২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৭৮২ জন, মৃত্যু ৩
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ডেঙ্গুতে আরও ৭৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সোমবার, (০৬ অক্টোবর ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৫০ হাজার ৬৮৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৭৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৩ জন, ঢাকা বিভাগে ১৪৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১১৮ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৯০ জন, খুলনা বিভাগে ৫৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬৪ জন, রংপুর বিভাগে ১১ জন, সিলেট বিভাগে ৫ জন।
বয়সভেদে আক্রান্তদের মধ্যে ৫ বছর বয়সের ২৮টি, ৬-১০ বছর বয়সের ৩৩ জন, ১১-১৫ বছর বয়সের ৪৩ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ১০৭ জন, ২১-২৫ বছর বয়সের ১১৫ জন, ২৬-৩০ বছর বয়সের ৯৮ জন, ৩১-৩৫ বছর বয়সের ৮৮ জন, ৩৬-৪০ বছর বয়সের ৮৪ জন, ৭৬-৮০ বছর বয়সের ১ জন, ৮০ বছর বয়সের ৩ জন আক্রান্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৩ জনের মধ্যে ২ জন ঢাকা দক্ষিণে ও ১ জন খুলনা বিভাগে।
এ বছর আক্রান্তদের মধ্যে ৬০ দশমিক ৯ ভাগ পুরুষ ও ৩৯ দশমিক ১ ভাগ নারী। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ ৫২ দশমিক ১ ভাগ, নারী ৪৭ দশমিক ৯ ভাগ।
চলতি অক্টোবর মাসের গত ৬ দিনে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালের তথ্যমতে, ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২৪ জন ভর্তি আছে, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫৮ জন ভর্তি আছে। ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ১৬ জন ভর্তি আছে। সোহ্রাওয়ার্দ্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৯ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২৪ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৬৩ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১২৩ জন ভর্তি আছে। এভাবে রাজধানীর ১৮টি হাসপাতালে এখনও ৬৪৩ জন ভর্তি আছে। সারাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এখনও ২৪৭৩ জন ভর্তি আছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু বিস্তার ও তীব্রতা বোঝার জন্য শুধু রোগীর সংখ্যাই নয়, মশার ঘনত্ব সম্পর্কিত তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি গবেষণায় এডিস মশার ঘনত্বের যে তথ্য উঠে এসেছে, তা পরিস্থিতিতে আরও স্পষ্ট হয়েছে।
এডিস মশার লার্ভাযুক্ত পানির পাত্রের হার বর্ষার বৃষ্টির কারণে অনেক বেড়ে গেছে। অর্থাৎ ঘরের ভিতরে ও বাইরে অসংখ্য ছোট ছোট পাত্র, টব, ড্রাম কিংবা অযন্তে ফেলে রাখা প্লাস্টিক সামগ্রীতে পানি জমে থেকে মশার জন্মস্থল তৈরি হচ্ছে।
প্রতি কনটেইনারে এডিস মশার লার্ভার সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তেমনি প্রতি প্রজননস্থলেই মশার উৎপাদন বহুগুণ বেড়ে যাচ্ছে। যা সরাসরি রোগের বিস্তার বাড়িয়ে তুলছে। এখনই মশা দমনের পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি চরমে পৌঁছে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন। চলতি মাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৭৮২ জন, মৃত্যু ৩
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
ডেঙ্গুতে আরও ৭৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সোমবার, (০৬ অক্টোবর ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৫০ হাজার ৬৮৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৭৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৩ জন, ঢাকা বিভাগে ১৪৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১১৮ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৯০ জন, খুলনা বিভাগে ৫৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬৪ জন, রংপুর বিভাগে ১১ জন, সিলেট বিভাগে ৫ জন।
বয়সভেদে আক্রান্তদের মধ্যে ৫ বছর বয়সের ২৮টি, ৬-১০ বছর বয়সের ৩৩ জন, ১১-১৫ বছর বয়সের ৪৩ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ১০৭ জন, ২১-২৫ বছর বয়সের ১১৫ জন, ২৬-৩০ বছর বয়সের ৯৮ জন, ৩১-৩৫ বছর বয়সের ৮৮ জন, ৩৬-৪০ বছর বয়সের ৮৪ জন, ৭৬-৮০ বছর বয়সের ১ জন, ৮০ বছর বয়সের ৩ জন আক্রান্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৩ জনের মধ্যে ২ জন ঢাকা দক্ষিণে ও ১ জন খুলনা বিভাগে।
এ বছর আক্রান্তদের মধ্যে ৬০ দশমিক ৯ ভাগ পুরুষ ও ৩৯ দশমিক ১ ভাগ নারী। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ ৫২ দশমিক ১ ভাগ, নারী ৪৭ দশমিক ৯ ভাগ।
চলতি অক্টোবর মাসের গত ৬ দিনে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালের তথ্যমতে, ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২৪ জন ভর্তি আছে, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫৮ জন ভর্তি আছে। ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ১৬ জন ভর্তি আছে। সোহ্রাওয়ার্দ্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৯ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২৪ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৬৩ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১২৩ জন ভর্তি আছে। এভাবে রাজধানীর ১৮টি হাসপাতালে এখনও ৬৪৩ জন ভর্তি আছে। সারাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এখনও ২৪৭৩ জন ভর্তি আছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু বিস্তার ও তীব্রতা বোঝার জন্য শুধু রোগীর সংখ্যাই নয়, মশার ঘনত্ব সম্পর্কিত তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি গবেষণায় এডিস মশার ঘনত্বের যে তথ্য উঠে এসেছে, তা পরিস্থিতিতে আরও স্পষ্ট হয়েছে।
এডিস মশার লার্ভাযুক্ত পানির পাত্রের হার বর্ষার বৃষ্টির কারণে অনেক বেড়ে গেছে। অর্থাৎ ঘরের ভিতরে ও বাইরে অসংখ্য ছোট ছোট পাত্র, টব, ড্রাম কিংবা অযন্তে ফেলে রাখা প্লাস্টিক সামগ্রীতে পানি জমে থেকে মশার জন্মস্থল তৈরি হচ্ছে।
প্রতি কনটেইনারে এডিস মশার লার্ভার সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তেমনি প্রতি প্রজননস্থলেই মশার উৎপাদন বহুগুণ বেড়ে যাচ্ছে। যা সরাসরি রোগের বিস্তার বাড়িয়ে তুলছে। এখনই মশা দমনের পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি চরমে পৌঁছে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন। চলতি মাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।