জুলাই–অগাস্ট আন্দোলনের সময় নিহত কয়েকজনের লাশ আশুলিয়া থানার ওসির নির্দেশে ব্যানার দিয়ে ঢেকে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম (৪৬)। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আশুলিয়ায় ছয় লাশ পোড়ানোর মামলায় তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল তার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
রাশেদুল ইসলাম ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট ঢাকার আশুলিয়া থানায় ড্রাইভার কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি সাক্ষ্যে বলেন, ওইদিন তার কোনো ডিউটি ছিল না এবং থানার চতুর্থ তলায় অবস্থান করছিলেন। বিকাল ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার সময় তিনি জানালা দিয়ে নিচে লোকজন হৈচৈ করতে দেখেন এবং গুলির শব্দও শুনতে পান।
নিরাপদ মনে না হওয়ায় তিনি নিচে নেমে আসেন এবং থানার মূল গেটের বাম দিকে রাস্তার উপর একটি ভ্যানের উপর লাশের স্তূপ দেখেন। কনস্টেবল রাশেদুল বলেন, “আশুলিয়া থানার সাবেক ওসি সায়েদ স্যার বলেন, ‘রাশেদ, আপনার হাত খালি আছে, লাশগুলো ঢেকে দেন’। আমি পাশে থাকা নীল রঙের ব্যানার দিয়ে লাশগুলো ঢেকে দেই।”
তিনি আরও জানান, ওসির সঙ্গে পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান, পরিদর্শক (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস, এএসআই বিশ্বজিৎ, কনস্টেবল মুকুল চোকদার ও ডিবি ইন্সপেক্টর আরাফাতও ছিলেন।
রাশেদুল বলেন, “তারপর থানার পশ্চিম পাশে আটতলা একটি ভবনের নিচে আনুমানিক এক ঘণ্টা অবস্থান করি। ওই ভবনের নিচ তলায় থাকা একটি ছেলেকে, যার বাড়ি জামালপুর, আমি অনুরোধ করি–আমাকে একটি পাঞ্জাবি ও টুপি দাও। আমি ওই পাঞ্জাবি ও টুপি পরে কাইচা বাড়ি রোড হয়ে জামগড়া রুপায়নের বন্ধুর বাসায় অবস্থান করি। পরে শুনতে পাই, আশুলিয়া থানার ভ্যানভরতি লাশগুলো পুলিশের গাড়িতে তুলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”
রাশেদুল ইসলামের বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মেদুর পশ্চিম পাড়া গ্রামে। তিনি এই মামলার ১২ নম্বর সাক্ষী।
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
জুলাই–অগাস্ট আন্দোলনের সময় নিহত কয়েকজনের লাশ আশুলিয়া থানার ওসির নির্দেশে ব্যানার দিয়ে ঢেকে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম (৪৬)। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আশুলিয়ায় ছয় লাশ পোড়ানোর মামলায় তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল তার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
রাশেদুল ইসলাম ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট ঢাকার আশুলিয়া থানায় ড্রাইভার কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি সাক্ষ্যে বলেন, ওইদিন তার কোনো ডিউটি ছিল না এবং থানার চতুর্থ তলায় অবস্থান করছিলেন। বিকাল ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার সময় তিনি জানালা দিয়ে নিচে লোকজন হৈচৈ করতে দেখেন এবং গুলির শব্দও শুনতে পান।
নিরাপদ মনে না হওয়ায় তিনি নিচে নেমে আসেন এবং থানার মূল গেটের বাম দিকে রাস্তার উপর একটি ভ্যানের উপর লাশের স্তূপ দেখেন। কনস্টেবল রাশেদুল বলেন, “আশুলিয়া থানার সাবেক ওসি সায়েদ স্যার বলেন, ‘রাশেদ, আপনার হাত খালি আছে, লাশগুলো ঢেকে দেন’। আমি পাশে থাকা নীল রঙের ব্যানার দিয়ে লাশগুলো ঢেকে দেই।”
তিনি আরও জানান, ওসির সঙ্গে পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান, পরিদর্শক (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস, এএসআই বিশ্বজিৎ, কনস্টেবল মুকুল চোকদার ও ডিবি ইন্সপেক্টর আরাফাতও ছিলেন।
রাশেদুল বলেন, “তারপর থানার পশ্চিম পাশে আটতলা একটি ভবনের নিচে আনুমানিক এক ঘণ্টা অবস্থান করি। ওই ভবনের নিচ তলায় থাকা একটি ছেলেকে, যার বাড়ি জামালপুর, আমি অনুরোধ করি–আমাকে একটি পাঞ্জাবি ও টুপি দাও। আমি ওই পাঞ্জাবি ও টুপি পরে কাইচা বাড়ি রোড হয়ে জামগড়া রুপায়নের বন্ধুর বাসায় অবস্থান করি। পরে শুনতে পাই, আশুলিয়া থানার ভ্যানভরতি লাশগুলো পুলিশের গাড়িতে তুলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”
রাশেদুল ইসলামের বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মেদুর পশ্চিম পাড়া গ্রামে। তিনি এই মামলার ১২ নম্বর সাক্ষী।