alt

প্রসিকিউশনের আপত্তি, হাসিনা–কামাল মামলায় পুলিশ হত্যার জেরা বন্ধ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়বহির্ভূত উল্লেখ করে বিভিন্ন থানায় পুলিশ হত্যার বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবীকে জেরা করতে দেয়নি প্রসিকিউশন।

‘দি ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট, ১৯৭৩’-এ সাক্ষীকে জেরা করার সীমাবদ্ধতা রয়েছে উল্লেখ করে প্রসিকিউশন তা ট্রাইব্যুনালকে বোঝাতে সক্ষম হয়। পরে এ বিষয়ে জেরা করা হয়নি।

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১-এ এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরকে জেরার সময় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন বিষয়টি নিয়ে বাধার মুখে পড়েন। পরে তিনি ওই অংশ বাদ দিয়ে অন্য বিষয় নিয়ে জেরা চালিয়ে যান। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনেও জেরা শেষ না হওয়ায় বুধবারও তা চলবে।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল–১-এ দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত জেরা চলে। ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত অপর বিচারক ছিলেন মো. শফিউল আলম মাহমুদ।

জেরার সময় এক প্রশ্নের জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর বলেন, ২ অগাস্ট প্রকাশিত ‘গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ৩২ শিশু’ এবং ৪ অগাস্ট প্রকাশিত ‘গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ১৩৩ শিশু’ শিরোনামের প্রতিবেদন তিনি দেখেছেন। তিনি জানান, এসব খবর অন্য অনেক পত্রিকাতেও ছাপা হয়েছে।

আইনজীবীর প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, তদন্তকালে উল্লেখিত শহীদ শিশুদের সবার বাড়িতে তিনি যাননি; শুধুমাত্র একজনের বাড়িতে গিয়েছেন। তবে যে শিশুর বাড়িতে গিয়েছেন, তার বাবা–মায়ের নাম তিনি বলতে পারেননি। এসব শিশুর মৃত্যু নিয়ে সঠিক তদন্ত না করার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।

আইনজীবী আমির হোসেন সাক্ষীকে বলেন, আল জাজিরা নির্মিত ‘জুলাইয়ের ৩৬ দিন: উন্মোচিত হচ্ছে শেখ হাসিনার গোপন আদেশনামা’ শিরোনামের ৪৯ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের অনুসন্ধানী তথ্যচিত্রটি ‘এআই জেনারেটেড’। এ বক্তব্য অস্বীকার করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আরেকটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করে ‘জুলাই রেভ্যুলিউশনারি অ্যালায়েন্স (জেআরএ)’ নামের সংগঠন। তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ৭ অগাস্ট প্রকাশিত ৩ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের তথ্যচিত্রকেও আইনজীবী ‘এআই নির্মিত’ বলে দাবি করেন। তবে তদন্ত কর্মকর্তা সেটিও অস্বীকার করেন।

আইনজীবীর প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী আলমগীর জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল ও হাসানুল হক ইনুর কথোপকথনের সত্যতা পরীক্ষার জন্য আলামতগুলো সিআইডি ছাড়া অন্য কোনো দেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানে পাঠাননি।

আইনজীবী আরও উল্লেখ করেন, ৯ জুলাই প্রচারিত বিবিসি বাংলার ৩৫ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি বর্তমান সরকারের প্রভাবে তৈরি করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর এই অভিযোগও অস্বীকার করেন।

জুলাই আন্দোলনে ২৫ হাজার ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে সাক্ষ্যে উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে তিনি মাত্র তিনজন আহত ব্যক্তির জখমি সনদপত্র সংগ্রহ করেছেন। আইনজীবী তার বিরুদ্ধে অসম্পূর্ণ তদন্তের অভিযোগ তুললে তিনি তা নাকচ করেন।

আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল ‘দি ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট, ১৯৭৩’-এর ৩(২)(এ)(জি)(এইচ) ও ৪(১)(২)(৩) ধারায় কোনো অপরাধ করেননি। কিন্তু সাক্ষী মো. আলমগীর এই বক্তব্য অস্বীকার করেন।

জেরার এক পর্যায়ে আইনজীবী দেশের বিভিন্ন থানায় পুলিশ হত্যার বিষয়ে সাক্ষীকে প্রশ্ন করেন। তবে ট্রাইব্যুনালের রেকর্ডে এ অংশ রাখা হয়নি।

আইনজীবী বলেন, “সিরাজগঞ্জ, যাত্রাবাড়ী, আশুলিয়া, রামপুরা থানায় পুলিশ হত্যা করা হয়েছে—আপনি জানেন কিনা?”

