুলনায় প্রায় ৩০ লাখ কম ছিল। মানুষ তো ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। সুতরাং আমরা আমাদের ভোটার তালিকা কার্যক্রমে সচেতনতা বৃদ্ধিতে মহিলারা দলে দলে এসে নিবন্ধন করেছেন। এটা আমাদের সচেতন সিদ্ধান্ত ছিল।’
পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে প্রবাসী এবং নির্বাচন কর্মকর্তা ও নিজ উপজেলার বাইরে কর্মরত সরকারি কর্মচারীদের ভোট দেয়ার বিষয়ে সিইসি বলেন, পোস্টার ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেয়ার সুযোগ এতোদিন আইনে থাকলেও বর্তমান কমিশন তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন উদ্যোগে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে সিইসি বলেন, ‘আপনারা আমাদের সহযোদ্ধা। আপনারা আমাদের উদ্যোগগুলো প্রচার করবেন। মানুষকে সচেতন করবেন। আমরা চাই, পুরোপুরি উৎসবের আবহে নির্বাচনটা হোক। ভোটাররা যেন ভোট কেন্দ্রে যান, সেজন্য আপনারা আমাদের সাহায্য করবেন।’
ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজের সঞ্চালনায় সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনার- আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ, বেগম তাহমিদা আহমদ, আব্দুর রহমানেল মাছউদ ও আনোয়ারুল ইসলাম সরকার উপস্থিত ছিলেন। আর সংলাপে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ১৯ জন প্রতিনিধি তাদের মতামত তুলে ধরেন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মধ্যে কালের কণ্ঠের সম্পাদক হাসান হাফিজ, যুগান্তরের সম্পাদক আব্দুল হাই শিকদার, ইনকিলাবের সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিন, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, সংগ্রামের সম্পাদক আযম মীর শহীদুল আহসান, নয়া দিগন্তের সম্পাদক মাসুমুর রহৃান খলিলী, আজকের পত্রিকার সম্পাদক কামরুল ইসলাম, প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ, খবরের কাগজের সম্পাদক মোস্তফা কামাল, ঢাকা মেইলের নির্বাহী সম্পাদক হারুন জামিল, দৈনিক আমাদের সময়ের নির্বাহী সম্পাদক এহসান মাহমুদ, বাংলাবাজার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক রাশেদুল হক, বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোরের সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক আবু তাহের, প্রতিদিনের বাংলাদেশের সম্পাদক মারুফ কামাল খান, ইউএনবির সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, দৈনিক আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।