সাক্ষী আলমগীর জবাবে বলেন, “এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।”

এ সময় কৌঁসুলি মো. মিজানুল ইসলাম আপত্তি জানান, “বিষয়টি এ তদন্ত কর্মকর্তার আওতাধীন নয়, তাই এটি এখানে প্রাসঙ্গিক নয়।”

এর জবাবে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, “আন্দোলন চলাকালে এসব ঘটনা ঘটেছে, প্রাসঙ্গিকভাবে আসতেই পারে।”

তখন জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, “জেরার কোনো লিমিট নেই।”

এই পর্যায়ে কৌঁসুলি এম এইচ তামিম ট্রাইব্যুনাল আইন তুলে ধরে দেখান যে, সাক্ষীকে জেরা করার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পরে ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের বক্তব্য মেনে নেয়।

ছবি

রাজনীতিতে ডান-বামের বিভেদ মুছে যাচ্ছে: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

ছবি

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে ‘সমর্থন দিয়ে যাবে’ তুরস্ক

ছবি

কারাগারে ধারণক্ষমতা ৪৬ হাজার, বন্দী ৭৮ হাজার

ছবি

গণভোট: প্রক্রিয়া নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ঐকমত্য কমিশন

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৭১৫ জন হাসপাতালে, মৃত্যু ২

ছবি

আইসিটি: দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করতে তদন্ত শুরু

ছবি

আশুলিয়া থানার নির্দেশে নিহতদের লাশ ঢেকে দেওয়ার অভিযোগ, কনস্টেবল রাশেদুলের সাক্ষ্য

ছবি

আশুলিয়া থানার নির্দেশে নিহতদের লাশ ঢেকে দেওয়ার অভিযোগ, কনস্টেবল রাশেদুলের সাক্ষ্য

আন্তর্জাতিক অপরাধে অভিযুক্তরা নির্বাচনে অংশ নিতে ও সরকারি চাকরি করতে পারবেন না

ছবি

ডেঙ্গু: আক্রান্ত ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে

ছবি

রাজসাক্ষী মামুনকে ‘প্ররোচিত’ করার দাবি হাসিনার আইনজীবীর, অস্বীকার তদন্ত কর্মকর্তার

ছবি

নির্বাচন ‘ভালো না হওয়ার’ কোনো সুযোগ নেই: সিইসি

ছবি

কর্মী নিয়োগে বাংলাদেশ-সৌদি আরব চুক্তি স্বাক্ষর

প্রবাসীদের জন্য আগাম ১০ লাখ ব্যালট ছাপাবে ইসি

ছবি

সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম দ্বিপক্ষীয় শ্রম চুক্তি স্বাক্ষর

ছবি

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৭৮২ জন, আরও তিনজনের মৃত্যু

ছবি

সেনাপ্রধানের বক্তব্য বিকৃত করে বিভ্রান্তিকর প্রচার: আইএসপিআর

ছবি

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ‘সব দল’ অংশ নেবে, আশা গোয়েন লুইসের

ছবি

ভোলার গ্যাস: এলএনজি আকারে নিতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ কম, পাইপলাইনে জোর দিচ্ছে সরকার

ছবি

শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ‘লাইফ সাপোর্টে’

ছবি

বেসরকারি প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষ নিয়োগে এনটিআরসিএকে দায়িত্ব দেওয়ার উদ্যোগ

ছবি

ভারত ভ্রমণে নতুন নিয়ম: অনলাইনে পূরণ করতে হবে সেদেশে প্রবেশের ফর্ম

ছবি

শারদীয় দুর্গাপূজায় অসুরের মুখে দাড়ি: সারা দেশে ৭৯৩টি ঘটনায় জিডি, তদন্ত চলছে — স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ফের ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক রোববার

ছবি

সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় ‘নিহত ৪১৭ জন, মোটরসাইকেলেই ১৪৩

ছবি

সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৭ জনের মৃত্যু: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

ছবি

রোববার থেকে সচিবালয়ে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ

ছবি

৫ জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আভাস

ছবি

হজযাত্রীদের আবাসনে নতুন লাইসেন্স ব্যবস্থা চালু সৌদিতে

ছবি

ভাষা সৈনিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিক মারা গেছেন

ছবি

আইনি কাঠামোয় পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের সুযোগ নেই: বার কাউন্সিল চেয়ারম্যান

ছবি

নিউইয়র্ক সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

মণ্ডপে দায়িত্বরত পুলিশের ‘গুলি চুরি’: গ্রেপ্তার তিনজন রিমান্ডে

ছবি

প্লাস্টিকের দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশশিল্প, সংকটে জয়পুরহাটের মাহালীরা

ছবি

পীরগাছায় অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন আছে জানালেন ইউএনও

ছবি

ডেঙ্গু: ২০০ ছাড়ালো মৃত্যু

tab

প্রসিকিউশনের আপত্তি, হাসিনা–কামাল মামলায় পুলিশ হত্যার জেরা বন্ধ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়বহির্ভূত উল্লেখ করে বিভিন্ন থানায় পুলিশ হত্যার বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবীকে জেরা করতে দেয়নি প্রসিকিউশন।

‘দি ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট, ১৯৭৩’-এ সাক্ষীকে জেরা করার সীমাবদ্ধতা রয়েছে উল্লেখ করে প্রসিকিউশন তা ট্রাইব্যুনালকে বোঝাতে সক্ষম হয়। পরে এ বিষয়ে জেরা করা হয়নি।

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১-এ এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরকে জেরার সময় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন বিষয়টি নিয়ে বাধার মুখে পড়েন। পরে তিনি ওই অংশ বাদ দিয়ে অন্য বিষয় নিয়ে জেরা চালিয়ে যান। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনেও জেরা শেষ না হওয়ায় বুধবারও তা চলবে।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল–১-এ দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত জেরা চলে। ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত অপর বিচারক ছিলেন মো. শফিউল আলম মাহমুদ।

জেরার সময় এক প্রশ্নের জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর বলেন, ২ অগাস্ট প্রকাশিত ‘গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ৩২ শিশু’ এবং ৪ অগাস্ট প্রকাশিত ‘গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ১৩৩ শিশু’ শিরোনামের প্রতিবেদন তিনি দেখেছেন। তিনি জানান, এসব খবর অন্য অনেক পত্রিকাতেও ছাপা হয়েছে।

আইনজীবীর প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, তদন্তকালে উল্লেখিত শহীদ শিশুদের সবার বাড়িতে তিনি যাননি; শুধুমাত্র একজনের বাড়িতে গিয়েছেন। তবে যে শিশুর বাড়িতে গিয়েছেন, তার বাবা–মায়ের নাম তিনি বলতে পারেননি। এসব শিশুর মৃত্যু নিয়ে সঠিক তদন্ত না করার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।

আইনজীবী আমির হোসেন সাক্ষীকে বলেন, আল জাজিরা নির্মিত ‘জুলাইয়ের ৩৬ দিন: উন্মোচিত হচ্ছে শেখ হাসিনার গোপন আদেশনামা’ শিরোনামের ৪৯ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের অনুসন্ধানী তথ্যচিত্রটি ‘এআই জেনারেটেড’। এ বক্তব্য অস্বীকার করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আরেকটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করে ‘জুলাই রেভ্যুলিউশনারি অ্যালায়েন্স (জেআরএ)’ নামের সংগঠন। তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ৭ অগাস্ট প্রকাশিত ৩ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের তথ্যচিত্রকেও আইনজীবী ‘এআই নির্মিত’ বলে দাবি করেন। তবে তদন্ত কর্মকর্তা সেটিও অস্বীকার করেন।

আইনজীবীর প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী আলমগীর জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল ও হাসানুল হক ইনুর কথোপকথনের সত্যতা পরীক্ষার জন্য আলামতগুলো সিআইডি ছাড়া অন্য কোনো দেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানে পাঠাননি।

আইনজীবী আরও উল্লেখ করেন, ৯ জুলাই প্রচারিত বিবিসি বাংলার ৩৫ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি বর্তমান সরকারের প্রভাবে তৈরি করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর এই অভিযোগও অস্বীকার করেন।

জুলাই আন্দোলনে ২৫ হাজার ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে সাক্ষ্যে উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে তিনি মাত্র তিনজন আহত ব্যক্তির জখমি সনদপত্র সংগ্রহ করেছেন। আইনজীবী তার বিরুদ্ধে অসম্পূর্ণ তদন্তের অভিযোগ তুললে তিনি তা নাকচ করেন।

আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল ‘দি ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট, ১৯৭৩’-এর ৩(২)(এ)(জি)(এইচ) ও ৪(১)(২)(৩) ধারায় কোনো অপরাধ করেননি। কিন্তু সাক্ষী মো. আলমগীর এই বক্তব্য অস্বীকার করেন।

জেরার এক পর্যায়ে আইনজীবী দেশের বিভিন্ন থানায় পুলিশ হত্যার বিষয়ে সাক্ষীকে প্রশ্ন করেন। তবে ট্রাইব্যুনালের রেকর্ডে এ অংশ রাখা হয়নি।

আইনজীবী বলেন, “সিরাজগঞ্জ, যাত্রাবাড়ী, আশুলিয়া, রামপুরা থানায় পুলিশ হত্যা করা হয়েছে—আপনি জানেন কিনা?”

সাক্ষী আলমগীর জবাবে বলেন, “এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।”

এ সময় কৌঁসুলি মো. মিজানুল ইসলাম আপত্তি জানান, “বিষয়টি এ তদন্ত কর্মকর্তার আওতাধীন নয়, তাই এটি এখানে প্রাসঙ্গিক নয়।”

এর জবাবে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, “আন্দোলন চলাকালে এসব ঘটনা ঘটেছে, প্রাসঙ্গিকভাবে আসতেই পারে।”

তখন জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, “জেরার কোনো লিমিট নেই।”

এই পর্যায়ে কৌঁসুলি এম এইচ তামিম ট্রাইব্যুনাল আইন তুলে ধরে দেখান যে, সাক্ষীকে জেরা করার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পরে ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের বক্তব্য মেনে নেয়।

back to top